প্রকৃতি পর্যায়

১৯
১৮
১৭
১৬
১৫
১৪
১৩
১২
১১

 

বৃষ্টি ‘আজ এসেছে দেখো শুধু তোমায় ভালোবেসে,

মাথা তুলে তুমি দাঁড়াও ‘সবুজ’,এই বৃষ্টি’র সাথে মিশে..

জানি শুকিয়ে যাচ্ছো জলাভাবে ,হোচ্ছ নিরস মরুভূমি,

বৃষ্টি তাই এসেছে ফিরে বাঁচাতে তোমার বনভূমি..

পাখিরা দেখো আশ্রয় মাগি ,তাকিয়ে তোমার পানে,

প্রখর দহনে পুড়ছে যারা,তারাও তাকিয়ে ছায়ার টানে..

জোনাকির আলো ছড়িয়ে পড়বে,তোমার লতায় পাতায়.

পশুরাও পাবে নিজেদের মতো,একটু বাঁচবার আশ্রয়.

আশ্রয় পাবে কত শত পাখি,সবুজ ছত্র ছায়ায় ,

বৃষ্টি তখন নাচবে খুশিতে,তোমার শিরায় শিরায়

কথায় কথায় যারা মুক্তি খোঁজে ,নিজের জীবন থেকে,

তোমায় দেখে নতুন করে ,যেন তারাও বাঁচতে শেখে.

এসো গো ‘বৃষ্টি ‘বছর বছর,আমাদের এই ধরায়,

যেন সবুজ আরও হয় গো ‘সবুজ’,তোমার ভালোবাসায়..

 

১০

 

জীবন যেমন বাঁচায় রে জল,
জল ও বাঁচাক জীবন,
তবেই কিনা জলের জন্য
হবেনা মরণ বাঁচন …

জলের জন্য জীবন মোদের
সারা জীবন ঋণী,
জল বিনা  জীবন খানি
থাকবে নাতো জানি,,

জল বাঁচাও,জল বাঁচাও
দেখো বলছে সরকার,
যাতে জলের জন্য কখনো যেন,
না আসে হাহাকার….

চলো শপথ করি সবাই মোরা
জল বাঁচাব আরও,
যাতে জলের অভাবে আর কখনো
প্রাণটা না যায় কারো..

 

 

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা তুমি কেমনে দাও পাড়ি?

পূর্ব হতে পশ্চিমেতে এতো তাড়াতাড়ি!!

সূয্যি মামা বলে ওরে পাড়ি তো দিস তুই,

আমি শুধু আলোর খোঁজে বিশ্বে চেয়ে রই.

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা একটা কথা বলো!!

তোমার কাছে এতো আলো কেমন করে এলো?

তোমার থেকে পাই যদি গো একটি কণা আলো,

ওই আলোতেই ঘোচাতে পারি আমার অন্ধকারের কালো.

সূয্যি মামা বলে ওরে সেই তো আমার আলো,

জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা,যা কিছু আছে ভালো..

তোর থেকেই চাইরে নিতে ওই একটি কণা আলো,

মহান যদি হতে পারিস বা ওদের চেয়েও ভালো..

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা আর একটা কথা বলো?

তোমার চোখে এই পৃথিবীর ভালো কাদের বলো !!

ওরে এই দুনিয়ার তাঁরাই ভালো, তাঁরাই হল মহান,

যাঁরা বৃহৎ স্বার্থে নিজের স্বার্থ দেয় রে বলিদান.

আশীর্বাদ করোগো মামা, আমিও যেন পারি,

ত্যাগ এর আলোয় নিজেকে যেন বিশ্বে মেলে ধরি..

 

 

দেখেছি ভোরের সূর্য টাকে

দেখেছি মুছে যাচ্ছে আঁধারের কালো,

শুনেছি পাখিদের কলকাকলি

মেখেছি প্রভাত বেলার আলো…

দেখেছি পাহাড়ের নির্জনতা,

নিয়েছি লাল মাটির ঘ্রান.

প্রকৃতির রূপে হয়েছি মুগ্ধ

ভরিয়ে নিয়েছি প্রাণ….

দেখেছি গ্রাম্য মানুষের সরলতা,

নিয়েছি সোঁদা মাটির গন্ধ,

দেখেছি পলাশের স্নিগ্ধতা

হয়েছি প্রকৃতির প্রেমে অন্ধ..

 

 

ছোট্ট চড়াই সকাল বেলা, বসলো বারান্দায়,
বলে,গোমড়া মুখে বসে কেন?কার অপেক্ষায়???

কার ওপরে রাগ করেছিস?? কে দিয়েছে ব্যথা??
আমার কাছে বল দেখি তুই, কি তোর গোপন কথা?

যাওয়ার পথে দেখা হলে, বলবো রে তোর কথা,
বলবো কত রেগে আছিস, কতনা জমানো ব্যথা..

হয়তো, দেখবি জানেই না সে,তোর এই রাগের কথা,
এতো কিছু বোঝার মতো, তার নেই রে জটিলতা..

((আমার রাগের কারণ বলো কেন বোঝে না?
তাকে ছাড়া যে আমার সময় কাটেনা..))

কবে সে আর বুঝবে বলো আমার অভিমান,
কষ্ট শুধু দিয়েই গেল, রাখলো না মোর মান..

ওগো ছোট্ট চড়াই বোলো তাকে,ধরেছি আমি তান
যেন শুনলে পরে শোনায় এসে মান ভাঙানোর গান

নইলে পরে চলেই যাব যেদিকে দুচোখ যায়,
তুমিও সেদিন কাঁদবে বসে আমার অপেক্ষায়..

 

 

ভোরের আলোয় চোখ মেলবো
মেলবো পাপড়ি গুলো
গোলাপ হয়ে ফুটব আমি
হবো প্রভাতের আলো..

অমল আলোয় রাঙাবো ভুবন
সুবাসে ভরাবো অন্তর,
জীবন হবে রঙিন সবার
মুখরিত হবে অম্বর..

 

 

মেঘকে নিয়ে সবাই দেখি, করছে আলোচনা,
খুঁজছে সবাই আকাশ পানে, মেঘের আনাগোনা..

কেউ বলছে মিলবে দেখা, ভরা শ্রাবণ মাসে,
কেউ বা বলছে, পেয়েছে দেখা, প্রতিবেশীর দেশে l

ভুটানের রাজা নাকি করেছে তারে গ্রীন কার্ড হোল্ডার,
তার দেখা তাই এখানে, মিলছে না তো আর!!

বৃষ্টির সাথে জমিয়ে সেখানে, করছে লুটোপুটি,
এখানে কাঠফাটা রোদে, মরছে সবাই,
শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি..

সরকার তাই করছে নাকি, নতুন amendment,
লোকসভায় আনছে বিল,Greenary development !
এবার,
গ্রীনকার্ড ছেড়ে মেঘেরা সব, আসবে এখানে,
কোনোদিন যারা চায়নি যেতে, বিদেশ -বিভুঁয়ে..

ঘুচে যাবে ক্ষরা, ভিজবে ধরা,ভরবে জলাগুলি,
দেশের মাটি ছাড়ার ভাবনা ভুলে যাবে মেঘগুলি l

 

 

আজকে দেখি মেঘেরা সব, নেমেছে ধরার পানে,
এতদিন যে কোথায় ছিলো, ওরাই শুধু জানে !

হন্যে হয়ে এতদিন শুধু, খুঁজেছি সকাল সাঁঝে,
আজ দেখছি বৃষ্টি হয়ে, ঝরছে মাঝে মাঝে..

পাহাড়চূড়া ঢেকে গেছে কালো মেঘের সারি,
সূয্যি মামা দিয়েছে বুঝি আরবদেশে পাড়ি..

গাছেরা আজ খুশিতে মেলেছে ডালপালা,
পাখিরাও সব কাকভেজা হয়ে খেলছে দুপুর বেলা..

স্কুলের যত বাচ্ছারা সব, ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরছে,
আর পাড়ার ছেলেরা একজোট হয়ে,পুকুরে ঝাঁপাচ্ছে.

এমনি ভাবেই ঝরো ও মেঘ, বৃষ্টি হয়ে ঝরো,
যাতে আর চোখের কোণে, জল না জমে কারো..

বৃষ্টি হয়ে ঝরো ও মেঘ, অঝোর ধারাতে,,,
যাতে শস্য শ্যামলা হয় গো ধরা ,এ ঘোর বর্ষাতে..

 

 

.. ইচ্ছে ডানা…🦋

যদি কখনো ইচ্ছা করে দেবো সাগর দীপ এ পাড়ি,

সময় মেনে ঘরে ফেরার থাকবেনা কড়াকড়ি.

বাঁধন ছেঁড়া হবো আমিথাকবেনা কোনো মানা,

এ গাছ সে গাছ ঘুরবো আমি উড়িয়ে ইচ্ছে ডানা.

সন্ধ্যা যখন নামবে তখন বসবো গাছের ডালে,

পাখপাখালি সঙ্গে নিয়ে নাচবো তালে তালে.

তোমার স্মৃতির জাবর কেটে কাটবে সারারাত,

ভোরের আলো পড়বে চোখ এ আসবে সুপ্রভাত .

তখন আবার বেরিয়ে যাবো সারাদিন এর তরে,

নতুন করে দেখবো আবার বিশ্বজগত টারে.

এমনি করেই কাটবে গো দিন কাটবে বছর মাস

যতক্ষণ না বিশ্বদেখার মিটবে আমার আশ.

 

 

বুলবুলি


বুলবুলিটা মিষ্টি সুরে
গান ধরেছে ভারি,
বলে আয় তো মনি হারমণিটা
ধরতো তাড়াতাড়ি,
রিহার্সালটা সেরে নিই চল,
আছে প্রোগ্রাম নন্দনে,
গুণী জন্ সব থাকবে সেথায়,
আমায় ফেলনা ভাবিস নে।
কোকিল মশাই বিচারকের
আসন নেবেন আজ,
ঝালিয়ে নিচ্ছি গান গুলো তাই,
সব কপালে ফেলবো ভাঁজ।
ক্লাসিকালটা শিখেছি আমি
কাকাতুয়ার কাছে,
ময়না,টিয়ার কাছেও আমার
তালিম নেওয়া আছে।
সেরার মুকুট পরবো আমি
কথা দিলাম তোরে,
তাই,রিহার্সালটা সেরে নিই চল
প্রানখুলে মনভরে।।

21/06/23

 

শোন্ রে পাখি শোন্

শোন রে পাখি শোন্, শোন রে পাখি শোন্,

তোদের জন্য বানিয়ে দেবো সবুজ ঘেরা বন.

তোদের স্বপ্ন ভেঙে জানি হচ্ছে ইমারত, 

আমি তোদের জন্য গড়ে দেবো নতুন ভবিষ্যৎ..

তখন কোনো বিপদ, তোদের পারবে না রে ছুঁতে,

নাচবি, খেলবি খুশি মনে, থাকবি রে একসাথে..

নানান সুরের ছটায় তোরা গাইবি কত গান,

সেই সুরের’ই মূর্ছনা’তে ভরবে রে মন প্রাণ..

বাঁধবি বাসা চারপাশে তে, করবি তোরা ভিড়,

তারই মাঝে গড়বো রে মোর ছোট্ট সুখের নীড়.

তোদের জন্য রেখে দেবো হরেক রকম খাবার

তোদের জন্য বানিয়ে দেবো এক মস্ত জলাধার.

তোরা ডুব দিবি সেথা মনের সুখে,খাবি মিষ্টি জল

তোদের নিয়েই থাকবো আমি, কাটবে প্রতিপল..

যেদিন আমার হারিয়ে যাবার থাকবেনা রে মানা,

সেদিন,তোদের সাথেই হারাবো রে,উড়িয়ে ইচ্ছে ডানা.

গোরা.. 

ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন

Comments are closed.

Scroll to Top