বিচিত্র পর্যায়
সুর ধরেছে আমার মনি, সারেগামাপাধানি,
মনে হলো শুনে হচ্ছেনা ঠিক,যদিও কিছুই বুঝিনি.
কখনো শুধু তারস্বরে ডাকছে দেখি মা, মা,
বাধ্য হয়ে বলি, ওরে গলা টা একটু নামা..
কখনো দেখি গাইতে গিয়ে পিছলে যাচ্ছে পা,
কখনো দেখি গান ধরেছে, ধরেছে সা পা..
কখনো শুনি ধা তে গলা লাগছে আধা আধা,
কখনো আবার গান গুলো সব হচ্ছে সুরে সাধা,
আসতে আসতে গান গুলো শুনি পাচ্ছে গলায় ভাষা,
যে যাই বলুক আমি জানি মনির গলাটা কিন্ত খাসা..
জানি অনেকে বলে মনি গানটা তেমন গায়না,
আমি জানি মনির গানের তুলনাই হয়না..
দেখো সুর ধরেছে আমার মনি, ধরেছে দেখো তান,
জানি এই সুরেরই মূর্ছনা তে এবার ভরবে সবার প্রাণ..
এতো দরদ তোমার গলায়
কে দিলো গো ঢেলে!!
কেমনে যেন প্রাণ পাখি মোর
উড়লো ডানা মেলে..
তোমার কন্ঠ ভরা গানে বাজে
প্রাণের বীনায় সুর,
নৃত্য গীতের আল্পনাতে
পেখম মেলে ময়ূর..
বৃষ্টি শেষের আকাশ যেমন
রামধনু দেয় বিছায়ে,
বিধাতা তেমনি তোমার কণ্ঠে
মাধুরী দিয়েছে মিশায়ে,
সেই সুরেরই মূর্ছনাতে
ভেসে চলে মোর মন.
সকাল সাঁঝে কাজের মাঝে
করে তারই অন্বেষণ..
02/05/21
রবি প্রণাম
রবি ঠাকুর, প্রাণের ঠাকুর প্রণাম করি পায়,
তোমার লেখনী ছাড়া যে আমরা বড়োই অসহায়…
সবুজ ঘেরা মাঠের মাঝে বেঁধেছিলে তুমি বাসা,
বটের ছায়ায় পাঠশালাতে শিখিয়েছ,জীবন কে ভালোবাসা..
যা কিছু করি, যা কিছু দেখি, সবেতেই তুমি আছো,
তুমি না দেখালে শিক্ষাই যেন, অপূর্ণ রয়ে যেত….
তুমি যে রয়েছো কবিতা,উপন্যাসে,রয়েছো গল্পে গানে,
সবার হৃদয়ে রয়েছো তুমি, আনন্দে, অভিমানে…
আজকে দেখো সবাই মোরা, তাকিয়ে তোমার পানে,
সুশিক্ষিতের কাটছে দিন বড়োই অসম্মানে,
হাল ধরো ওগো প্রাণের ঠাকুর, দেখাও মোদের দিশা,
তুমি না দেখালে শিক্ষার হবে ঘুটঘুটে অমানিশা..
বোকার বুদ্ধি..
বোকা মানেই এক বজ্ঞা, বোকা মানেই গোঁয়াড়,
বোকা মানেই বিশাল “বোদ্ধা “আসলে নির্বুদ্ধির পাহাড়।
সব বোকারাই ভাবে যখন তারা অনেক বুদ্ধি ধরে,
জটিল হয় কোনো বিষয় তখন প্রতি স্তরে স্তরে।
বোকা সাজাই শ্রেয় তখন যাদের বুদ্ধি আছে ঘটে,
তবেই দেখবো এই বোকারা আসবে সঠিক পথে।
একটু সময় গেলেই জেনো আসবে সমাধান,
দেখব তখন এই বোকাদের মান হবে খান খান।
ধৈর্য ধরে থাকতে হবে সাজতে হবে বোকা,
এই বোকারা ও বুঝবে, যেদিন বুদ্ধি দেবে ধোঁকা।
সন্ধিক্ষণ
হঠাৎ জীবন যদি থমকে যায় !!!মরণ এসে দাঁড়ায় দোরগোড়ায়,
মায়ার বাঁধন ছাড়িয়ে ,নিয়ে যেতে চায় কোনো এক অজানা ঠিকানায়.
কি করবো আমি! নিশ্চিন্তে পাড়ি দেবো,সেই অজানা স্বপ্ন পুরে,
নাকি,একটু সময় দাও গো বিধাতা বলবো করজোড়ে।
মানিয়ে নেওয়ার সময় যেন পায়গো মোর ঘরে।
হয়তো বিধাতা পুরুষ বলবে আমার সময় হয়েছে শেষ,
বরাদ্দ সময়ের আর নেই কোনো অবশেষ।
তবু ও বলবো, দিলেই যখন জীবন খানি আর একটু সময় দাও,
এই জীবনের শেষ ইচ্ছাটুকু পূর্ণ করে যাও।
এবার হয়তো বলবে আমায় ওরে, সময় দেবার আমি কে রে?
জন্ম মৃত্যু চিরন্তন থাকবেনা কিছু থেমে,
সূর্য চন্দ্র ও ওঠে যেমন কালের নিয়ম মেনে।
17/07/23
রাগ কয় কাহারে 😡🤔
মাথা তে যে এতো রাগ কোথা থেকে আসে?
দিন নেই রাত নেই প্রতি মাসে মাসে !
রাগটা কি রাখা থাকে বালিশের পাশে?
নাকি চড়া রোদে পুড়ে যাওয়া প্রতি ঘাসে ঘাসে?
রাগ বুঝি চলে আসে ট্রামে বা বাসে?
নাকি রাগ রাখা থাকে চিলি ভরা সসে !
রাগটা কি রাখা থাকে গরম বাতাসে?
নাকি রাগ থাকে লংকার প্রতি গ্রাসে গ্রাসে !!
রাগটাকে রাখো যদি কোনো ভাবে বশে,
দেখবে তখন লোকে কত ভালোবাসে..
রাগ আনে ধ্বংস যদি বুঝে ফেলে মন,
সকলেই হাসি মুখে কাটাবে জীবন।।
আধুনিকা
আধুনিকা কারে কয় ?
জিন্স টপ পরে হাঁটলেই কি আধুনিকা হওয়া যায় ?
হাতে স্মার্টফোন, কানে হেডফোন “দেখো আমি আধুনিকা ”
এক হাতে বিয়ার, এক হাতে সিগার, আসলে যে মরীচিকা !
এদিকে, মাথা জুড়ে শুধু সেকেলে ভাবনা, শরীরে ঝুলছে মাদুলি,
শুধু চলনে বলনে দেখনদারিতে আধুনিকা হয়ে গেলি !
যদি, মন ভরে থাকে স্বচ্ছ ধারণা, মাথা জুড়ে থাকে ন্যায্য ভাবনা,
যুক্তি, তর্কে ,শিক্ষায় সব ভেঙে দাও অহমিকা,
তখন সকলে বলবে তোমায় আধুনিকা..
দস্যি মন
কোথায় কোথায় ছুটে বেড়াস আমার দস্যি মন,
এ ঘর ও ঘর সকাল সাঁঝে তোরে খুঁজি সারাক্ষণ.
আমার ও তো কাজ আছে বলঅফিস,বাজার,দোকান,
কেন শুধু শুধু ছুটিয়ে মারিসএখান থেকে ওখান.
একটু খানি মন টাকে কিবসাতে পারিস না!!
আমার ও তো হচ্ছে বয়স কেন বুঝিস না?
মন বলে,ঘরে বসে বিশ্বজগৎদেখবো কেমনে?
তাই দিবা স্বপ্নে পালিয়ে বেড়াই বুঝতে পারিস নে.
সেই ছেলেবেলা
ছুটি ছুটি ছুটি,চল বন্ধুরা জুটি,
ধুলো কাদা মেখে,হই লুটোপুটি..
চল এক ছুটে, আম গাছে উঠে,
কাঁচা আম পেড়ে খাবো হামানেতে বেটে.
ঘুম থেকে উঠি মাঠে ঘাটে ছুটি
মিলে মিশে সবে করি খুনসুটি.
চল ময়দানে লুকিয়ে গোপনে,
ফুটবল নিয়ে খেলবো কজনে.
ভালো ছেলে সেজে,হয়ে পরিপাটি
বৃষ্টির দিনগুলো ,করিস না মাটি..
চল খিড়কির পাড়ে,একজোট হয়ে
ঝাঁপ দিয়ে জলে আনি ঝিনুক কুড়িয়ে.
ছোট ছোট খুশি আজ গেছে হারিয়ে,
সেই দিন গুলো চল আনি ফিরিয়ে.
জানি আসবেনা ফিরে,সেই ছেলেবেলা,
শুরু টাতো করি হোক না অবেলা.
বেলা গেছে বুঝি ব্যস্ততা অবিরাম
তবু একই যেন থাকি,ঠিক যেমন ছিলাম..
স্বাস্থ্য ই সম্পদ,মনে রেখো ভাইসব
লালসায় বাড়ে মেদ,আর বাড়ে অবয়ব.
যত স্বাদ তত মেদ জানো যদি একবার,
কেনো তবে সেই পথে যাও তুমি বারবার!
বড় বড় ভুঁড়ি নিয়ে হেঁটে চলো রাস্তায়,
দিন নেই রাত নেই খাচ্ছ রেস্তোরায়.
শরীর টা ভালো থাকে প্রাকৃতিক fuel এ,
Petrol গাড়ি বলো চলবে কি ডিজেল এ?
যদি চাও সুস্থতা প্রকৃতিকে আঁকড়াও,
Simple জীবন এর সমাধান খুঁজে নাও..
13/01/22
কোনোদিন যে লেখেনি কবিতা সে কিভাবে লিখছে আজ!!
বিদ্দ্ব জনেরে অবাক করেছে, দেখি অবাক হচ্ছে সমাজ!
কোনোদিন কেউ লেখেনি ব’লে কি লিখতে পারেনা আজ!!
তবে বুদ্ধিজীবির কপালে কেন পড়ছে আজকে ভাঁজ!!
কবিতা কি শুধু লিখতে পারে বুদ্ধিজীবির দল?
যাদের মাথায় উপর নেই কোনো ছাদ, পেটেতে জোটেনা খাবার,
তারা কি স্বপ্ন দেখতে পারে না? নতুন করে বাঁচার..
এগোতে পারে তো ওরাও, ক’রে কবিতা কে সম্বল.
হোক না, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,
আশা রাখে, একদিন না একদিন ঠিক, এ’জীবন হবে কাব্যময়.
লিখবে অনেক, অনেক কবিতা..দেখবে বিশ্বময়..
ওরে মন কেন বুঝিস না?
বেশি বড় হতে আমার ভালোই লাগে না,
এই তো আছি, বেশ তো আছি কাটছে রে দিন বেশ,
শুধু শান্তিটুকু মনের থেকে না যেন হয় শেষ..
হাজার রকম চিন্তা নিয়ে সব ছুটছে প্রতিদিন,
ভাবতে থাকে মিটবে কবে ওদের বোঝা বোঝা ঋণ,
জানি বড় হলেই আমাকেও নিতেই হবে চাপ,
ঋণ এর চাপে চ্যাপ্টা হলেও তখন করবেনা কেউ মাফ..
তাই বেশি বড় হয়ে আমি করবো কি তাই বল?
শুধু চলার পথে পা যেন মোর না করে টলমল..
পথের মাঝে যেথায় সেথায় বন্ধু খুঁজে মরিস?
মনের মাঝে দেখরে খুঁজে দেখি কেমন পারিস..
বন্ধু আছে হৃদমাঝারে দেখ রে অনুভবে,
পথের মাঝে বন্ধু তখন খুঁজতে নাহি হবে..
সবাই বলে বন্ধু হব,বন্ধু কজন হয় !
বন্ধু শুধু তারাই, যারা মনের মাঝে রয়.
আসে যদি বিঘ্ন,বিপদ,পথ হয় বন্ধুর,
থাকে যদি বন্ধু পাশে, সব বাধা হয় দূর..
বন্ধু হয়ে থাকবো পাশেই,আছি যতক্ষণ,
বন্ধু,শুধু বন্ধুই হয়,বন্ধু চিরন্তন..
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম,
এই নাকি তোর ধর্ম!!
সবাই যদি স্বাধীন তবে,
কেন এমন বর্ম ?
গাধার মতো খেটে খেটে
রোজ হচ্ছিস গলদ ঘর্ম.
এতো যে তোরা খেটে মরিস
ওরা বোঝে কি তার মর্ম ?
যখন তখন কথা শোনায়
নেই তো ওদের সরমও,
তাই এমন কিছু কর
যাতে মাথায় ওঠে করমও..
আসুক সুদিন
যেদিন মিলেমিশে হবে কর্ম,
আর এটাই হবে মানব জাতির
একমাত্র ধর্ম..
রাগ কিভাবে মাথায় ওঠে বলতে কি কেউ পারো??
উঠতে উঠতে মাঝে কোথাও,দাঁড়ায় না একবারও??
রাগ যখন উঠতে থাকে পেটের ভিতর দিয়ে,
তখনই কি পেট ফুলে যায় গোঁসা দেখিয়ে??
মাথায় ওঠে রাগ নাকি, যখন ঝগড়া করে মরো !!
গলা অবধি এলেই তাকে আটকাতে কি পারো??
তাহলে এক গলা জল ঢাললেই সে ঠান্ডা হবে আরও.
রাগ যদি বাড়তে থাকে গরম বাড়ার সাথে,
তবে বরফ কুঁচি চেপে ধরো নিজের মাথাতে..
রাগ ও তখন ঠান্ডা হবে বরফ গলার সাথে.
ইচ্ছা পূরণ না হলে যদি রাগটা যায় বেড়ে,
তবে পাস বালিশে ঘুসি মারো একটু বেশি জোরে,
ঘুসির সাথে দেখবে তখন রাগ ও যাবে পড়ে..
অধিক পরিশ্রমেও কি রাগটা মাথায় ওঠে??
তাহলে অল্প শ্রমে কাজ এর উপায় ভাবতে হবে বটে..
শ্রম কমলেই দেখবে তখন রাগ ও যাবে মিটে.
যদি জেনে বুঝে থাকতে পার রাগের থেকে দূরে,
দেখবে তখন রাগটা তোমায় কখন গেছে ছেড়ে.
রাস্তা মাঝে বন্ধু বলে, কি রে চিনতে পারিস?
আমি চিরপ্রিয়.
বলি চিনবোনা কেন, তুই কি ভাবিস ? তুই যে আমার বহুদিনের প্রিয়.
বলে,তুই নাকি কবিতা লিখিস?
আমি বলি তুই সেকথা, কেমন করে জানিস!!
কবিতা আর আমি দুটো কি এক জিনিস..
কাব্য থেকে আমি শত যোজন দূরে, এ টুকু তো মানিস ?
কবিতা লিখতে বোধ,বুদ্ধি, দুটোই ঘটে চাই,
এ দুটোর একটাও যে, আমার কাছে নাই.
তবুও লিখছি বটে, কয়েকটা কবিতার মতো করে,
কিন্তু সেটা কবিতা কিনা, প্রমান হয়নি যে রে..
তবুও তুই জানলি কিভাবে, সেটাই আমি ভাবছি!!
আমার লেখার নাম হচ্ছে, সেটা শুনেই হাসছি!!
এ গুলোকে যদি কবিতা বলে, তাহলে কবিতা লিখছি,
তোর কথা তবে সত্য বটে, এ কথাটা মানছি.
কবি মীনাক্ষীদি র একটি কবিতার প্রেক্ষিতে..
চিন্তা কোরো না গো দিদি, চিন্তা কোরো না,
বংশী ধারী তোমার ব্যাথা, সইতে পারে না..
সুর ধরেছে বংশীধারী, ধরেছে দেখো হাল,
যতই দুলুক নৌকাখানি, তবু হবেনা বেসামাল.
ভাঙবে নদী ভাসবে দুকূল, ভাসবে চতুর্দিক,
তার মধ্যেও তোমায় সে যে, আগলে রাখবে ঠিক..
তোমার সুখ অসুখের, বংশীধারী সমান ভাগিদার,
লাঘব হবে কষ্ট তোমার, মিলবে মুক্তি যন্ত্রনার..
গোরা ..
Comments are closed.