কৌতুক পর্যায়
ভূতের উপন্যাস
ভূত এসেছে মধ্য রাতে করতে আলোচনা,
বুঝেও নাকি বোঝেনা কেউ ভূতের যন্ত্রনা.
চারিদিকে আজ রাম রাম বিপদ বড় ভারী,
কিছু একটা লিখে যেন হালটা আমি ধরি.
গুণী মানুষ যাঁরা আছেনসময় তাঁদের কোথায়??
তাই,সোশ্যাল সাইট খুঁজে এসেছেআমার ঠিকানায়.
নতুন কবি হলে নাকি বুঝবে ওদের কথা,
ওদের জন্য লিখে দেবেবিশদ গল্প গাথা.
কবিতা লেখার জন্য দেবে শ্যাওড়া গাছের পাতা,
সেখানে নাকি লিখতে হবে ভূতের রূপকথা.
দোয়াত কলম নিয়ে বসি আড়ালে আবডালে,
গল্প খানা লিখেই দিলাম ছন্দ বদ্ধ তালে..
ছন্দ ভরা গল্প শুনেবেজায় খুশি ভূত,
বলে,ভেট হিসাবে তোমায় দিলামআমার মেয়ের পুত.
যা চাইবে তাই ই পাবেবলো আর কি তুমি চাও?
তোমায় আমি দিতে পারিহীরের মুকুট টাও.
এই না বলে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো ভূত,
প্রাণ বুঝি মোর গেলো গেলো যেন স্বয়ং যমদূত.
এবারের মতো ভূত মহারাজমুক্তি আমায় দাও..
ভেট আমার লাগবে নাকোপুত কে তুমি নাও.
পত্নী যদি জানতে পারেভেট পেয়েছি পুত,
উল্টো করে ঝুলিয়ে আমায় বানাবে কিম্ভুত.
এবার যদি বেঁচে ফিরি নিতে পারি শ্বাস,
তোমার জন্য লিখে দেবোভূতের উপন্যাস.
এই না শুনে ভূতের রাজামুক্তি দিলো মোরে
এতক্ষনে প্রাণ বুঝি মোর আসলো ফিরে ধড়ে..
26/04/2021.
..কুঁড়ের হদ্দ..
কথায় কথায় গিন্নি বলে আমি কুঁড়ের হদ্দ,
তবু আমারই হাতে দিয়েছে দেখো মুদিখানার ফদ্দ ..
দুখের কথা বলবো কাকে ভাবছি বসে বসে,
এমন সময় বাজখাঁই স্বর আসলো কানে ভেসে ..
“আজ মুদির মাল কি আসবে ঘরে সেটাই জানতে এলাম,
নইলে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে আমি বাপের বাড়ি চললাম”
কি মুশকিল, কি মুশকিল এসব কি কর তুমি,
কুঁড়ে বলে কি মুদির মাল আনবোনা ঘরে আমি..
করেছি অর্ডার অনলাইন এ আসলো বলে মাল,
বাজলো বলে কলিং বেল আর কোরোনাকো গোলমাল..
এই না বলে যেই বসেছি সোফাখানার পরে,
অমনি শুনি কলিং বেল বাজলো সদর ঘরে..
দেখি মুদির মাল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে কুরিয়ার,
তাই বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে নেওয়ার আর নেই কোনো দরকার..
ভরসা রাখো গিন্নি আমার নিয়োনা এতো চাপ
নাহয় এবারের মতো এই কুঁড়ে কে করেই দিলে মাফ..
মুচকি হেসে গিন্নি বলে,
বাপের বাড়ি যাওয়ার নামে এতো ভয় কেন পাও তুমি !
এত সহজে রেহাই দেবো ভাবলে এমন বান্দা আমি..
আরশোলার দুঃখ কেবল আরশোলারাই জানে ,
আরশোলাদের দুঃখ, তোমরা বুঝবে কেমনে ?
প্রতি রাতের নির্জনতায় আমরা খুঁজি খাবার,
ভোরের আলো ফোটার আগে খাবার করতে যে হয় সাবাড়.
একশো দিনের শ্রমিক মোরা দিন আনি দিন খাই
আমাদের তো তোমাদের মতো, মিডডে মিল নাই,
রেশন কার্ড ও নাই.
তবু মোদের দেখতে পেলেই, স্প্রে করে করে মারো,
কখনো পায়ের তলায় পিষে মারো,
মোদের কথা তোমরা যদি, ভাবতে একটি বার ও.
উড়ু উড়ু মন যখন ডানা মেলতে চায়
ঝাঁটার আঘাতে তখন মোদের বেঘোরে প্রাণ যায়.
আমাদের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্ছাগুলো যখন মেরেফেলো,
তখন বলো মনের মাঝে লাগে কি মোদের ভালো?
তোমরা তখন খুশি হয়ে,বলো ‘আপদ বিদেয় হলো’
কিংবা ধরো তোমরা যখন, আমাদেরই মেরে ফেলো,
বাচ্ছা গুলো তখন থেকেই, অনাথ হয়ে গেলো,
তখন ওদের মুখের মাঝে, কে দেবে খাবার বলো?
এমনি ভাবেই চক্রাকারে, ঘুরতে থাকে দিন
তবু বলো কেন মোদের, আসেনা কোনো সুদিন?
কথা শেষ করার আগে, একটি কথা বলো
একটা বড় পরিবার ছাড়া হয় কি ঘর আলো?
তোমরা তো সকলে মিলে, সুখে কাটাও দিন
আমাদের মারার আগে, যদি ভাবতে কোনোদিন,
তাহলে হয়তো আমাদেরও, আসতো সুখের দিন..
সুদিন মোরাও পেতে পারি, কাটাতে পারি সুখে..
যেদিন মোদের মারতে গেলে তোমরা দাঁড়াবে রুখে..
তোমরা শুধু শপথ করো, পারবে তোমরা রুখতে,
স্বাধীন দেশে আমরাও যেন, পারি মাথা উঁচু করে বাঁচতে.
.🐝. 👀..
তোমরা যতই করো সন্দ, আর যতই করো দ্বন্দ্ব,
তবু লিখবোই আমি কবিতা,
তার যতই না থাক ছন্দ, আর যতই বলো মন্দ..
পাচ্ছি বটে একটা পোড়া পোড়া গন্ধ, তবে যতই হোক দম বন্ধ,
তবু লিখবোই আমি কবিতা,
তার যতই না থাক ছন্দ, আর যতই বলো মন্দ..
কারণ, এই কবিতা লিখতেই আমি অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ.
তোমাদের নাই বা হোলো পছন্দ !!
তবু লিখবোই আমি কবিতা,
তার যতই না থাক ছন্দ, আর যতই বলো মন্দ।
সেই ছোটবেলাতে, কত ধরেছি যে চোর,
চোর চোর বলে আমি মাচিয়েছি শোর..
কখনো ধরেছি আমি খড়ের গাদায়,
কখনো পেয়েছি খুঁজে গাছের ডগায়..
কত চোর অনায়াসে দিয়েছে ধরা,
কতদিন কতচোর থেকেছে অধরা
ঠাকুমার বাড়ি থেকে ধরেছি যে চোর,
কখনো ধরেছি আমি মাচার ওপর.
চল্লিশ চোর আর একটা পুলিশ,
একটা ধরতে গিয়ে আর একটা মিশ..
কখনো ধরেছি আমি খাটের তলায়,
কখনো পেয়েছি কোনো গাছের গোড়ায়..
কতদিন চোরগুলো দিয়েছে ধোঁকা,
কতবার আমিও যে পেয়েছি মওকা..
চোখে ধুলো দিয়ে কত পালিয়েছে চোর,
কতবার ধরা পড়ে চেঁচিয়েছে ঘোর..
কত চোর কতদিন দিয়েছে ‘ধাপ্পা ‘,
কতদিন রেগে আমি হয়েছি খাপ্পা..
চোরেদের যেই আমি পেয়েছি হদিস,
ধরা পড়ার ভয়ে বলেছে ‘আবপুলিশ ‘..
সেই সব বন্ধুরা আজ ও আছে মনে,
মনে পড়ে সেই স্মৃতি আজও ক্ষনে ক্ষনে..
ভূত চেপেছে মাথায় ওগো ভূত চেপেছে মাথায়,
কবিতা নাকি লিখতে হবে শ্যাওড়া গাছের পাতায়..
সেইখানেতে ভূত মহারাজআছেন টঙ্গে বসে,
ভুল লিখলেই মারবে নাকিগাঁট্টা খানা কষে..
কি বিপদে পড়েছি রে ভাই বাঁচাও ভূতনাথ,
নইলে যে গো গাঁট্টা খেয়েহবো কুপোকাত..
কবিতা লেখার জন্য কিনা শ্যাওড়া গাছের পাতা!!
সেখানে নাকি লিখতে হবেভূতের গল্প গাথা!!
দোয়াত কলম নিয়ে বসি সেই সে গাছের ডালে,
বলি গল্প লিখে দিতেই পারি যদি নাচো তালে তালে..
এই না শুনে ভূত মহারাজ নাচ করলো শুরু,
সে নাচ দেখে ভয়ে আমারপ্রাণটা দুরু দুরু..
আচমকা সে ডাল টা ভেঙে পড়লো আমার ঘাড়ে,
ভূতের গল্প রইলো মাথায় প্রভু রক্ষা করো মোরে..
26/04/2021
🙂 .. অসন্তোষ না করোনা-র দোষ..🙃
বেরোবো বলেছি ঘরের বাইরে, তাতেই নাকি দোষ,
এর জন্য আমাদের তোরা করছিস ফোঁস ফোঁস..
এতো লোকে বাজারে যাচ্ছে তাদের বেলায় পার,
আমরা বেরোবো বললেই ভয় দেখাস “করোনা’র !!
সারাদিন ঘরে থেকে লাগছেনা ভালো আর,
চাইছি রে তাই বাড়ির বাইরে বেরোতে একটিবার.
মুখোশ পরে,গা বাঁচিয়ে বেরোবো আমরা পথে,
যেতে যদি চাস রে তোরা, চল আমাদের সাথে..
জানি আমাদের হয়েছে বয়েস হয়েছি নড়বড়ে,
যদি হাঁটতে গিয়ে যাই রে পড়ে তুলিস না হয় ধরে..
এখন এতো শুদ্ধ বাতাস, নেইকো বাস ট্রাম,
একটু খানি ঘুরলেই পাবো, অনেকখানি আরাম.
তাই, অল্প একটু ঘুরতে দেনা, নিতে দেনা শ্বাস
সব কিছুতেই বাগড়া দেওয়া, তোদের বদভ্যাস,
ওঁৎ পেতে আছে বিপদ বাইরে, বোঝার চেষ্টা করো
রেখোনা ঘরের বাইরে পা, সাবধানে থাকো আরও.
ভালো মন্দ খাও দাও, গানের চৰ্চা করো,
জানলা দিয়ে আকাশ দেখো,মন কে খুশিতে ভরো..
সংকট আজ সব ভূতেদের দেশ ছেয়েছে রাম এ,
সুরক্ষার তাগিদে ওরা যোগ দেবে আজ বাম এ
মধ্যরাতে শুরু হবে ভোটের আলোচনা,
আলিমুদ্দিন এর চারপাশে তাই ভূতের আনাগোনা,
উড়ে এসে জুড়ে বসবেন স্বয়ং ভূতরাজ,
রাস্তা জুড়ে দশদিকে তাই কালো বিড়ালের সাজ.
চোখ গুলো সব জ্বলছে-আছে ডেবডেবিয়ে চেয়ে,
এদিক থেকে ওদিক হলেই ঘাড় দেবে মটকিয়ে..
ভূতে আর বামে যদিও সক্ষ্যতা তেমন নাই,
রাম রাম আটকাতে তবু বাম কেই পাশে চাই..
প্রচ্ছন্য থাকবে সাপোর্ট হাঁকেন ভূতরাজ,
সাংবাদিক এর সভায় প্রবেশ বন্ধ আছে আজ..
সভা শেষে বলে গেলেন থাকছি আমরা জোটে,
রাম কে ঠেকাতে একসাথে লড়বো এবার ভোটে..
সমস্ত বুথে আমার এজেন্ট থাকবে যেন বাম,
রাম এ ভোট দিতে গেলেই আঙুলে পড়বে টান..
সব রাম এর ভোট তখন পড়বে গিয়ে বামে,
বাম এর হবে জয় জয়কার সাইলেন্ট সংগ্রামে..
মোদের এবার থাকবেনা ভয় থাকবেনা টেনশন,
জোট সরকার দেবে এবার ভূতের প্রটেকশন..
27/04/21
সন্ধ্যে হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে,আসছে মশার দল,
কি করলে মশার থেকে,মুক্তি পাবো বল?
মশারা যে বড়োই চতুর,রক্ত চুষে খায়,
সুযোগ পেলেই ফোটায় রে হুল,জ্বলিয়ে দিয়ে যায়..
আলো নিভলেই কানের পাশে, করছে রে ভন ভন,
কেমন করে বলতে পারো, করবো এদের নিধন?
কেউ বলছে স্প্রে করো ভাই, ঘরের চারপাশে,
কেউ বলছে জ্বালাও মর্টিন, তোমার আসে পাশে.
কেউ বলছে শরীর খানি ঢাকো চাদরে,
কেউ বা বলছে মশার নাকে, কামান দাগো রে..
কি যে করি,ভেবে না পাই চিন্তায় ঘুম নাই,
বৃদ্ধ খুড়ো এসে বলে, উপায় আছে ভাই..
মশার নেট লাগাও বাছা সব জানলা দরজা পরে,
তখন মশারা এসে দেখবে,”হায়রে , no entry “doorএ.
বাইরেও যদি মশা থেকে মুক্তি পেতে চাও,
তবে, জমা জল আর আবর্জনা এখনই দূর হটাও .
নাক কেন ডাকে 🤔
নাক কেন ডাকে !
ঘুম চটকায়,
লোকে বোঝেনাতো
মোরা কত অসহায়।
আজেবাজে কত ক্থা
সহে যাই নীরবে ,
তবু কেউ বোঝেনা
ভাবে ডাকি স্বভাবে।।
গোরা 🤔
নাকটা যদি না থাকতো, মোদের নাক ডাকাও থাকতো না..
তখন, নাক ডাকা নিয়ে প্রতি রাতে এতো বিবাদ ও বাঁধতো না..
এখন দেখছি দিনে দিনে বাড়ছে ডিভোর্স কেস,
আর সব কেসেরই ফয়সালা নাকি নাকেই এসে শেষ..
এদিকে, ডিভোর্স কেস ঠুকেছে মাসি কারণ নাকি নাক,
তার হাঁকডাকেরি মাসুল নাকি চাইছে আশিলাখ..
বলি, আমরা তো আর ডাকি না ডাকে তো মোদের নাক
তাই মাসুল যদি দিতেই হয় দেবে ,যে করে হাঁকডাক..
তবে, এতো যখন কেস কাছারি তখন শোনরে ওরে নাক,
ওদের ছেড়ে কথা বলিস না তুই তাতে যা খুশি হয়ে যাক..
তাই, ডাক রে ওরে ডাক এবার নাক টা খুলে ডাক
ঐ ডাকেরই গর্জনে সবার পিলে চমকে যাক.
যারা নাক ডাকলেই কেস করে দেয়, করে অপমান,
যেন তারাও বোঝে এখন থেকে মোদের নাকের ও আছে মান..
Comments are closed.