বাকিটা ব্যক্তিগত
…. জীবন চরিত ….
জানি থাকবো না চিরকাল, থাকবে আমার কবিতা,
তাই কবিতা দিয়েই সাজিয়ে যাবো,না বলা যত কথা.
হয়তো তা হবে ছন্দ মুক্ত, হয়তো ছন্দ বদ্ধ,
তবু লিখবো আমি সবই, যা করেছে সমৃদ্ধ..
আমার জীবনও কখনো ছন্দে ভরা,কখনো ছন্নছাড়া.
কখনো দুঃখ,ব্যথা, আবার কখনো আদরে মোড়া…
কখনো খরস্রোতা, কখনো ভাটার টান
কখনো দিশাহারা, কখনো বা ভরা প্রাণ…
কখনো সরল,কখনো জটিল,কখনো বা সাবলীল
কবিতা গুলো দেখো সবাই,আমার মতোই অনাবিল..
সব কবিতাই বড়ই আপন,ভীষণ প্ৰিয় আমার,
তাই যত্ন নিয়ে পোড়ো সবাই, রইল এইটুকু আবদার..
গোরা..
আমার দিদি – কবি
আমার দিদি প্রকৃতির কবি,
সবাই মাটির মানুষ বলে,
ছোট্ট থেকেই জীবন কেটেছে
তার একা একা পথ চলে,
সঙ্গী ছিল গাছ,পাখি,ফুল,
আকাশ,নদী,সূর্য,চন্দ্র,তারা,
তাই এসব নিয়েই লিখছে এখন
দেখে আমরা বাক্যহারা..
সেদিনের ছবি তোলা ছিল
তার মনের অ্যালবামে,
তারে বর্নমালায় সাজিয়ে তুলেছে
আজ নিজের কলমে…
চোখের সামনে ভাসতে থাকে
তার লেখা ছবিগুলো,
মনে হয় যেন বার বার বলি
আহা ,লেখাটা বড্ড ভালো..
তার লেখনীর শব্দ ছটায়
মাতিয়ে তোলে মন,
নতুন করে চিনতে শেখায়
প্রকৃতিকে প্রতিক্ষন..
এমনি ভাবেই লিখতে থাক
যেন ফুটে ওঠে এক ছবি,
সবাই একদিন বলবে দেখিস
দিদি, প্রকৃতির কবি..
মা
এতদিন পরে তুমি এলে, ভোরের স্বপ্ন হয়ে,
মাথায় ছোঁয়ালে হাত, বললে, সুপ্রভাত….
শুধালে কেমন আছিস?
এখনো আমায় ভালোবাসিস!
মনে পরে আমায়!
মা গো কিভাবে ভুলবো তোমায়?
মা, কেমন আছো তুমি?
বড় কষ্টে আছি গো আমি.
তুমি তো সবি জানো,,, তবু আসোনা কেন?
আমায় একলা ফেলে, তুমি কি করে চলে গেলে?
ওরে পাগল ছেলে,
আমি আছি তোরই কাছে, তাকিয়ে তোরই পানে,
শুধু নয়ন মেলে দেখরে চেয়ে,ওই দূর আসমানে.
মা গো আকাশ ভরা হাজার তারা, কোথায় খুঁজি তোমায়?
যে তারা টা দেখবি রে তোর, সবচেয়ে কাছে আছে,
তার ই মাঝে লুকিয়ে আছি, তোরই চোখের কাছে.
সজ্ঞে যাওয়ার সুযোগ পেলে, কে আর ছাড়ে বল…
তোর বাবা ও তো আমায় ছেড়ে ,কত কষ্টে ছিলো বল,
কোনোদিন তো চাইনি কিছু, হাতপেতে তোর কাছে,
এইটুকু তুই দিলি নাহয়, এছাড়া চাওয়ার কি আর আছে!!!
যাতে বাকি সময় কাটাতে পারি, তোর বাবার-ই কাছে.
গোরা ..
আমি সাধারণ কবি,
যা কিছু দেখি,যা কিছু ভাবি,
তাই দিয়ে আঁকি ছবি.
সেই ছবি গুলো স্মৃতি পটে নিয়ে
রেখে দিই আমি তা,
সেখান থেকেই লেখা হয়ে যায়
আমার সাধের কবিতা.
আমার দিদি প্রকৃতির কবি,
সবাই মাটির মানুষ বলে,
ছোট্ট থেকেই জীবন কেটেছে
তার একা একা পথ চলে.
সঙ্গী ছিল গাছ,পাখি ফুল,
আকাশ,নদী,সূর্য,চন্দ্র,তারা,
তাই এসব নিয়েই লিখছে এখন
পড়ে আমরা বাক্যহারা.
সেদিনের ছবি তোলা ছিল সব
তার মনের অ্যালবামে,
তারে বর্নমালায় সাজিয়ে তুলেছে
আজ নিজের কলমে.
চোখের সামনে ভাসতে থাকে
তার লেখা ছবিগুলো,
মনে হয় যেন বার বার বলি
আহা,লেখাটা বড্ড ভালো.
তার লেখনীর শব্দ ছটায়
মাতিয়ে তোলে মন,
নতুন করে চিনতে শেখায়
প্রকৃতিকে প্রতিক্ষন.
দাদা আমার ভালোই লেখে
গানের হাত ও ভালো,
আধুনিকতার ছোঁয়ার সাথে
জাগায় আধাত্যিকতার আলো.
শব্দ চয়ন বড়ই ভালো
যেন পরানো আছে বর্ম,
বোধগম্য করতে গিয়ে
তাই হয় যে গলদ ঘর্ম.
মেজদা আমার সহজ সরল
বড্ড সিদে সাধা,
গান শুনে তার প্রাণটা জুড়ায়
যেন সপ্ত সুরে বাঁধা..
…আমার গ্রাম…
পাতুল আমার গ্রাম, গৌর আমার নাম,
এক-হাঁটু কাদা পেরিয়েও সেথা,ছিল যে প্রাণের আরাম
…
এবেলা,ওবেলা খুদ-মুড়ি খেয়ে কেটেছে মোদের দিন,
তবু মনের খুশিতে মানিয়ে নিয়েছি,রাখিনি কারোর ঋণ..
.
বন্যার দিনে নৌকোতে 🚣চড়ে ঘুরেছি মোদের গ্রাম,
দুপুরবেলাতে আম গাছে উঠে, লুকিয়ে পেড়েছি আম.🍋
পাড়ার দাদার ধান কেটে দিয়ে, কিনেছি ক্রিকেট ব্যাট,
বন্ধুরা মিলে জমিয়ে খেলেছি, হেঁকেছি হাউজ দ্যাট…
খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ারে খেলেছি যে লুকোচুরি,
বন্ধুরা সব জমিয়ে খেয়েছি আমতেল মাখা মুড়ি..
ঘেঁটুর মেলায় যাত্রা দেখেছি, জিলিপি খেয়েছি কত,
আজও মনে পড়ে যাত্রার সেই সংলাপ অবিরত…
পুকুর সাঁতরে এপার ওপার হয়েছি যে কতবার, 🏊
ডুব সাঁতারে ঝিনুক তুলেছি, খেয়েছি যে কত মার..
না ছিল টিভি, না ছিল ফোন, তবু ছিল যে অনেক কিছু,
টুকরো টুকরো স্মৃতিরা তাই,ঘোরে আজও পিছুপিছু..
প্রার্থনা
ঠাকুর,আজ আমার জন্মদিন,
দেখো,তোমার জন্য এনেছি কত ফুল,
সাজিয়ে দিয়েছি তোমার আসন বসন,
দিও শুধু তোমার চরন ধুল।
জানি তোমারই জন্য এতখানি পথ
পেরিয়ে এসেছি আমি,
কাটিয়ে উঠেছি সকল সংকট
মৃত্যুর হাতছানি।
পাশে আছে কত বন্ধু স্বজন
আর আছে পরিজন,
বাঁচিয়ে রেখেছি মনুষত্ব
আগলে রেখেছি মন।
তোমারই চরণস্পর্শে
আমার জীবন প্রবাহমান,
নতুন কিছু করার তাগিদ
আজও বর্তমান।
ভালো থেকো, ভালো রেখো
দিও চরণতলে ঠাঁই
জন্মদিনে এইটুকু শুধু
প্রার্থনা করে যাই।
গোরা – 19/12/23
চিঠি
তোমায় চিঠি লিখবো বলে ভাবছি বসে বসে,
যে কথা গুলো হয়নি বলা সময়ের অবকাশে।
না বলা কথায় কত আছে প্রেম,বলে যায় কত কথা,
মুখের বাক্য শুনেছ শুধুই ! বোঝোনি হৃদয়ের নীরবতা!
সব বলে যাবো তবেই বুঝবে এই কি আমার তুমি!
তবে কেন বলো আমার আমি কে রন্ধ্রে রন্ধ্রে চিনি!
তুমি না থাকলে আমার আকাশে আঁধারের ঘনঘটা,
তুমি হেসে দিলে পূর্ণিমা হয়ে ছড়াই আলোর ছটা।
তুমি আছ তাই নীলিমায় নীল, বাতাসে দখিনা হাওয়া,
মনের গহনে আজও চলে তাই, দুজনার আসা যাওয়া।
তুমি আছো বলে আজও বয়ে চলি,আমার জীবন তরণী,
হাসি মুখে থাকি শত দুঃখেও,প্রতিটি দিবস রজনী।
তুমি আছো বলে ভরে আছে প্রেম, সুরভিত অন্তর,
বিরাজী’বে তুমি আমার হৃদয়ে জন্ম জন্মান্তর।
কতদিন দেখা হয়নি জানি ,বাঁধিনিকো প্রেমডোরে,
হয়নি ভোরের আকাশ দেখা, মিষ্টি রোদ্দুরে।
হাঁটিনি কতদিন একসাথে মোরা,হয়নি বেড়াতে যাওয়া,
কতদিন হলো নৌকো চড়িনি,পালেতে লাগেনি হাওয়া ,
তবু রবে চিরদিন তুমি,আমার হৃদয় মাঝে,
তোমার হৃদয় স্পন্দন জেনো,মোর অন্তরে বাজে।
যদি করে থাকি ভুল,সব ভুলে গিয়ে করে দিও তুমি ক্ষমা,
চিঠিটা পড়লে বুঝবে আমারও কত ব্যথা ছিল জমা।
এতদিন তুমি হাজার বলেও লেখাতে পারোনি চিঠি,
সেই আমি আজ লিখেছি তোমাকে হৃদয়ের অনুভূতি।
পড়ে নিও তুমি দিবস পোহালে ,সকল কাজের শেষে,
রেখে দিও মোরে আপন হৃদয়ে অফুরান ভালোবেসে।
ইতি – গোরা
জয়ী
তোমাদের শোনাবো এক লড়াই এর কাহিনী,
যে কথা কখনো আমি, কাউকে বলিনি..
এক যে ছিল কন্যে , নাম ছিল তার জয়ী,
ছোট্ট থেকেই জীবন যুদ্ধে,, সে হয়েছে বিজয়ীl
লড়াইটা তার রক্তে ছিল, শক্তি ছিল মনে,
তার নামেতেই লুকিয়ে ছিল, সফলতা ‘র মানে !
মারণ রোগের শিকার ছিল, তখন ক্লাস সিক্স,
বাবাই তাকে শিখিয়ে ছিলো,যুদ্ধ জয়ের ট্রিক্স
কি নিদারুন যন্ত্রণায় কেটেছে প্রতিটা মাস,
সে কথা যদি বলতে হয়, হয়ে যাবে ইতিহাস।
রেডিওথেরাপি, কেমো’র যন্ত্রণা , দমাতে পারেনি তাকে,
মনের জোরের শক্তি কতটা, সে দেখিয়েছে বিশ্বকে !
তাই, হাল ছেড়োনা বন্ধু, শুধু কণ্ঠ ছাড়ো জোরে,
সব জয়ী-রাই হোক বিজয়ী, জীবন-যুদ্ধের প্রান্তরে..
সুয্যি মামা 🌞
ঘুমের ঘোরে হঠাৎ দেখি, চোখের ওপর আলো,
সত্যি করে বলবো কি ভাই মাথাটা হেব্বি গরম হোলো,
দেখ তো ওরে কে আছিস, কে ফেলে চোখে আলো,
আমার ঘুমে বেঘাত ঘটায়, কার এ সাহস হোলো ?
ওমা,দেখি সূয্যি মামা বলছে আমায় ডেকে
“একবার নয়ন মেলে দেখরে গোরা, প্রভাত উঁকি দিলো.
বিছানা ছেড়ে ওঠ রে এবার বেলা যে বয়ে গেলো।
বলি ওগো সূয্যি মামা
আমার সাথে তুমি ও নাহয় আর একটু ঘুম দাও
রোজ রোজ প্রভাত বেলায় উঠতে কেন চাও!!
সূয্যি মামা হেসে বলে পাগল ছেলে ওরে
রোজ প্রভাতে উঠতে কি আর আমারও ইচ্ছা করে।
বিশ্বজগত আমার আলোর প্রতীক্ষাতে রয়
তাই এই টুকু ত্যাগ তাদের জন্য আমায় করতে হয়.
আশীর্বাদ করো গো মামা আমিও যেন পারি
ত্যাগ এর আলোয় নিজেকে যেন বিশ্বে মেলে ধরি.
.গোরা .
মনি কে!
Caring nature এ তে মাদার এর বোন,
শিল্প সৃষ্টিতে আছে সদা মন..
চিন্তা ও মননে আছে স্বচ্ছতা অবিরত,
মনের জোরে ক্যান্সার ও করেছে প্রতিহত..
সাধারণ ভাবে সে যে স্বভাবেতে শান্ত
শুধু ভাগ্নে কে কাছে পেলে উদ্দাম, দুরন্ত..
প্রয়োজনে ছুটে যেতে, দেখেনা ফিরে,
সবকিছু বুঝে নেয় ঐটুকু শিরে..
ধর্ম অধৰ্ম বোঝে না সে কিছু,
ওপাড়ার কমলাও তার পিছু পিছু.
চাহিদা যেটুকু আছে সে বড় নগণ্য,
ছোট বড় যেই শোনে বলে তুমি ধন্য..
বড় ভালো মেয়ে সে তো সকলেই জানি,
তার কাছে যে গো আমি আজীবন ঋণী..
ভাবছোতো সে কে হবে? কে এতো গুণী!!
সে তো আর কেউ নয়,মোর নয়নের মনি.
.14/01/22
ভাল লাগে না..
কথায় কথায় গোরা বলে
লেখনা কিছু, লেখনা কিছুভাল লাগে না,
লেখার মতো ধৈর্য আমার
নেই তো এখন, বোঝাই কাকে??ভাল লাগে না..
যখন তখন লিখতে আমার
ভাল লাগে না, ভাল লাগে না…
খাতা পেনসিল এগিয়ে দিয়ে
বলে আঁকতো দেখি কেমন পারিস,ভাল লাগে না,
এসব নিয়ে বসতে এখন ভাল লাগে না..
ইচ্ছে হলেও লিখতে গেলে পাইনা ভাষা,
বোঝাই কাকে?? ভাল লাগে না..
মাথার দিন রাত্রি নিয়েছে কেড়ে
কর্পোরেট এর কাজের বোঝা,সবই তো জানিস ?? ভাল লাগে না..
নতুন করে এখনো এসব বলতে হবে??ভাল লাগে না.
বলে, কত কি তো লিখতিস তুই
কুড়িয়ে পাওয়া ছেঁড়া পাতায়!!লেখনা এখন..
সেই মন টাকে তুই খুঁজে নিয়ে লেখনা এখন..
দেখবি তখন সবকিছু তোর লাগবে ভালো, লাগবে ভালো..
নতুন নতুন লেখা যখন
বেরোবে রে তোর মগজ থেকে,লাগবে ভালো..
ভাববি, মগজটা তোর এখনো আছে
যেমন ছিল আগের দিনে.লাগবে ভালো..
কর্পোরেট এ নেয়নি কিছুই,
নিয়েছে শুধু সময় টুকুই,লাগবে ভালো..
হাসির রেখা ফুটবে তখন চোখের কোণে
দেখবি তখন সবকিছু তোর লাগবে ভালো, লাগবে ভালো..
নতুন নতুন কথামালা ঝরবে যখন
কলম থেকে মুক্ত হয়ে,
লাগবে ভালো , লাগবে ভালো, লাগবে ভালো..
আমার দেখা দুই চরিত্র সজল, সৌমিত্র
কারণে বা অকারণে ওরা পরস্পরের মিত্র..
কাজের সূত্রে আলাপ ওদের এখন ওরা বন্ধু,
মনের জোরে একসাথে পার করে যায় সিন্ধু..
এসেছে অনেক বিঘ্ন বিপদ, তৈরী হয়েছে শঙ্কা,
সব কিছু পার করে ওরা,বাজিয়েছে জয়ডঙ্কা.
যখনই দেখি দুজনে আসে একসাথে বেচে মাল,
কাজের শেষে সৌমিত্রদা গানেও করে কামাল..
সজল তো সদা হাস্যময় থাকে খুশি খুশি,
শুধু বেচার জন্য মাথা খারাপ করে একটু বেশি..
কাজের শেষে আড্ডা চলে, সঙ্গে মুড়ি চা,
আর আমার লেখা আবোল তাবোল কবিতার চর্চা..
দুজনেই বড় আপন আমার কাছের মানুষ তারা,
দোকানে এলেই গল্পে,আড্ডায় থাকি মাতোয়ারা..
যেন এমনি ভাবেই বন্ধু হয়ে থাকি সারাজীবন,
কারণ বন্ধু,শুধু বন্ধুই হয়,বন্ধু চিরন্তন..
কতদিন পরে তুমি এলে,ভোরের স্বপ্ন হয়ে,
মাথায় ছোঁয়ালে হাত, বললে, সুপ্রভাত..
শুধালে কেমন আছিস?এখনো আমায় ভালোবাসিস?
মনে পড়ে আমায়? মা গো, কিভাবে ভুলবো তোমায়!
মা, কেমন আছো তুমি? বড় কষ্টে আছি আমি..
তুমি তো সব জানো তবু আসোনা কেন?
আমায় একলা ফেলে, তুমি কি করে চলে গেলে!
প্রতি রাতে বুকটা আমার, ডুকরে কেঁদে ওঠে,
মাথার পাশে বসে যদি,বুকে হাতটা বুলিয়ে দিতে ..
ঘুমের মধ্যে হাত দুটো আজ খুঁজছে আমার মাকে
মিস করছি বড্ড মাগো, তোমার আদরটাকে.
কোথায় আছো তুমি মাগো, একটু দেখা দাও,
আমার কথা না ভেবে, তুমি কিভাবে চলে যাও?
ওরে পাগল ছেলে,
আমি আছি তোরই কাছে, তোর’ই চোখের তারায়,
যখনই তুই চাইবি ওরে, দেখতে পাবি আমায়..
হঠাৎই মনে হলো,
কেউ বুঝি আজ, আমার, ঘুম ভাঙাতে চাইছে,
তাই বুঝি কপালে কেউ, ফোঁটা ফোঁটা জল ঢালছে..
তাহলে কি সত্যি মাগো, তুমি এসেছো আমার কাছে!
এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে,আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেছে..
ঘুম থেকে উঠে, হাতটা যখন দিয়েছি কপালে,
দেখি সত্যি সত্যি কপাল আমার,ভিজে আছে আজ জলে !
তবে কি কপালে আমার, মায়ের চোখের জল !
তখন সুধাই চোখের জলে,
তবে কি মাগো, তুমি সত্যি এসেছিলে!!
আমায় দেখা টুকু না দিয়ে, তুমি কোথায় চলে গেলে,
মাগো, কোথায় চলে গেলে!!
গোরা ..29/07/2019
.. অনীশ-চিত্রকর-ব্যানার্জী..
হে চিত্রকর,আঁকো দেখি ভালোকরে কয়খান চিত্র,
প্রকৃতির যত কিছু আছে বৈচিত্র্য..
গাছ আঁকো 🌳পাখি আঁকো 🦜আঁকো দেখি ফুল
🥀 আঁকো দেখি ঘরবাড়ি,🏠রাস্তা ও স্কুল..
বাস আঁকো, লরি আঁকো 🚒, আঁকো দেখি ট্রাম,
আর আঁকো তবলা, হারমোনিয়াম, 🎹
জামা আঁকো, জুতো আঁকো,আঁকো তুমি সব-ই,
যেন দেখে বোঝা যায়, এঁকেছে তো বাবি..
চেয়ার আঁকো,টেবিল আঁকো, আঁকো দেখি খাট,
আর আঁকো কলেজের ফুটবল মাঠ..
ঝর্ণার জল আঁকো, আঁকো তুমি বন,
আর মন জুড়ে আছে যত অবুজ স্বপন..
ঘর জুড়ে ছবি আঁকো মন চায় যেটা,
তবেই তো বুঝবো তুমি অরুনেরই বেটা..
পাহাড় আঁকো,⛰ নদী আঁকো,আঁকো তুমি সব-ই,
টুপ্ করে উঠে পড়া প্রভাতের রবি.. 🌝
খাতা আঁকো,বই আঁকো, আঁকো তোমার মর্জি,
পারলেই বুঝবো তুমি অনীশ ব্যানার্জী..
কন্যা ..
সেদিনের সেই কন্যা তুই তো আর নেই ..
কোথায় যেন হারিয়ে গেছিস নিজের অজান্তেই .
যতদিন তুই কন্যা ছিলি সেটাই ছিল ভালো
বড় হাওয়ার বাসনাতে হারালি স্বপ্নগুলো .
তোকে নিয়ে অনেক আশা জমিয়েছিলাম মনে
সব আসার এ জলাঞ্জালি, তোর বড় হওয়ার ক্ষনে.
সেদিনের সেই কন্যা , তুই তো আর নেই ..
কোথায় যেন হারিয়ে গেছিস নিজের অজান্তেই..
হয়তো আমার ভাবনাতেই ছিল মস্ত ভুল ,
স্বপ্ন কিছু ছিলই না তোর , শুধুই ছিলো ভুল .
লোকে বলে মেয়েরা সুযোগ যদি পেত
বড় হয়ে তারাও নাকি মস্ত মানুষ হত .
তাই -ত আমি চেয়েছিলাম একটু সুযোগ দিতে .
জাতে তুই ও বড় হয়ে পারিস মানুষ হতে
মানুষের মত মানুষ হ এই টুকু তো চাই
যাতে আমারও হ্রদয়খানি খুশি তে ভরে যায়।
🧚… কৌশানি -চিত্রকর -সেন…
🧚♀হে চিত্রকর,আঁকো দেখি ভালোকরে কয়খান চিত্র,
প্রকৃতির যত কিছু আছে বৈচিত্র্য…
গাছ আঁকো 🌳পাখি আঁকো 🦜আঁকো দেখি ফুল
🥀 আর আঁকো ঘরবাড়ি,🏠রাস্তা ও স্কুল..
বাস আঁকো, লরি আঁকো 🚒, আঁকো দেখি ট্রাম,
আর আঁকো তবলা, হারমোনিয়াম,
🎹জামা আঁকো 👚প্যান্ট আঁকো,আঁকো চুড়িদার 👗
আর মা’র কাছে খেতে চাওয়া যত আবদার..
চেয়ার আঁকো,টেবিল আঁকো, আঁকো দেখি খাট,
আর আঁকো তোমাদের ফুটবল মাঠ.. ⛹♀
পাহাড় আঁকো,⛰ নদী আঁকো,আঁকো তুমি সব-ই,
আঁকো দেখি সাগরেতে মিশে যাওয়া রবি.. 🌝
খাতা আঁকো,📒 বই আঁকো, আঁকো দেখি পেন,
✒ পারলেই বুঝবো তুমি কৌশানি সেন.. 👧
……… বিবাহ বন্ধনে …….
দেখতে দেখতে 11 বছর, পেরিয়ে এলাম মোরা,
ছাদনাতলার, সাতপাকের কোনো বাঁধন ছাড়া,
মনের গোপনে কঠিন বাঁধনে বেঁধেছি দুজন দুজনে,
নাইবা বাঁধা পড়লাম মোরা, সাতপাকের বাঁধনে..
সাক্ষী ছিল বন্ধুরা সব, সাক্ষী বড়রা,
সাক্ষী ছিল দোয়াত কলম, সাক্ষী ছিলাম মোরা..
সাক্ষী স্বয়ং সাধু বাবা, সাক্ষী নারায়ণ,
সাক্ষী ছিল আমন্ত্রিত প্রিয় মানুষজন..
দেখতে দেখতে 11বছর কেটেছে মোদের বেশ,
তবু সেদিনের সেই ক্ষণটার এখনো রয়েছে রেশ..
এসেছে অনেক বিঘ্ন বিপদ, এসেছে দুঃখ কষ্ট,
করেছি লড়েছি একসাথে, কখনো হইনিকো পথ ভ্রস্ট.
যেন এমনি ভাবেই কাটেগো দিন, কাটে বছর মাস,
যতক্ষণ না সাথে থাকার, মিটবে মোদের আশ..
আকাশে আজ রঙের খেলা বাতাসে বাজছে বীন
আজ যে মোদের আকাশের শুভ জন্মদিন..
ভালোবাসায়, শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলাম তোরে
সকল বিপদ হতে যেন থাকতে পারিস দূরে.
সুরভি তোর ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীর কোণে কোণে
যেন একডাকে তোকে চিনতে পারে বিশ্বে জনে জনে..
ঈশ্বর সদা মঙ্গলময় তাই আবদার করি তাঁরে
যেন মানুষের মতো মানুষ হোস আর কিছু চাইনারে..
……শুভ জন্মদিন ওম …….
আজ বড়ই খুশির দিন, আজ ওম এর জন্মদিন,
আশীর্বাদে উঠুক ভোরে, দিনগুলো হোক রঙিন…
সুশিক্ষাতে পূর্ণ হোক, তোর আগামী দিনগুলো,
বিকশিত হোক নিজস্বতার, ফুটুক পাপড়িগুলো…
সুর সাধনায় মগ্ন থাকিস মনেতে রাখিস খুশি,
ওম, সত্যি বলবো কি তোকে বড্ড ভালোবাসি..
ঈশ্বর সদা মঙ্গল ময়, তাই আবদার করি তাঁরে,
যেন, তোর জ্ঞান -এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে..
16/11/2019
…….আমার গানের দিদি…..
দিদি তোমার জন্মবারে
সকলে মিলে একজোট হয়ে প্রার্থনা করি ঈশ্বর এ
তোমার জ্ঞানের ব্যাপ্তি যেন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে .
যেমন করে সূর্য চন্দ্র ছড়ায় এতো আলো ,
তেমন ভাবেই সৃষ্টি সুখে জ্বালাও জ্ঞানের আলো.
তুমি জ্বালাও জ্ঞানের আলো.
তোমার আলোয় আলোকিত হোক কচি কাঁচাদের দল ,
ওরা সঠিক দিশায় এগিয়ে চলুক এই হোক সম্বল.
ঈশ্বর সদা মঙ্গল ময় তাই আবদার করি তাঁরে
এই দিন টাই ফিরে আসে যেন প্রতি বছরে বছরে..
…….প্রিয় মীনাক্ষী দি……
দিদি তোমার জন্মবারে
কবিতা প্রেমীরা একজোট হয়ে প্রার্থনা করি ঈশ্বর এ ,
যেন তোমার ‘স্রষ্টা-তুমি’ র ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে .
যেমন করে সূর্য চন্দ্র ছড়ায় এতো আলো ,
তেমনি ভাবেই সৃষ্টি সুখে ঘোচাও মলিনতার কালো..
তোমার আলোয় আলোকিত হোক কাব্যপ্রেমীর দল,
সুরভী তোমার লেখনীর হোক ওদের জীবনভোরের সম্বল..
মন ছুঁয়ে যাক তোমার লেখনী প্রাণে ভোরে দিক খুশি,
দিদি সত্যি বলতে কি, তোমার সৃষ্টি বড্ড ভালোবাসি.
ঈশ্বর সদা মঙ্গল ময় তাই আবদার করি তাঁরে,
তোমার লেখনী যেন বিরাজ করে সকলের ঘরে ঘরে..
গোরা..
আমার খানাকুল..
মাঠের পাশে বাবু-দের ছিল মাটির দোতালা বাড়ি,
ভালোবেসে দোতলার ঘর ওরা দিছিলো মোদের ছাড়ি.
তার একটাই ঘর, একটু দালান, নেইকো রান্নাঘর,
সেই ঘরেতেই ছিল দিদির আমার সংসার..
সেই প্রথম গ্রাম থেকে উঠে খানাকুলে চলে আসা,
অভাবের মাঝে সেই আমাদের ছোট্ট সুখের বাসা…
মাস্টার্স করে, বিয়েড করে বাড়িতেই ছিল বসা,
সমীর স্যার-ই দিদির মনে জুগিয়ে দিলো আশা…
স্যার এর ছাত্র নিয়েই দিদির টিউশনে হাতে খড়ি
1টা ব্যাচ পড়িয়ে সেখানে পেতো মাত্র দুশোকুড়ি..
তবু ওটাই ছিল অনেকখানি, ওটাই অক্সিজেন,
যেন কাঠফাটা রোদে তৃপ্তি আনা এক পশলা rain…
রাতের বেলা
আদা কুঁচি দিয়ে বাঁধাকপি করে খেয়েছি যে কত মুড়ি,
মনের খুশিতে দুইজনে বসে,দিয়েছি স্বপ্নে পাড়ি..
সময়ের সাথে সাথে দিদির টিউশনও গেল বেড়ে,
ভাড়া নিয়ে হাজির হলাম বাবা ঘন্টেশ্বরের মোড়ে…
মা এলো, মেজদা এলো, ওখানে দাদার ও হলো বিয়ে,
বাবু আমাদের লায়েক হলো কলকাতায় গিয়ে..
দিদিও তখন চাকরি পেলো ধনিয়াখালি স্কুলে,
আসতে আসতে স্বপ্ন গুলো উড়লো ডানা মেলে…
দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি তখন,ভাসছি প্রেমের বন্যায়,
হারিয়ে গেল সেই ভালোবাসাও নানান জটিলতায়…
আসতে,আসতে সময় গেল, দিদিও চাকরি পেলো,
কলেজের পাঠ ফুরোলো আমার, দিদির ও বিয়ে হলো.
অরু আমার জামাইবাবু আসলে বড় দাদা,
সে যে মোর বড়ই আপন, যেন জন্ম সূত্রে বাঁধা..
দিদির বাড়ি ও এখন থেকে আমারি এক বাড়ি,
সেখানেই ঠাঁই নিলাম আমি ,নিজের বাড়ি ছাড়ি..
বহু সুখ স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই খানাকুল জুড়ে,
রেখেছি তাদের সিন্দুকে ভরে মনের গভীরে….
কোথায় যাদবপুর আর কোথায় মণিপুর
ক্লান্ত হয়ে বসবে যখন, ভাববে ভরদুপুর!!
ইচ্ছে হলেও পাবেনা দেখা, হায় সে কতদূর ,
মন বীণায় বাজবে জানি মনখারাপের সুর।
ব্যাস্ততায় কাটবে সময়,থাকবো নানান কাজে,
তবু জেনো থাকবে তুমি আমার হৃদয় মাঝে।
ফিরলে জেনো তোমার সাথেই করবো খুনসুটি,
জমানো কথার ফুলফুটিও, করবোনা দিন মাটি।।
Comments are closed.