কবিতার খাতা

পূজা পর্যায়

নিয়মিত করো ধ্যান, সোঁপে দাও মন প্রাণ,
সব জমা প্রশ্নের মিলে যাবে সমাধান.

যা চাও সব পাবে সবকিছু তাঁরই দান,
হাতখানি বাড়ায়ে রয়েছেন ভগবান..

সৎ মনে সেবা করো আর্ত বা দীন এ,
ঠিক সবে খুঁজে পাবে জীবনের মানে..

সব প্রাণে আছে জেনো অফুরান শক্তি,
শুধু রাখো বিশ্বাস,আর ঈশ্বরে ভক্তি.

14/01/22..

তোমায় শুধু পূজি প্রভু তোমায় শুধু পূজি,

মন্দির নয়, মসজিদে নয় জীবের মাঝে খুঁজি.

সাধন ভজন জানিনা আমি সাধন ভজন করিনা,

সবার মাঝে খুঁজে বেড়াই তোমার মহিমা.

তোমার চরণ তলে ঠাঁই দিও গো পূজব তোমায় রোজ,

যেন শান্তি টুকু থাকে প্রাণে দিও গো তার খোঁজ..

তোমার অসীম অপার বিশালতায় আমি নগণ্য এক জীব,

জীবের মাঝে খুঁজে বেড়াই আমার পূজ্য শিব.

26/04/2021

দেখতে দেখতে জনম গেলো তবু,মানুষ চেনা হলো না,

যাদের জন্য সোঁপে দিলাম তারাও আমায় বুঝলো না..

ভরসা ছিল যাদের নিয়ে করলো তারাই পর,

এতোদিনেও বুঝলাম নারে কে আপন কে পর..

 সত্যি কি এই জীবনেআপন কিছু হয়??

আজও যারে আপন ভাবি হয়তো সেও নয়!!

তবু এগিয়ে যেতে হবে মোদের বিশ্বাসে ভর করে,

ভরসা রাখো সবাই ওগো মহান ঈশ্বরে..

শক্তি রেখো ভিতর থেকে না যেন হয় ক্ষয়,

একদিন ঠিক হবে জানি বিশ্বাসেরই জয়,

25/04/2021

প্রকৃতি পর্যায়

শোন্ রে পাখি শোন্

শোন রে পাখি শোন্, শোন রে পাখি শোন্,

তোদের জন্য বানিয়ে দেবো সবুজ ঘেরা বন.

তোদের স্বপ্ন ভেঙে জানি হচ্ছে ইমারত, 

আমি তোদের জন্য গড়ে দেবো নতুন ভবিষ্যৎ..

তখন কোনো বিপদ, তোদের পারবে না রে ছুঁতে,

নাচবি, খেলবি খুশি মনে, থাকবি রে একসাথে..

নানান সুরের ছটায় তোরা গাইবি কত গান,

সেই সুরের’ই মূর্ছনা’তে ভরবে রে মন প্রাণ..

বাঁধবি বাসা চারপাশে তে, করবি তোরা ভিড়,

তারই মাঝে গড়বো রে মোর ছোট্ট সুখের নীড়.

তোদের জন্য রেখে দেবো হরেক রকম খাবার

তোদের জন্য বানিয়ে দেবো এক মস্ত জলাধার.

তোরা ডুব দিবি সেথা মনের সুখে,খাবি মিষ্টি জল

তোদের নিয়েই থাকবো আমি, কাটবে প্রতিপল..

যেদিন আমার হারিয়ে যাবার থাকবেনা রে মানা,

সেদিন,তোদের সাথেই হারাবো রে,উড়িয়ে ইচ্ছে ডানা.

গোরা.. 

সুয্যি মামার রোষে..

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা, একটু তো দয়া করো,

নইলে যে গো সাদা চামড়া, থাকবেনা আর কারো।

কালোরা হচ্ছে কুচকুচে কালো, সাদায় পড়ছে ট্যান,

দেহের ভিতরও শুকিয়ে যাচ্ছে, আর কোরো না গো অভিমান।

এবারের মতো ক্ষমা করো মামা, রাগটা কমাও তোমার,

নইলে এ ধরা তে প্রাণের দেখা, মিলবেনা কভু আর।

সূয্যি মামা গর্জে বলে, শোন আহাম্মকের দল,

নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল, মারছিস কেন বল।

সবুজ ধরণী ধংস করে, গড়ছিস ইমারত বড় বড়,

আমার রোষের কবলে তাই পড়তেই হবে আরও।

দহন জ্বালায় জ্বলে পুড়ে যাবি, থাকবেনা কিছু আর,

জন্মভূমি কে ধংস করার, মিলবে পুরস্কার।

শপথ কর একসাথে তোরা,ধরা কে করবিনা মরুভূমি,

তখন দেখবি আমি ও বাঁচাবো, তোদের মাতৃভূমি।

গাছের ছায়ায় জিরোতে পারবি, পরান জুড়াবে তোরও,

প্রখর দহনে, গায়ের চামড়া, পুড়বেনা আর কারো।

গোরা..

আমার টিয়া 🦜

আমার টিয়া বন্দী আছে, চার দেওয়ালের মাঝে,

আমার টিয়া স্বপ্ন দেখে, উড়বে সকাল সাঁঝে।

আমার টিয়া ভাবে বসে, মিলবে খুশির ডানা!!

ইচ্ছা মতো উড়তে পারবে, থাকবেনা তার মানা।

আমার টিয়া ভাবে সে যে বসবে গাছের ডালে,

প্রানের বন্ধু থাকবে সাথে, নাচবে তালে তালে।

আমার টিয়া স্বপ্ন দেখে ঘুরছে আপন মনে,

স্নান করছে মনের সুখে বৃষ্টি ভেজা দিনে।

আমার টিয়া ভাবে বসে গাইবে কত গান,

নানান সুরের ছটায় সে যে ভরাবে সবার প্রাণ।

আমার টিয়া মস্ত ভীতু, বড্ড একা একা,

আমার টিয়ার কষ্ট যে গো,যায়না চোখে দেখা।

যেন আমার টিয়া খেলতে পারে,বসতে পারে ডালে,

নীল আকাশে উড়তে পারে খুশির ডানা মেলে।

যেন আমার টিয়া শোনাতে পারে নানা সুরের গান,

আমার টিয়ার হয় যেন গো বিশ্ব জোড়া নাম।

যেন আমার টিয়া যেতে পারে সবুজ ঘেরা দেশে,

স্বাধীন ডানায় উড়তে পারে জীবনকে ভালোবেসে।

যেন আমার টিয়া বাধঁতে পারে ছোট্ট সুখের ঘর.

যেন আমার টিয়া পায়গো খুঁজে মিষ্টি বন্ধুবর।।।

গোরা..

বাউল মন

ক’দিন ছাড়াই মনটা আমার সাগর পানে ধায়,

সাগর তীরে ,ঝাউ এর বনে নীল আকাশের গায়ে..

কিসের নেশায় ছুটে মরি কিছুই জানিনা!!

মনটা শুধুই খুঁজে ফেরে অসীম সীমানা..

সীমার মাঝে অসীম আকাশ মিলায় সাগরে,

অস্তাচলের রবির খোঁজে, মন হারায় গভীরে..

দুই অসীমের মিলন দেখি সাগর পারে বসে,

নোনতা হাওয়ায় জলের কণা ঠোঁটের কোণে মেশে..

বালুর চরে লাল কাঁকড়া আশায় বাঁধে ঘর,

অজানা ঢেউ এ ভাসায় সে ঘর, পড়ে থাকে বালুচর.

বাউল আমি এসব দেখে বাধঁতে থাকি গান,

সেই গানেরই সুরে সুরে উদাস করে প্রাণ.

গোরা..

 

রূপকথা

সবাই যাচে বৃষ্টিকে আজ, বৃষ্টি কখন নামবে !

শান্তির বারি ঢালবে ভুবনে, প্রখর দহন কমবে।

বৃষ্টি কিভাবে নামবে ? বলো, বৃষ্টি কিভাবে নামবে !

ধ্বংস করছো সবুজ ধরনী , মরুভূমি হলে থামবে !

চারিদিকে আজ ইমারত শুধু , সবুজ কিভাবে বাঁচবে ?

সব জেনেশুনে নিজের পায়ে,নিজেই কুড়ুল মারবে ?

ইমারত ছেড়ে একজোট হয়ে সবুজ কে কাছে টানবে ?

নাকি রুক্ষ মরুতে ইমারত গড়ে নিজের কবর খুঁড়বে  ?

সবুজ বাঁচলে অধরা বৃষ্টির ঠিক জেনো দেখা মিলবে ,

দেখবে তখন সবুজের রূপে বৃষ্টি ও প্রেমে পড়বে .

ভাসাবে ধরনী, জুড়াবে দহন , বাঁচবে সবাই বাঁচবে ,

বৃষ্টি সবুজ প্রেমের কাহিনী রূপকথা হয়ে থাকবে

..গোরা..

 

 

মেঘের দেখা!

মেঘ কে নিয়ে সবাই দেখি, করছে আলোচনা,

হন্নে হয়ে খুঁজছে সবাই, তবু দেখা মেলে না!

কোথায় গেছে, কোথায় আছে, না জানি কোন দেশে,

কেমনে তারে আনবো খুঁজে,কোথায় আছে ভেসে !

কি করলে পাবো ওরে, মেঘের দেখা বল?

কি করলে বৃষ্টি হয়ে, নামবে মেঘের দল?

গল্প দাদু বলেন ডেকে, শোনো বাছা শোনো,

সময় সুযোগ করে, কিছু গাছের চারা বুনো।

দেখা সেদিন পাবে ও ভাই, দেখা সেদিন পাবে,

যেদিন এ ধূ ধূ প্রান্তর, সবুজ ঘেরা হবে।

গাছের সাথে মেঘের জেনো, নিবিড় নাড়ির টান,

গাছ লাগালেই মিলবে দেখো,মেঘের সন্ধান।

তাই একজোট হয়ে করো সবাই, সবুজের আহ্বান,

তবেই বাঁচবে তুমি, বাঁচবো আমি, বাঁচবে সবার প্রাণ।।।

 

 

সবুজ প্রেম কথা

বৃষ্টি আজ এসেছে শুধু তোমায় ভালোবেসে,

মাথা তুলে তুমি দাঁড়াও ‘সবুজ’ এই বৃষ্টি’র সাথে মিশে।

জানি শুকিয়ে যাচ্ছো জলাভাবে হোচ্ছ নিরস মরুভূমি,

বৃষ্টি তাই এসেছে বাঁচাতে তোমার বনভূমি।

আশ্রয় মাগি পাখিরা দেখো তাকিয়ে তোমার পানে,

প্রখর দহনে পুড়ছে যারা ,তাকিয়ে তারাও ছায়ার টানে।

জোনাকির আলো ছড়িয়ে পড়বে তোমার লতায়

পাতায়,কত প্রাণী পাবে নিজেদের মতো বাঁচবার আশ্রয়।

আশ্রয় পাবে কত শত পাখি সবুজ ছত্র ছায়ায় ,

বৃষ্টি তখন নাচবে খুশিতে তোমার শিরায় শিরায়।

যারা কথায় কথায় মুক্তি খোঁজে নিজের জীবন থেকে,

তোমায় দেখে নতুন করে যেন বাঁচতে তারাও শেখে।

তুমি না থাকলে অধরা বৃষ্টি থাকবেনা ধরণী,

হারিয়ে যাবে বৃষ্টি-সবুজ প্রেমের কাহিনী।

তাই,আশার আলো দেখাও সবুজ ছোঁয়াও প্রাণে বৃষ্টি,

আগামী পৃথিবী সবুজে ভাসুক হোক নব কিশলয় সৃষ্টি।।

 28/10/21

 

 

সাদা কালো মেঘ

আজকে দেখি মেঘেরা সব নামছে ধরার পানে,

বৃষ্টি হয়ে ঝরবে কখন, ওরাই শুধু জানে..

ব্রিগেডে নাকি এসব নিয়েই মিটিঙে আছে ওরা,

ঠিক হবে সেথায়,নামবে কোথায় হয়ে জলের ধারা.

সাদার সাথে কালো মেঘের লেগেছে ঝামেলা,

অংশীদারী নিয়ে সেথা হচ্ছে জটলা,

কালো বলে নামবো এখন এই শহর কলকাতায়,

সাদা বলে যা রে তুই অচিন পাড়া গাঁয়..

এ শহর ভাসাতে আমি আছি, তোকে দরকার গ্রামে,

দেখবি সেথায় তোরে করবে বরণ অনেক ধুমধামে..

সেখানে একটু জলের জন্য চারিদিকে হাহাকার,

জলের অভাবে চাষীরা পথবাছে আত্মহত্যার.

কালো বলে চল তাহলে দুজানাতেই যাই,

অঝোর ধারা হয়ে মোরা ওদেরে ভাসাই.

 

 

বৃষ্টি ‘আজ এসেছে দেখো শুধু তোমায় ভালোবেসে,

মাথা তুলে তুমি দাঁড়াও ‘সবুজ’,এই বৃষ্টি’র সাথে মিশে..

জানি শুকিয়ে যাচ্ছো জলাভাবে ,হোচ্ছ নিরস মরুভূমি,

বৃষ্টি তাই এসেছে ফিরে বাঁচাতে তোমার বনভূমি..

পাখিরা দেখো আশ্রয় মাগি ,তাকিয়ে তোমার পানে,

প্রখর দহনে পুড়ছে যারা,তারাও তাকিয়ে ছায়ার টানে..

জোনাকির আলো ছড়িয়ে পড়বে,তোমার লতায় পাতায়.

পশুরাও পাবে নিজেদের মতো,একটু বাঁচবার আশ্রয়.

আশ্রয় পাবে কত শত পাখি,সবুজ ছত্র ছায়ায় ,

বৃষ্টি তখন নাচবে খুশিতে,তোমার শিরায় শিরায়

কথায় কথায় যারা মুক্তি খোঁজে ,নিজের জীবন থেকে,

তোমায় দেখে নতুন করে ,যেন তারাও বাঁচতে শেখে.

এসো গো ‘বৃষ্টি ‘বছর বছর,আমাদের এই ধরায়,

যেন সবুজ আরও হয় গো ‘সবুজ’,তোমার ভালোবাসায়..

 

১০

 

জীবন যেমন বাঁচায় রে জল,
জল ও বাঁচাক জীবন,
তবেই কিনা জলের জন্য
হবেনা মরণ বাঁচন …

জলের জন্য জীবন মোদের
সারা জীবন ঋণী,
জল বিনা  জীবন খানি
থাকবে নাতো জানি,,

জল বাঁচাও,জল বাঁচাও
দেখো বলছে সরকার,
যাতে জলের জন্য কখনো যেন,
না আসে হাহাকার….

চলো শপথ করি সবাই মোরা
জল বাঁচাব আরও,
যাতে জলের অভাবে আর কখনো
প্রাণটা না যায় কারো..

 

১১

 

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা তুমি কেমনে দাও পাড়ি?

পূর্ব হতে পশ্চিমেতে এতো তাড়াতাড়ি!!

সূয্যি মামা বলে ওরে পাড়ি তো দিস তুই,

আমি শুধু আলোর খোঁজে বিশ্বে চেয়ে রই.

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা একটা কথা বলো!!

তোমার কাছে এতো আলো কেমন করে এলো?

তোমার থেকে পাই যদি গো একটি কণা আলো,

ওই আলোতেই ঘোচাতে পারি আমার অন্ধকারের কালো.

সূয্যি মামা বলে ওরে সেই তো আমার আলো,

জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা,যা কিছু আছে ভালো..

তোর থেকেই চাইরে নিতে ওই একটি কণা আলো,

মহান যদি হতে পারিস বা ওদের চেয়েও ভালো..

সূয্যি মামা, সূয্যি মামা আর একটা কথা বলো?

তোমার চোখে এই পৃথিবীর ভালো কাদের বলো !!

ওরে এই দুনিয়ার তাঁরাই ভালো, তাঁরাই হল মহান,

যাঁরা বৃহৎ স্বার্থে নিজের স্বার্থ দেয় রে বলিদান.

আশীর্বাদ করোগো মামা, আমিও যেন পারি,

ত্যাগ এর আলোয় নিজেকে যেন বিশ্বে মেলে ধরি..

 

১২

 

দেখেছি ভোরের সূর্য টাকে

দেখেছি মুছে যাচ্ছে আঁধারের কালো,

শুনেছি পাখিদের কলকাকলি

মেখেছি প্রভাত বেলার আলো…

দেখেছি পাহাড়ের নির্জনতা,

নিয়েছি লাল মাটির ঘ্রান.

প্রকৃতির রূপে হয়েছি মুগ্ধ

ভরিয়ে নিয়েছি প্রাণ….

দেখেছি গ্রাম্য মানুষের সরলতা,

নিয়েছি সোঁদা মাটির গন্ধ,

দেখেছি পলাশের স্নিগ্ধতা

হয়েছি প্রকৃতির প্রেমে অন্ধ..

 

১৩

 

ছোট্ট চড়াই সকাল বেলা, বসলো বারান্দায়,
বলে,গোমড়া মুখে বসে কেন?কার অপেক্ষায়???

কার ওপরে রাগ করেছিস?? কে দিয়েছে ব্যথা??
আমার কাছে বল দেখি তুই, কি তোর গোপন কথা?

যাওয়ার পথে দেখা হলে, বলবো রে তোর কথা,
বলবো কত রেগে আছিস, কতনা জমানো ব্যথা..

হয়তো, দেখবি জানেই না সে,তোর এই রাগের কথা,
এতো কিছু বোঝার মতো, তার নেই রে জটিলতা..

((আমার রাগের কারণ বলো কেন বোঝে না?
তাকে ছাড়া যে আমার সময় কাটেনা..))

কবে সে আর বুঝবে বলো আমার অভিমান,
কষ্ট শুধু দিয়েই গেল, রাখলো না মোর মান..

ওগো ছোট্ট চড়াই বোলো তাকে,ধরেছি আমি তান
যেন শুনলে পরে শোনায় এসে মান ভাঙানোর গান

নইলে পরে চলেই যাব যেদিকে দুচোখ যায়,
তুমিও সেদিন কাঁদবে বসে আমার অপেক্ষায়..

 

১৪

 

ভোরের আলোয় চোখ মেলবো
মেলবো পাপড়ি গুলো
গোলাপ হয়ে ফুটব আমি
হবো প্রভাতের আলো..

অমল আলোয় রাঙাবো ভুবন
সুবাসে ভরাবো অন্তর,
জীবন হবে রঙিন সবার
মুখরিত হবে অম্বর..

 

১৫

 

মেঘকে নিয়ে সবাই দেখি, করছে আলোচনা,
খুঁজছে সবাই আকাশ পানে, মেঘের আনাগোনা..

কেউ বলছে মিলবে দেখা, ভরা শ্রাবণ মাসে,
কেউ বা বলছে, পেয়েছে দেখা, প্রতিবেশীর দেশে l

ভুটানের রাজা নাকি করেছে তারে গ্রীন কার্ড হোল্ডার,
তার দেখা তাই এখানে, মিলছে না তো আর!!

বৃষ্টির সাথে জমিয়ে সেখানে, করছে লুটোপুটি,
এখানে কাঠফাটা রোদে, মরছে সবাই,
শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি..

সরকার তাই করছে নাকি, নতুন amendment,
লোকসভায় আনছে বিল,Greenary development !
এবার,
গ্রীনকার্ড ছেড়ে মেঘেরা সব, আসবে এখানে,
কোনোদিন যারা চায়নি যেতে, বিদেশ -বিভুঁয়ে..

ঘুচে যাবে ক্ষরা, ভিজবে ধরা,ভরবে জলাগুলি,
দেশের মাটি ছাড়ার ভাবনা ভুলে যাবে মেঘগুলি l

 

১৬

 

আজকে দেখি মেঘেরা সব, নেমেছে ধরার পানে,
এতদিন যে কোথায় ছিলো, ওরাই শুধু জানে !

হন্যে হয়ে এতদিন শুধু, খুঁজেছি সকাল সাঁঝে,
আজ দেখছি বৃষ্টি হয়ে, ঝরছে মাঝে মাঝে..

পাহাড়চূড়া ঢেকে গেছে কালো মেঘের সারি,
সূয্যি মামা দিয়েছে বুঝি আরবদেশে পাড়ি..

গাছেরা আজ খুশিতে মেলেছে ডালপালা,
পাখিরাও সব কাকভেজা হয়ে খেলছে দুপুর বেলা..

স্কুলের যত বাচ্ছারা সব, ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরছে,
আর পাড়ার ছেলেরা একজোট হয়ে,পুকুরে ঝাঁপাচ্ছে.

এমনি ভাবেই ঝরো ও মেঘ, বৃষ্টি হয়ে ঝরো,
যাতে আর চোখের কোণে, জল না জমে কারো..

বৃষ্টি হয়ে ঝরো ও মেঘ, অঝোর ধারাতে,,,
যাতে শস্য শ্যামলা হয় গো ধরা ,এ ঘোর বর্ষাতে..

 

১৭

 

.. ইচ্ছে ডানা…🦋

যদি কখনো ইচ্ছা করে দেবো সাগর দীপ এ পাড়ি,

সময় মেনে ঘরে ফেরার থাকবেনা কড়াকড়ি.

বাঁধন ছেঁড়া হবো আমিথাকবেনা কোনো মানা,

এ গাছ সে গাছ ঘুরবো আমি উড়িয়ে ইচ্ছে ডানা.

সন্ধ্যা যখন নামবে তখন বসবো গাছের ডালে,

পাখপাখালি সঙ্গে নিয়ে নাচবো তালে তালে.

তোমার স্মৃতির জাবর কেটে কাটবে সারারাত,

ভোরের আলো পড়বে চোখ এ আসবে সুপ্রভাত .

তখন আবার বেরিয়ে যাবো সারাদিন এর তরে,

নতুন করে দেখবো আবার বিশ্বজগত টারে.

এমনি করেই কাটবে গো দিন কাটবে বছর মাস

যতক্ষণ না বিশ্বদেখার মিটবে আমার আশ.

 

১৮

 

বুলবুলি


বুলবুলিটা মিষ্টি সুরে
গান ধরেছে ভারি,
বলে আয় তো মনি হারমণিটা
ধরতো তাড়াতাড়ি,
রিহার্সালটা সেরে নিই চল,
আছে প্রোগ্রাম নন্দনে,
গুণী জন্ সব থাকবে সেথায়,
আমায় ফেলনা ভাবিস নে।
কোকিল মশাই বিচারকের
আসন নেবেন আজ,
ঝালিয়ে নিচ্ছি গান গুলো তাই,
সব কপালে ফেলবো ভাঁজ।
ক্লাসিকালটা শিখেছি আমি
কাকাতুয়ার কাছে,
ময়না,টিয়ার কাছেও আমার
তালিম নেওয়া আছে।
সেরার মুকুট পরবো আমি
কথা দিলাম তোরে,
তাই,রিহার্সালটা সেরে নিই চল
প্রানখুলে মনভরে।।

21/06/23

 

প্রেম পর্যায়

 

আমার বৃষ্টি ভেজা কলকাতা ♥

আমার সন্ধ্যে সন্ধ্যে শহর জুড়েবর্ষা ভেজা গন্ধ – হাওয়া,

তার মাঝে তোর মু’খানিএকটুখানি দেখতে চাওয়া।

মেঘের ফাঁকে চাঁদের উঁকিকখন যেন দেবে ফাঁকি,

ভালোলাগা এই সময়টুকুই জানি দুঃখগুলো রাখবে ঢাকি।

হাঁটতে হাঁটতে হাতটি ধরেএক পশলা বৃষ্টি ভেজা,

ভেজা গায়ের গন্ধ মেখে একটু খুশি, একটু মজা।

ভিজতে ভিজতে গাছের তলে নইলে কোনো ফুচকা স্টলে,

এমনি করেই হাসতে খেলতেজীবনখানা যাক না চলে।

মাটির ভাঁড়ে এক কাপ চাতায় দুজনায় মুখোমুখি,

যত্ন করে চুমুক দিয়েমিষ্টি ঠোঁটের পরশ মাখি।

নইলে,মাথার বোঝা নামিয়ে মনে সময় টুকু চলে গেলে,

ভাববে তখন একলা ঘরে ছেড়েছি পেয়েও অবহেলে।

সমাজও আজ কেমন যেন!সব কিছুতেই জটিল খোঁজা ,

দেখার চোখও পাল্টে গেছেকোনো কিছুই লাগেনা সোজা।

তবুও আমরা থাকবো একইযেমন ছিলাম আগের দিনে,

পরস্পরের চোখের কোণেনতুন নতুন স্বপ্ন বুনে।।

27/7/23

 

 

হঠাৎ করে আকাশ যদি ঘন কালো মেঘে ছায়ে !

মেঘলা বিকেলে ভাসায় যদি প্রবল বরষায়..

পড়বে মনে আমার কথা বৃষ্টি ভেজা গায়ে!!

নাকি নতুন সঙ্গী নিয়ে তুমি ভাসবে আঙিনায়?

হয়তো তুমি ভুলেই যাবে,ওটাই বোধহয় শ্রেয়,

ভুলে যেও কেউ কখনো ছিল তোমার প্ৰিয়..

কষ্ট যা থাক আমারই থাক,সুখের সাগরে ভেসো,

অতীত টাকে মুছে ফেলে নতুনকে ভালোবেসো..

ভালোবাসায় রেখোনা ফাঁক,রেখোনা সংশয়,

ভালোবাসতে এখন যে গো বড্ড করে ভয়..

যদি একটিবারও মনে পড়ে ছিলাম তোমার কেউ,

যদি হৃদয় সাগরে আছড়ে পড়ে মস্ত বড় ঢেউ,

সেদিন না পাওয়াতেও পূর্ণ হবে, সিক্ত হবে মন,

বুঝব, ভালোবাসায় রাখিনি ফাঁক, ছিলাম সর্বক্ষণ.

 

 

অন্য নকশী কাঁথা

ধরো ,ঘর্মাক্ত শরীরে বসে আছো

ক্লান্ত দিনের শেষে,

এমন সময় তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে

যদি এসে বসে কেউ পাশে 

ভুলিয়ে দিতে চায় দেহ মনের ক্লান্তি

মুছিয়ে দিতে চায় ঘাম,

এক পশলা বৃষ্টির মত

যদি দিতে চায়একটুখানি আরাম,

যদি শোনাতে চায় বৃষ্টি ভেজা

মিষ্টি প্রেমের গাথা ,

যদি তোমায় দিয়ে আঁকাতে চায়

ভালোবাসার নকশি কাঁথা!

কি করবে বলো তুমি?

তাকে কি ফিরিয়ে দেবে?

নাকি তোয়ালে ভেজা জলে

নিজেকে সিক্ত করে নেবে !

উজাড় করে দেবে তারে

ভালোবাসার ঝুলি,

নতুন করে রাঙাবে আবার

স্বপ্নের রং তুলি ।

জাগিয়ে তুলবে ভালবাসাকে..

যা লুকানো আছে

তোমার মনের গহন কোণে,

নকশী কাঁথা আঁকবে আবার

নতুন উদ্যমে !!

আর যদি ফিরিয়ে দাও

সেই ভেজা হাতের পরশ,

বুঝেও না বোঝো সেই

সুমধুর সৃষ্টির রস !

হয়তো সে ফিরে যাবে ধীরে,

তাকাবেনা কখনো আর পিছু ফিরে,

আবার একলা হবে,

কাজ নিয়ে ডুবে রবে,

নিশি রাত জেগে জেগে

মিছে ব্যাথা পাবে !

 12/06/23..

 

 

শুধু তুই

আমার দুঃখে ভরা জীবন মাঝেএকফালি চাঁদ তুই.

আমার রাঙা পলাশ তুই।

আমার মনের মানুষ তুই।

আমার স্বপ্নে দেখারাজকন্যা ও তুই।

আমার রাঙা প্রভাত তুই,

আমার সারাটি জীবন জুড়েরামধনু রং তুই।

আমার একলা থাকার মাঝেও থাকিস শুধু তুই।

নিরলস দিন যাপনেও মনের মাঝে তুই।

আমার খুশির দিনেও তুই।

আমার মন খারাপের মেঘলা দিনেবাদল ধারাও তুই।

আত্মার আত্মীয় তুই,

কাছে দূরে যেখানেই থাক বড় আপনার তুই।

জীবনের ওঠা পড়ায় সাথী শুধু তুই।

তুই শুধু তুই।

আমার জীবন মাতিয়ে রাখাজুঁই মালতি তুই।

আমার ছোট্ট ঘাসের জীবন মাঝেশিশির বিন্দু তুই।

আমায় ছন্দে গীতে ভরিয়ে রাখাসুরের সাথী তুই।

আমার প্রাণের টিয়া তুই।

তুই শুধু তুই।

আমার ভালোবাসার মানুষ বলতে পাগলী শুধু তুই।

তুই শুধু তুই,

জীবনের শেষ প্রান্তেও থাকবি শুধু তুই ♥

 

সংগোপনে

বৃষ্টি বুঝি এসেছে আজ তোকেই ভালোবেসে,

হাসাবে, ভাসাবে খুশিতে ভরাবে বিদায় বেলার শেষে..

তোর-ই উঠোনে টিপটিপ ছন্দে নাচাবে রে তোর প্রাণ,

নিয়ে যাবে তোকে স্মৃতির অতলে হারাবি বর্তমান..

তবে কি জানিস মন,

বর্তমানেই থাক রে তুই, বর্তমানেই বাঁচ,

অতীত টাকে খুঁজতে গেলেই লাগবে রে তার আঁচ..

যে হাত ধরে একদিন তুই হাঁটতি আপন মনে,

গুনগুনিয়ে উঠতো পরান শয়নে স্বপনে..

তোর হাতটা ধরতেও আজ , বড় কুন্ঠিত সেই হাত,

বদলে গেছে অতীত এখন বদলে গেছে সাথ,

তার কাছে তুই যেমন ছিলি হয়তো তেমন ই আছিস,

তবু বলবেনা সে আগের মতো আমায় ভালোবাসিস??

বড় খারাপ লাগা বাঁধবে বাসা অন্তরেতে তোর,

পরাণখানি টুকরো হবে ভাঙবে মোহ ডোর..

তাই রাখরে তারে যেমন ছিল মনের গোপনে,

শান্তি আছে ঐ খানেতেই তারে বাহিরে খুঁজিসনে.

তারে বাহিরে খুঁজিসনে..

গোরা..29/10/2021

ভালোবাসি 💞

প্রেম তো সেই কবেই করেছি, গোপনে তোর সাথে,

শুধু ছাই চাপা হয়ে পড়ে ছিল, আমার আঙিনাতে.

অভিমানে, অপমানে,

বারবার শুধু থাকতে চেয়েছি মন টাকে নিয়ে দূরে, বহুদূরে,,

যাতে আর কখনো তোর জীবনে, আসতে না পারি ফিরে..

কিন্তু ভাগ্যের লিখন কি আমি খন্ডাতে পারি?

তাই আমার জীবনে এসেছে ফিরে, সেদিনের সেই পরী !!

মন টা আবার ফিরে গেছে আজ, সেই ক্ষণেরই পানে,

স্মৃতি গুলো আজ উঠেছে জেগে,মনের গোপন টানে..

মন টা আবার হয়েছে উতলা, খুঁজে তোকে দিবানিশি,

কে যেন আমায় কানে কানে বলে, ভালোবাসি, ভালোবাসি..

গোরা..

পুরাতন সখা।।


হয়তো হয়নি দেখা বহুদিনতবু রেখেছে মনের গভীরে।

যখনি হয়েছে দেখা তার সাথে ডুবেছে স্মৃতির গহরে।

সে যে আমার মনের মাঝিরে।

পরম আদরে স্নেহের চাদরে মুড়িয়ে রাখে সে কাছে।

গায়ে আঁচড় না লাগে পাছে।

জানি সে আমারি আছে।

বহু অপমান করেছি যে আমি তবু সে রয়েছে সাথে,

বিপদ যখনই এসেছে তখন রেখেছে হাতটা হাতে।

অভিন্ন আত্মাতে।

ভুল বুঝে তারে ঠেলেছি দূরে ছাড়িয়ে নিয়েছি হাত,

তবু আগলে রেখেছে নিবিড় বাঁধনে সকাল কিংবা রাত।

ছাড়েনি কখনো সাথ।

বলার আগেই বুঝে নিতে পারে আমার প্রয়োজন।

সাধ্য মতো করে রাখে তারসমস্ত আয়োজন।

সে যে আমার আপনজন ।

কত লোকে কত কি যে বলে কানেই তোলেনা মোটে।

উন্নত শিরে সদা রয় সাথে যা কিছু যাক রটে।

পরম বন্ধু বটে।

সে যে আত্মার আত্মীয় মোর বহু পুরাতন প্রাণ সখা।

সদা রয় মোর আঁখির কাজলে সদা পাই তার দেখা।

অতি পুরাতন সখা।।

গোরা

আজকে তোমায় ওগো,
একটা সত্যি কথা বলি,,,,,
তোমায় ছাড়া আমার আকাশ
বড্ড খালি খালি…..

হয়তো তুমি ভাবছো বসে
বড্ড আছি সুখে,
এদিকে দহন জ্বালায় জ্বলছি আমি,
শুধু হাসিটা রেখেছি মুখে…

আমার আকাশ ঢেকে গেছে
জমাট কালো মেঘে,
বুকের ভিতর বজ্রপাতে
রক্ত ছোটে বেগে…..

বুঝবে যেদিন আমার ব্যথা,
তখন অনেক হবে দেরি,
আমার শ্মশান পথের পথিক হবে
বলবে হরি হরি…

ঘুচবে তখন মনের জ্বালা,
মিটবে মনের আশ…
এক লহমায় সাদা ছাই হয়ে
ঢাকবে তোমার আকাশ….

……. গোরা… ..

     প্রাক্তন

একদিন তুই চেয়েছিলি বলে বন্ধু হয়েছি তোর,

স্বপ্নের মাঝে আটকে রেখেছি খুলিনি বাহুডোর.

একদিন তুই চেয়েছিলি বলে হেঁটেছি এক সাথে,

দুই মন এক হয়ে মোরা মিশে গেছি দুজনাতে,

এতো ভালো কেউ বাসবে কখনো ভাবিনি আমি,

তাই বুকের মাঝে রেখেছিলাম জানে অন্তর্যামী.

স্বপ্নের মাঝে হাতে হাত রেখে ঘুরেছি সাগর তীরে,

উথাল পাথাল হয়েছি দুজনে উতলা ঢেউয়ের ভিড়ে.

আবছা চোখে দেখেছি তোকে ভোরের আলোতে,

জোৎস্নার আলো মেখেছি দুজনে হারিয়েছি আঁধারেতে..

একদিন তুই চেয়েছিলি বলে বাড়িয়ে দিয়েছি হাত,

একদিন তুই চেয়েছিলি বলে,ছেড়েওছি তোর সাথ..

একদিন তুই বললি, আমার ঠিক হয়েছে বিয়ে,

আশীর্বাদ করেছে আমায় সোনায় মুড়িয়ে..

বিশ্বাস করিনি আমি, যদিও শুনেছি আমারই কানে,

অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলাম তোরই মুখ পানে..

বললি আমরা গরিব বলেই ফেলিনি বাবার কথা,

তবে কেন ভালোবাসলি আমায় !কেনই দিলি ব্যথা??

এতো কিছুর পরেও আমি দেখেছি দাঁড়িয়ে,দাঁড়িয়ে,

পালকিতে করে বরকে নিয়ে চললি স্মৃতিটা মাড়িয়ে..

সেদিন ও তুই চেয়েছিলি বলে থেকেছি সংযত,

শত কষ্ট পেয়েও কাউকে বুঝতে দিইনি ক্ষত..

জীবন কত শিক্ষা দেয়, এটাও তারই একটা,

জানি আমৃত্যু বিঁধবে আমায় এই টুকরো স্মৃতিটা..

তবুও তুই বন্ধু থাকবি, আমি বাঁচবো যতক্ষণ,

যদিও আমি তোর কাছে জানি শুধুই প্রাক্তন.

..গোরা

১০

নতুন ভোরের আশায়

জীবন থেকে ছুটি, চাইছে আমার মন

জানিনা, ছুটির ঘন্টা বাজবে কখন,আসবে বিদায়ক্ষণ।

যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি, পাওয়ার ঘর শূন্য,

এ জীবনে কিছুই জানি, হবে না আমার পূর্ণ।

জানি স্বপ্ন সবার হয়না সফল,

প্রচেষ্টা,আমারও হয়েছে বিফল..

মন তাই আজ চাইছে আমার জীবন থেকে ছুটি,

আছি পরপারের অপেক্ষায় মাঝি ভাসাও তরীটি।

অজান্তে যদি ব্যাথা দিয়ে থাকি ক্ষমা করে দিয়ো মোরে,

আবার হয়তো দেখা হবে এই বাংলারই কোনো ঘরে ।

হয়তো আবার আসবো ধরায় নতুন ভোরের আশায়,

মোর সেদিন যেন মেটে-গো আশ, সকল পূর্ণতায়।

গোরা..

১১

দিনান্তে

যা কিছু ঠেলে ফেলে এসেছি, নানা অছিলায়, অবহেলায়,

এসো আজ বসি দুজনে, দেখি, হিসেবের খাতায়,

কি পেলাম আর কি হারালাম, দিনান্তের এই গোধূলি বেলায়.

জীর্ণ শীর্ণ সম্পর্কের হোক অবসান, ঝেড়ে ফেলি সব জমা অভিমান।

আসুক নতুন ভোর, “লাভ” এর অঙ্কে উন্মোচিত হোক যত বন্ধ ডোর।

হোক নতুন দিগন্তের সূচনা, দৃড় অঙ্গীকারে হোক আগামীর অবতারণা ।।

গোরা

১২

অপেক্ষাতে প্রহর কাটে, কবে তোমার আসবে টেলিফোন??

কখন তোমার কণ্ঠ শুনে ভরবে প্রাণ মন??

কখন তোমার শুনবো কথা শুনবো তোমার গান,

মনের গোপনে তোমায় নিয়ে আঁকবো তুলির টান..

প্রহর কাটে অপেক্ষাতে তোমার স্মৃতি নিয়ে,

টেলিফোন তো আর আসে না আমার নাগাল দিয়ে..

এমনি ভাবেই দিন কাটে মোর কাটে প্রতি ক্ষণ,

জানি হয়তো আসবেনা আর তোমার টেলিফোন,

বৃথাই রবে অপেক্ষা মোর, ভরবে না মোর কান,

তবু জানি তোমার ই জন্য কাঁদবে আমার প্রাণ..

গোরা..

১৩

সাগরিকা


ঢেউ গুলো আজ বারে বারে ডাকছে আমারে,

বলে আয় না ওরে আমার কাছে সাগর কিনারে.

আপন করে রাখবো তোরে কেউ পাবে না তল,

শুধু একবার তুই আদর করে ভালোবাসি বল..

অসীম জগৎ আছে ওরে আমার গভীরে,

সে গভীরের গহনে তোরে রাখবো আদরে..

শঙ্খ দেবো,ঝিনুক দেবো,মুক্ত দেবো সাথে,

মুঠো ভরে বালি দেবো তোর দুখানি হাতে..

যা চাইবি তাই পাবি,শুধু আমার সাথে চল,

আর একবার তুই আদর করে ভালোবাসি বল..

গোরা..

১৪

আমার তুই


ঘরের ভিতরে বসে আছি জানলা খানি খুলে,

পড়ছে মনে তোরই কথা সবকিছু কে ভুলে,

কেমন আছিস,কি করছিস ভাবছি শুধু তাই,

হয়তো জানি তুই ও বসে,ভাবিস আমার কথাই..

স্বপন মাঝে তোকেই দেখি, ঘুম ভাঙলেও তুই,

তুই যে আমার জীবন জোড়া আস্ত প্রেমের বই.

অবাধ্য মন যে আমার খুঁজছে শুধুই তোকে,

কখনো শ্রাবন ধারায়, কখনো মেঘের ফাঁকে..

তোকে ভুলে থাকা যে রে আমার সাধ্য নয়,

তোরই ছোঁয়াচ লেগে আছে সারা শরীর ময়..

গোরা..

১৫

মুক্তি


বাঁচরে ওরে বাঁচ, এবার নতুন করে বাঁচ,

আমার সকল বাঁধন হতে, তোরে মুক্তি দিলাম আজ,

আশপাশে তোর যারা আছে, তাদের নিয়েই বাঁচ,

আমার ভালোবাসার বিষের, তোকে লাগবেনা কোনো আঁচ.

প্রাণ ভোরে তুই নিঃশ্বাস নেরে, মন দিয়ে কর ঘর,

যাস রে ভুলে আমায় রে তুই, ভাবিস না হয় পর.

তোর জীবনে আর কখনো, আসবোনা আমি ফিরে,

এই মায়ার বাঁধন ছেড়ে, আমি চলেযাবো বহু দূরে..

ভেবেছিলাম বুনোহাঁস হবো, মেলবো দুজনে ডানা,

মিশবো দুজনে দুটি মনে প্রাণে,থাকবেনা কোনো মানা.

আমার আশার ঘরে শনি বোসে কখনো বুঝিনি,

তাই তোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা ও ছাড়তে পারিনি..

এবার আমার আশার ঘরে, নিজেই ঢালবো জল,

ভালোবাসি ভালোবাসি যতই আমায় বল..

..গোরা..

১৬

মন

শরীর দিয়ে যায় না ছোঁয়া মনের গোপনতা,

অনুভবেই পাবি খুঁজে মনের গভীরতা..

বাঁধরে বাসা সেই খানেতেই যেথায় পাবি মন,

এই দুনিয়ায় সবাই ওরে নয় তো আপনজন..

মন দেরে তুই সেই মনেতেই যেথায় পাবি মান,

সেই খানেতেই দেখাস রে, তোর সকল অভিমান..

১৭

শুধু তোমার জন্য

তোমার জন্য সুনীল আকাশ,

তোমারই জন্য বহিছে দখিনা বাতাস,

তোমার জন্য চারিদিকে দেখো ফুটিয়াছে কত কাশ,

তোমারই জন্য অন্তরে আজ ভরেছে ফুলের সুবাস.

তোমার জন্য রুক্ষ পাহাড়ে বইছে অঝোরে ঝর্ণা,

তোমারই জন্য নদীর দুকূল ভাসিয়ে যে হয় বন্যা.

তোমার জন্য হিমালয় আছে,মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়ে,

তোমারই জন্য আমিও আজ দিয়েছি দুহাত বাড়ায়ে..

তোমার জন্য কৃষ্ণচূড়া দিয়েছে লাল কার্পেট বিছায়ে,

তোমারই জন্য  আমার এ মন কোথায় গিয়াছে হারায়ে।

তোমার জন্য আবিরে রেঙেছে অস্তাচলের রবি,

শুধু তোমারই জন্য আমিও দেখো হয়ে গেছি আজ কবি.

গোরা.

১৮

যদি বলি, তোকে ছাড়া একলা আকাশ,

রুদ্ধ করে আমার নিঃশ্বাস,

বলনা, তু্ই করবি আমায় বিশ্বাস??

নাকি ভাববি,

এসব আমার অবুঝ মনের বেয়াড়া বদভ্যাস..

যদি বলি, তোকে ছাড়া কাটেনা সময়,

জীবন যন্ত্রনাময়,

তবু ও কি বলবি এসব সত্য নয়..

এসব নিছকই তোর অভিনয়!!

যদি বলি তু্ই ছাড়া আমার অস্তিত্ব বিপন্ন,

তোকে পেলে আমার জীবন হবে পূর্ণ,

তাহলে কি তুই করবি আমায় গণ্য ?

নাকি তবুও তুই থাকবি বিষণ্ণ !

যদি বলি, তুই আছিস  আমি আছি তাই..

তুই ছাড়া এ আমি-র কোনো মূল্য নাই,

তাহলে কি তুই রাখবি আদরে ?

নাকি এর পরেও ঠেলে দিবি বহুদূরে.

গোরা..

১৯

বলবোনা আর কোনোদিন,ভালোবাসো তুমি মোরে,

শুধু দূর হতে নীরবে দেখে যাবো তোমারে,

বলেছিলে তুমি ভালোবাসো মোরে,

সেদিনের কথা গুলো মনে পড়ে বারে বারে !

তবু আজ তুমি চলে গেলে এতদূরে,

মোর অন্তর হতে নিজেরে টেনে আনলে বাহিরে,

জোর করে কোনো কিছু চাইনি পেতে,

আজও ছেড়ে দেবো অধিকার বিনা অজুহাতে..

তোমার চলার পথে হবোনা বাধা,

জানি প্রাণের বীণায় সুর হবেনা সাধা..

তবু কোনোদিন জানাবোনা তোমারে,

কি আগুন জ্বলেছিলো আমার এ অন্তরে.

ভালো থেকো, সুখে থেকো নবীনের প্রেমোডোরে,

আঘাতটা সয়ে নেবো সময়ের অগোচরে.

চলার পথে যদি কভু দেখা হয়!!

ভুলে যেও,কে ছিলাম আমি, কি আমার পরিচয়.

গোরা..

২০

বৃষ্টি থেমে গেছে, মিলেছে রোদের রেখা,

অপেক্ষাতে আমিও, যদি পাই গো তোমার দেখা.

হয়তো তুমি ব্যস্ত আছো, অনেক কাজের মাঝে,

আমি তো শুধু তোমার কথাই, ভাবছি সকাল সাঁঝে.

আজ যে আমার ছুটি আছে, তাইতো তোমায় খুঁজি,

বাকি দিনে তোমার মতোই, কাজের বেলায় কাজী..

কিন্তু, তুমি ছাড়া আমার কথা, কে আর বোঝে বলো?

তোমায় ছাড়া ছুটির দিনে,আমি কেমনে রই ভালো?

কোথায় আছো তুমি ওগো, একটি বার তো এসো,

বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে, অনেক ভালোবেসো..

যতই তুমি দাও গো ব্যথা , কষ্ট হলেও সইবো,

নইলে এভাবেই একদিন ঠিক,বিদায়ের পথ ধরবো..

যেদিন দেখা মিলবে না আর, বুঝবে সেদিন বুঝবে,

কাজের শেষে একলা ঘরে, চোখের কোণ মুছবে..

গোরা ..

২১

আমার মনের ব্যাথা বুঝবে কবে সেই আশাতেই থাকি,

জানি ,হয়তো সেই আশা মোর রয়েই যাবে বাকি..

একটা একটা করে দিন তো চলে যায়

মনের ব্যাথা মনের ঘরেই জমাট বেঁধে যায়..

সময় যেদিন হবে তোমার,সেদিন খুলবো নকশিকাঁথা,

উজার করে দেখাবো সেদিন মনের সকল গোপনতা.

তখন যেন আমার ব্যাথার মূল্য টুকু পাই..

আমিও যে গো তোমার মতো একটা সহজ জীবন চাই..

২২

প্রজাপতি, প্রজাপতি রং ছড়িয়ে দাও,

নানান রঙে মনকে আজ রাঙিয়ে তুমি যাও..

ব্যথার ঘরে তোমার এ রং আনবে খুশির বান,

ওই রঙে তে আমার এ মন পাবে গো ফিরে প্রাণ.

মন রাঙিয়ে তোমার রঙে থাকবো খুশি খুশি,

বলতে যেন পারি গো তারে বড্ড ভালোবাসি..

এ রঙের ছোঁয়াচ যেন লাগে গো তার গায়,

যেন তার সবুজ মনের অবুজ ব্যথা উধাও হয়ে যায়.

তোমার ডানার ভরে আমার এ মন উড়বে তারই সাথে,

জোৎস্না ভরা রাতে নয়তো অরুন আলোতে..

২৩

..অব্যাক্ত..

যে মানুষটা নিজেকে কোনোদিন কখনো করেনি ব্যক্ত,

সে আজ শুধু তোমার জন্য নিজেকে করেছে উন্মুক্ত,

প্রতিক্ষনে শুধু জানতে চেয়েছে ভালোবাসার মানে,

ফিরতে হয়েছে বারবার তারে নীরব অসম্মানে..

তবুও সে বাঁচিয়ে রেখেছে মনের গোপনে আশা,

হয়তো একদিন সম্মান পাবে, তার এই ভালোবাসা.

হয়তো এসে বলবে তুমি “” মার্জনা করো মোরে,

নিজ গুনে ক্ষমা করে মোরে টেনে নাও বাহুডোরে..

আর কক্ষনো তোমায় দেবোনা কষ্ট, কোরবোনা অপমান.

যতই আসুক ঝঞ্ঝা, তবু বাঁচাবো তোমার সম্মান..

…গোরা..

২৪

বেণীমাধবের অন্য আমি


বেণীমাধব,কালো বলে,গরিব বলে আমায় করেছো অবহেলা,

বেণীমাধব,কেমন করে এমন তর করলে ছেলেখেলা?

ভাবলে,আমার জীবন নরক করে করবে আমায় একা,

কিন্তু উপর থেকে দেখেছিলেন আমার প্রাণ সখা।

তাই বদলে গেছে জীবন আমার,বদলে গেছে বেশ,

আমার কাজের কদর এখনসমস্ত দেশ বিদেশ।

পাড়ার যত মেয়ে ছিল তাদের সবার হাতে কাজ,

হারাতে দিইনি অন্ধকারে খোয়াতে দিইনি লাজ।

ইচ্ছে করে জানতে এখন ঠিক কেমন আছো তুমি!!

ইচ্ছে করে বলতে তোমায়  আমি হারাইনি।

সময় পেলে শপিং মলে আমার শপ এ এসো,

অনেক কিছু বলার আছে যদি সেদিন পাশে বসো।

নামি দামী পরিচালকআছেন অপেক্ষায়,

আমার নাকি বায়োপিক আনবে সিনেমায়।

এই শহরেই আছে আমার প্রাসাদ সম বাড়ি,

কাজের চাপে লেগেই থাকে বিদেশ বিভুঁই পাড়ি।

এখনও কি পাশে বসতে তোমার স্টেটাস এ বাধবে?

পছন্দের সব ম্যাগাজিনেই আমার ছবি পাবে।

এখনো কি তোমায় দেখে পড়বো আবার প্রেমে!!

না গো,সে প্রেম আমার হারিয়ে গেছেজীবন সংগ্রামে।

তবে সব কিছুর জন্য বেণীমাধব শুধুই তোমার অবদান!!

ভুল বললাম,অবদান না,অবদান না,তোমারই দেওয়া অসম্মান।

তাই আমার যত পুরস্কার, সম্মান দিলাম তোমার হাতে তুলে,

সবকিছু তো তোমারই দেওয়া তিরস্কার এর ফলে।।

..গোরা..25/10/2021

২৫

 

বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র


যখন হবো বুড়ো
লোকে বলবে থুরথুড়ো,
তোমায় আমায় বসে,
খাবো আস্ত মাছের মুড়ো।
কাঁপা কাঁপা এক হাতে
ধরা থাকবে আমার লাঠি,
অন্য হাতে তোমায় ধরে
হাঁটবো গুটি গুটি।
লোকে আমায় যে যাই বলুক
কান দেবোনা তাতে,
একই সাথে চলবো মোরা
হাতটা রেখে হাতে।
ফুচকা খাবো পাড়ার মোড়ে
ছেলে ছোকরার সাথে,
সোফায় বসে দিন কাটানো
সইবেনা মোর ধাতে।

রোজ সকালে হাঁটতে যাবো,
বুকটা ভরে বাতাস নেবো,
পাড়ার মোড়ে চা-টা খেয়ে
বাড়ির পথে পা বাড়াবো।
ভোরের বেলায় দুজনাতে
সূয্যি টাকে ঘুম ভাঙ্গাবো,
শেষ বিকেলে ঘুম পাড়িয়ে
মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেবো।

অফুরন্ত অবসরে
তোমার জন্য কবি হবো,
তোমার আমার জীবন গাথা
শব্দে ছন্দে সাজিয়ে যাবো।
তোমার গাওয়া গানের কলি
মনের খাতায় রেখেছি তুলে,
আজ একটি একটি করে
তারা উড়তে চাইছে ডানা মেলে।

লেখনী দিয়েও প্রেম করা যায়
দেখিয়ে দেবো আমি,
অমর করে যাবো মোদের
প্রেমের কাহিনী।
মোদের ছোট্ট যে সব চাহিদা গুলো,
হয়নি পূরণ পড়েছে ধুলো,
মেনে আর মানিয়ে নিতে
হয়েছে সব-ই এলোমেলো।
জাগিয়ে তুলবো এবার আমার
সেই ছোট্ট আমিটাকে,
নানান কাজের ভিড়ে
যে চাপা পড়েছিল সিন্দুকে।
একটু একটু করে এবার
করবো তাদের স্বপ্ন পূরণ,
বয়স শুধুই সংখ্যা মাত্র,
করবো প্রমাণ জীবনপণ।।

18/12/23

২৬

 

………..অনুভূতি……..

প্রেম মানে, দুটো মনের গোপনে বাঁধা বাসা,
প্রেম মানে, পায়ে পায়ে কাছে আসা,
প্রেম মানে, সময়ে অসময়ে মেলামেশা…
প্রেম মানে, কারণে অকারণে ভালোবাসা..

প্রেম মানে, কাছে দূরে যেখানেই থাকো
থাকবে হৃদয় জুড়ে,
প্রেম মানে, দুচোখে স্বপ্ন দেখা
বিশ্বাসে ভর ক’রে..

প্রেম মানে, ছোট ছোট খুশি,
প্রেম মানে, রাশি রাশি হাসি,
প্রেম মানে, শুধু ভালোবাসা বাসি…

 

২৭

 

অজানা কোনো দুর্ঘটনায়,হারাই যদি আমি,
আর না ফিরি ঘরে, কি করবে বলো তুমি?
খুব করে কি কাঁদবে বসে, একলা শূন্য ঘরে??
নাকি আমার আশার অপেক্ষাতে থাকবে বাহির দ্বারে??
হয়তো আমায় পাবেনা খুঁজে, মিলবেনা মোর দেহ,
তবু জেনো,সারাজীবন থাকব তোমারই প্ৰিয়।

নইলে ভুলে যেও,তোমার বোলে, কেউ কখনো ছিল,
সাঁঝের বেলা তুলসী তলে,শুধু প্রদীপ খানি জ্বেলো,
সেই সময়ে ক্ষণিক তরে, মিলবে দুটি মন,
অমল আলোয় ভরবে দেখো ,তোমার দু -নয়ন.
সারাজীবন তোমার চোখের, তারায় রব আমি,
যেখানে খুশি যাও না কেন, সঙ্গী হবো আমি!
জল যেন না আসে গো, তোমার চোখের কোণে ,
যেন সারাজীবন থাকতে পারি,ওই কাজল নয়নে.

 

২৮

 

আমি আকাশ হতে পারি
যদি দাঁড়াও তার ই নিচে,
আমি আগুন হতে পারি
যদি ঝাঁপ দাও নিঃসংকোচে।।

আমি দূর্বা হতে পারি
যদি ভোরের শিশির হতে।
আমি বাতাস হতে পারি
যদি সেই বাতাসে থাকতে পারো মেতে।

আমি সাগর হতে পারি
যদি ডুব দাও সেই গভীরে।
আমি অরণ্য হতে পারি
যদি খুঁজতে পারো আমার আমি রে।

আমি পাহাড় হতে পারি
যদি ঝর্না হয়ে ঝরো।
আমি আঁধার হতে পারি
যদি জোনাক হয়ে ওড়ো।

আমি গান হতে পারি
যদি সুরের ঝর্ণা হও
আমি কবিতা হতে পারি
যদি ছন্দে মেতে রও।

আমি মাটি হতে পারি
যদি বৃষ্টি হয়ে মেশো,
আমি পথ হতে পারি
যদি সে পথে হারাতে ভালোবাসো।।

আমি ফুল হতে পারি
যদি সুগন্ধে ভরিয়ে রাখো,
আমি পাখি হতে পারি
যদি সেই চেনা নামে ডাকো।

 

সামাজিক পর্যায়

ঘুমিও না আর

ঘুমিও না বন্ধু আমার, ঘুমিও না আর..

আঁখি মেলে দেখো,বহু যুগ হতে ,আলো দিতে পৃথিবীতে অরুন এসেছে বারবার।

তরুণ যারা, নবীন যারা শিরায় শিরায় ফল্গুধারা,

তারা ভিক্ষা যাচে তোমার কাছে,তোমার ভিতর যে আগুন আছে,

সুস্থ সমাজ গড়ার কাজে ,ছড়িয়ে দাও হে ওদের মাঝে।

শোষিত,বঞ্চিত,অসহায় যারা অন্ন,বস্ত্র, কপর্দক হারা ,

তারাও আজি তোমার দ্বারেদাঁড়ায়ে শত কষ্ট সয়ে,

জাগো,ওঠো হে বন্ধু আমারঘোচাও আঁধার তাদের হয়ে।

খুলে দাও যত বন্ধ দুয়ার

ঘুমিও না বন্ধু আমার, ঘুমিও না আর..

আশার বাণী ছড়াও প্রাণে ,চেতনা জাগুক সবুজ মনে

তারা আঘাত হানুক ক্ষণে ক্ষণে ক্ষমতা লোভী ,অর্থ লোভীরাজার অহং-এ।

আকাশ জুড়ে সাত রঙা রংছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে,

এই ধরণীর প্রতিটি কোণে,জীবন খাতার প্রতি বাঁকে।।

ঘুমিও না বন্ধু আমার, ঘুমিও না আর..

গোরা..02/03/23

!এ কেমন ♥ ভালোবাসা!

এ কেমন ভালোবাসা!

যেখানে শুধুই অপমান আছে ঠাসা,

এ কেমন ভালোবাসা?

যেখানে মানুষ হারায় বাঁচার আশা..

এ কেমন ভালোবাসা !!

যেখানে প্রতি কথায় ওঠে হাত,

এ কি আদৌ ভালোবাসা?

যেখানে আশঙ্কাতে কাটে রাত..

এ কেমন ভালোবাসা !

যেখানে প্রতিরাতে চলে অত্যাচার,

এ কেমন ভালোবাসা?

যেখানে শুধুই অন্যায় -অবিচার..

এ কেমন ভালোবাসা !!

যেখানে পরিকল্পিত মৃত্যুফাঁদ,

এ কেমন ভালোবাসা?

যেখানে মরার কারণ অবসাদ..

এ কেমন ভালোবাসা !!!

যেখানে নেই কোনো সম্মান,

এ কি সত্যিই ভালোবাসা?

যেখানে নাকি মৃত্যুই সমাধান!! ..

গোরা…

একলা শালিক!


রাত্রি তখন নটা,

দেখি,পথের মাঝে একটা শালিক দাঁড়িয়ে একা একা।

অবাক হলাম দেখে,

রাস্তা-মাঝে একলা শালিক ঘুরছে কিসের দুঃখে!

শঙ্কা জাগলো মনে,

ঘর ছেড়ে সে এতো রাতে কিসের প্রয়োজনে!

মন বিদ্ধ প্রশ্নবানে!

শালিক টাকে একলা ফেলে যাব কেমনে?

যদি জানতে পারি কিছু,

সব ছেড়ে তাই শালিকটার নিলাম আমি পিছু।

ব’লি কোন সে অসম্মানে!

আপন বাসা ছেড়ে শালিক, নেমেছো পথের পানে?

নেমেছি কেনো পথে !

আমার বলে নেই তো কিছুই বুঝেছি আজ রাতে।

ছেড়ে দিলে কোন শর্তে?

পথিক,বিধাতা দিয়েছে বিশ্বনিখিল ওই বাসার পরিবর্তে।

তুমি বাসায় ফিরবে না?

অনেক হলো আপন আপন, ঘরে আর তো রব না,

এবার একলা চলার বিশ্বে পথিক দিলাম রওনা।।

গোরা 23/06/2023.

কবি মন


মন বলেছে লিখতে থাক,যা আছে তোর মনে,

মন বলেছে লিখতে থাক,কাগজ কলমে।

মনের সাথে দ্বন্দ্ব করে লিখতে হবে তোকে,

যে কথাটা বলিসনি তুই,দুঃখ ব্যথা শোকে।

যখনই আসুক ভাবনাগুলো স্বপ্নে বা জাগরণে,

সেই শব্দ সহজ ছন্দে সাজিয়ে নে তুই মনে।

দেখবি,অনেক কথা আছে জমা চেতনে অচেতনে,

তোকে সেই কথাটাই লিখতে হবে অতি সযতনে।

জীবন পথের দুঃখ ব্যথা,হাসি কান্না সুখ,

যেখানে পারিস লিখতে থাক ডাইরি বা নোটবুক।

লিখতে লিখতে বেরিয়ে আসবে একটা কবি মন,

মনের মাঝে ভিড় করবে লেখার উপকরণ।

যখন মনের মাঝে কথামালা খেলবে সারাক্ষণ,

তখন থেকেই ঘটবে রে তোর মনের উত্তরণ।

.গোরা.

জানলা খুলে দে রে ওরে,
বাতাস লাগুক প্রাণে,
মনটা বড় উতলা আজ,
দক্ষিনা হওয়ার টানে..

প্রতিদিনের এই বন্দী দশা
লাগছে না আর ভালো,
শ্বাসরোধ হয়ে আসছে আমার
বুঝি প্রাণটা এবার গেলো..

কবে লাগবে হাওয়া উদাস মনে,
জুড়াবে পরানখানি,
স্বস্তির শ্বাস নেবো আবার,
আর হবে না প্রাণহানি..

আগের মত বাহির হব
কাজ হবে ফের শুরু,
জীবাণুর ভয় থাকবেনা আর
বুক করবেনা দুরুদুরু..

ধরার মাঝে অধরা থাক যত দুঃখ গ্লানি,

নতুন বছরে বর্ষিত হোক শুধু শান্তির বাণী..

জানি ‘আঠাশ নিয়েছে কাড়ি আমাদের প্রিয়জন,

এসো আজ একজোট হয়ে করি কারণ অন্বেষণ..

রোগ জ্বরা সব দূর হয়ে যাক মুছে যাক ভয় ভীতি,

সুস্থ সমাজে বাঁচুক সকলে ফিরুক বাঙালি সংস্কৃতি..

সবাই দুমুঠো পেট ভরে খাক হাসুক প্রাণভরে,

নতুন বছরে এই টুকু মোর প্রার্থনা ঈশ্বরে..

গোরা..

এ কেমন বিচার!


মা তো আমার কথায় কথায়,এঁটোর বিচার করে,

তোমরা  কি কেউ বলতে পারো, কে মায়ের বিচার করে!!!

কথায় কথায় মা যে বলে, এটা মানতে হয়,

আমার মা যা শিখিয়ে গেছেন, সে কি মিথ্যা হয়!!

বলি, ভাতটা যদি এঁটো হয়, তবে ডাল টা কেন নয়?

দুটোই যদি শস্য দানা, তাহলে, কিভাবে তফাৎ হয়?

চেঁচিয়ে তাই বলছে ডাল , এটাতো ঠিক নয়,

এভাবে কি কোনো কিছুর সঠিক বিচার হয় !

প্রমান জলে ফুটতে থাকি সমান তালে তালে,

তাহলে তফাৎ কিভাবে করো চালে আর ডালে !

বিচার যদি করতেই হয় সঠিক বিচার করো,

ভাত এর সাথে ডাল কেও, তবে এঁটো স্বীকার করো..

পাড়ার যত মোড়ল ছিল, ডাকলো পাড়ার মায়েদের,

এঁটোর তত্ব বুঝতে গিয়ে, ঘাম ছুটলো তাঁদের ..

শেষে মোড়ল মশাই কহেন হেঁকে, মাকেই দিলাম সাথ,

ডাল ফুটিয়ে ডালই হয়, কিন্তু চাল ফুটিয়ে ভাত,

যদি ডাল ও ফোটার পরে, নতুন নাম নিতো,

তবেই সে চালে এর সাথে, একই তকমা পেতো..

..গোরা..

চলার পথে তুই একা নোস আমিও আছি সাথে,

ঘাত আঘাতের জীবন খাতার প্রতি পৃষ্ঠাতে.

আসবে অনেক বিঘ্ন বিপদ,আসবে অবহেলা,

তবু আমি ছাড়বো না -হাল একসাথে পথচলা..

তুই যে আমার শক্তি ওরে জীবন পথের পথিক,

তোরই জন্য আজকে আমি হয়ে গেছি নির্ভিক.

জীবন মানে জী-বাংলা নয় যে  আমি জানি,

একটুকরো শান্তির খোঁজে অনেকটা হয়রানি..

তাই লড়তে হবে একই সাথে চোয়াল শক্ত করে,

যাতে বৈতরণী পেরোতে পারি তোরই হাতটা ধরে.

গোরা..

পরগাছা
তুমি স্বাধীন আমিও স্বাধীন
তবু কেন তোমার অধীন??
পরাধীনতার শৃঙ্খল তবে কী
ঘুচবেনা কোনোদিন??
বিয়ে করে এনেছো বলেই
চোকাতে হবে ঋণ??
তাই ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিয়েই
ভাবলে আমায় দীন!!
মেয়েরা ছেড়ে আসে বলেই
বাধঁতে পারো ঘর,
সংসার টা বাঁধে তারাই
তবু তারাই কেন পর??
কিসের এতো বৈষম্য
বলতে পার বাছা??
পর কে আপন করেও
কেন হই গো পরগাছা!!
বদলাচ্ছে সমাজ এবার
শুধরিয়ে যাও তোমরা,
শিরদাঁড়া টা শক্ত করে
লড়বো এবার আমরা…
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবো
এবার সমানে সমানে,
আঘাত হানতে দেবো না আর
মোদের আত্মসম্মানে..

গোরা…..

১০

এ কেমন বৈশাখ!

নেই কোনো আড়ম্বর,

শুধু একটাই চিন্তা সবার,

কিভাবে জুটবে দুমুঠো খাবার?

এ কেমন বৈশাখ?

মানুষ হারিয়েছে আশা

নতুন পোশাক পরার,

চারিদিকে আজ শুধু

কাজ হারা শ্রমিকের হাহাকার..

এ কেমন বৈশাখ!!

চোখে মুখে নেই খুশি,

দুশ্চিন্তায় ভুগছে মানুষ,

অবসাদ রাশি রাশি.

এ কেমন বৈশাখ?

করোনাতঙ্কে শঙ্কিত মানুষ

স্বেচ্ছা বন্দী ঘরে,

করোনা বুঝি প্রিয়জনের

প্রাণ নিলো আজ কেড়ে.

গোরা..

১১

ঝড় থেমে যাবে একদিন

শুধু থেকে যাবে যত ক্ষত,

হয়তো প্রলেপও পড়বে কিছুটা,

সময় পেরিয়ে যাবে যত..

ঝড় থেমে যাবে একদিন

শুধু রয়ে যাবে এই ভীতি,

মনের মধ্যে ডুকরে কাঁদবে,

প্রিয়জন হারানোর স্মৃতি.

ঝড় থেমে যাবে একদিন,

কেউ বা হারাবে পথের দিশা.

কেউ বা কিছু সৃষ্টি করার,

বাঁচিয়ে রাখবে আশা..

ঝড় থেমে যাবে একদিন

হয়তো সকলে একজোট হয়ে

গড়বে নতুন দেশ,

হয়তো একদিন অবসান হবে

সব জাতি বিদ্বেষ..

ঝড় থেমে যাবে একদিন

বাঁচতে শিখবে মানুষ আবার,

কেটে যাবে রোগ জরা ,

প্রকৃতিকে আরও আঁকড়ে ধরবে,

আপন হবে ধরা।

ঝড় থেমে যাবে একদিন

আসবে নতুন ভোর,

হবে দুঃখের অবসান,

জগৎ সভায় গাইবো আবার

মানবতার গান..

গোরা..

১২

যে পাখি ভুলেই গেছে..

কতদিন সে বন্দী আছে খাঁচার মাঝে,

তবু স্বপ্ন দেখে মুক্তির সে সকাল হতে সাঁঝে.

স্বপ্ন দেখে মেলছে ডানা সুনীল আকাশে,

দেখতে পাবে প্রকৃতির রূপ নির্মল বাতাসে..

এ গাছ,সে গাছ ঘুরে খাবে হরেক রকম ফল,

ডুব দেবে সে মাঝ পুকুরে,খাবে মিষ্টি জল.

গান করবে মনের সুখে বৃষ্টি ভেজা দিনে,

বাঁধবে বাসা গাছের ডালে থাকবে সবুজ বনে.

যদি একবার সে যেতে পারে খাঁচার ওপারে

স্বাধীন ডানায় ঘুরবে সে যে দেশে দেশান্তরে.

 

আজ খাঁচার ওপারে দাঁড়িয়ে পাখি..

পূরণ হয়েছে একটা স্বপ্ন, মুক্তি সে তো পেলো,

তবু প্রকৃতির রূপ দেখা তার অপূর্ণ রয়ে গেলো..

খাঁচার বাঁধন কাটলো,হায় মনের বাঁধন কাটলো না,

অসীম আকাশ ডাকছে তবু উড়তে সে আর পারলো না,

খাঁচার ভিতর বন্দী থেকে সঙ্গী হয়েছে ভয়,

হায়রে পাখি, ভুলেই গেছে কেমনে উড়তে হয়!!

সবকিছু তার সঙ্গে ছিল,শুধু সাহসটা তার ছিল না,

স্বাধীন হওয়ার পরেও তাই শৃঙ্খল তারে ছাড়লো না.

গোরা..17/04/21

১৩

কোন খাতে যে বইবে আমার ছোট্ট জীবনখানি,

কিছুই আমি জানি নেগো,জানে অন্তরযামী.

চলার পথে হয়তো অনেক মিলবে অবহেলা,

তবু আমি দাঁড় বেয়ে যাই,বেয়ে যাই মোর ভেলা..

চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে লাভ-ই বলো কি?

যেটুকু পেলাম সেটুকুতেই,নাহয় খুশি থাকি.

দুর্গম পথ জানি, মানি আছেন বিধাতা,

কোনো কিছুর সাথেই তাই করিনি সমঝোতা..

জীবন আমার তুচ্ছ বড়ই,হয়তো মূল্যহীন,

জীবন মানে তো এগিয়ে যাওয়া,এ পথ অন্তহীন..

 

১৪

মক্কা না মদিনা?

কোথা মোর আস্তানা?

ঠিক মতো জানিনা,

কিছুই যে মানি না,

কেউ ওগো বলো না?

কি যে মোর ঠিকানা!!

এখনো যে কত কিছু

আছে মোর অজানা..

সারাদিন কাজে কাজে

বই পড়া হয় না,

কাজ শেষে ঘুম আসে,

স্বপন ও তো দেখি না,

গীতা আমি পড়ি না,

বাইবেল জানি না,

কোরান শরীফ টাও

পড়া আর হলো না,

ধর্ম, অধর্ম

কিছুই যে জানি না,

জীব সেবা শিব সেবা

এর বেশি বুঝি না..

তবু ওগো বলো না

কোথা মোর আস্তানা!

বাকি থেকে যাবে জেগো

জীবনের ঠিকানা..

গোরা..

১৫

…মার্কেট এর ইতিকথা…

মার্কেট এর এই অবস্থা লাগছে অসহনীয়,

বুঝে উঠতে পারছি না ভাই, কি আমার করণীয়!

সকাল থেকে রাত্রি কাটছে বসে বসে,

চিন্তায় ঘুম ছুটেছে আমার কাস্টমার এর আশে.

বিকাল থেকে বক্স এ বাজছে অফার অফার,

তবু কাস্টমার এর দেখা মিলছে না তো আর.

কলিং করছি কাস্টমারে, করছি লিফলেটিং,

স্টোর টাকেও সাজিয়েছি, এদিকে আবার বাড়ছে কস্টিং!

কি করলে মিলবে ওরে কাস্টমার এর দেখা?

কি করলে দেখতে পাবো, আশার আলোক রেখা?

সততা কে মোরা মূলধন করে এগিয়ে চলেছি নিত্য,

লাভ এর লোভে বিকিয়ে দিইনি নিজের মানুষত্ব

থামুক ঝঞ্জা,ফিরুক শান্তি, হোক দুঃসহ দিনের অবসান,

মোর সকল কর্মযজ্ঞে হোক, সিদ্ধিদাতার অধিষ্ঠান.

গোরা ..

১৬

 

জানি নীরব হয়েছে কবি
হারিয়েছে বুঝি ভাষা,
চারিদিকে আজ শঙ্কা
কবি হারায়নি তবু আশা..

ছন্দে ভরা কল্পনা জাল
আবার বুনবে কবি,
দেখবে যারা বলবে তারাই
এ যে আমারই জলছবি..

হারতে শেখেনি কবি তোমাদের
সে যে জাগায় চেতনা প্রাণে,
নতুন লেখনী সঙ্গে নিয়ে
কবি ফিরবে সসম্মানে..

উতলা হবে উৎসুক মন
হবে কবিতার প্রেমে পড়া,
জীবন নদীতে আসবে বন্যা
কবি আসতে দেবে না খরা..

কবির জীবনে চলতেই থাকে
বারবার ওঠাপড়া..
অসহায় কবি কখনো কখনো
তাই হয় যে শব্দ হারা..

কবির ছন্দ শেষ হবে নাকো
হবেনা লেখনী হারা,
কবির মূল্য কেউ না বুঝুক
বুঝবে নীরব কবিতারা।

 

১৭

 

শাপমোচন.🕊


যে পাখি ভুলেই গেছে কেমনে উড়তে হয়,
তার বন্দী থাকা,না থাকায় কিবা আসে যায়!!
মনের কোণে জমছে ধুলো ,বাড়ছে ডানার ভার ,
স্বাধীনতার স্বাদ টা পাখী বুঝবি কবে আর !!
খাঁচার ভিতর বন্দী থেকে সঙ্গী হয়েছে ভয়,
হায়রে পাখি, ভুলেই গেছে কেমনে উড়তে হয়!!
তোর সাহস টাকে বেলুন করে ডানার সাথে বাঁধ,
খাঁচার তালাও মানবে রে হার, পাবি মুক্তির স্বাদ।।
উড়িস তখন ইচ্ছেমত, যেদিকে দুচোখ যায় ,
পূরণ হবে স্বপ্ন দেখিস, হবে নতুন পরিচয় ।।।।

কলমে গোরা.. ৩১.০১.২৩.

১৮

 

চলো পাল্টাই


চলো পাল্টাই,
পাল্টাই নিজের ভাবনাগুলো,
নিজের অহংটাকে।
স্বভাবটা পাল্টাই,
পাল্টাই নিজেদের দেখার চোখ টাকে।

চলো বিশ্বাস করি।
সত্য, ন্যায় এর পথে চলি,
প্রকৃতির সাথে আবার
একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলি।

নিজেদের কথা বলা পাল্টাই,
বোধটাকে জাগাই,
সমাজ কে পাল্টানোর আগে
চলো নিজেকে পাল্টাই।

চলো খুঁজি আমার আমি কে,
কেই বা পাঠালো আমাদের এই পৃথিবীতে?
কি কর্ম আমার জন্য নির্দিষ্ট আছে?
আমরা কি এসেছি শুধু নিতে??

শ্রেষ্ঠ জন্ম এই মানুষ জন্ম,
আমরা সত্যি কি মানুষ হতে পেরেছি?
সবার আগে চলো মানুষ হই।
জাগিয়ে তুলি মানুষত্ব কে।
উত্তরণ ঘটুক আমাদের মানসিকতার।
চলো বিকশিত হই।।

মানুষের ধর্ম কি?
চলো নিজেকে জানি,নিজেকে বুঝি।
বাহির জগৎ এ দেখার আগে
নিজের ভিতর খুঁজি।

কিভাবে এলাম!
মাতৃগর্ভে কে আমাদের বড় করলো!
কোন শিল্পী তার তুলির টানে আমাদের
এতো সুন্দর করে সাজিয়ে তুললো?

শৈশব থেকে কৈশোর থেকে যৌবন এ
আসার পিছনে আমাদের কি অবদান আছে?
আমাদের শরীরে অক্সিজেন,রক্ত প্রবাহকে
কে আপন খেয়ালে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে !

এই প্রকৃতি, পশু পাখি গাছ আর
আমরা কি আলাদা,
নাকি সব কিছু সৃষ্টি একই ভাবে?
সমস্ত সৃষ্টির মূল কি সেই
এক এবং অদ্বিতীয় ঈশ্বর???
তাঁকে জানবো কিভাবে!!

চলো খুঁজি সব্বাই..
চলো পাল্টাই..

09/01/24

কৌতুক পর্যায়

 

ভূতের উপন্যাস


ভূত এসেছে মধ্য রাতে করতে আলোচনা,

বুঝেও নাকি বোঝেনা কেউ ভূতের যন্ত্রনা.

চারিদিকে আজ রাম রাম বিপদ বড় ভারী,

কিছু একটা লিখে যেন হালটা আমি ধরি.

গুণী মানুষ যাঁরা আছেনসময় তাঁদের কোথায়??

তাই,সোশ্যাল সাইট খুঁজে এসেছেআমার ঠিকানায়.

নতুন কবি হলে নাকি বুঝবে ওদের কথা,

ওদের জন্য লিখে দেবেবিশদ গল্প গাথা.

কবিতা লেখার জন্য দেবে শ্যাওড়া গাছের পাতা,

সেখানে নাকি লিখতে হবে ভূতের রূপকথা.

দোয়াত কলম নিয়ে বসি আড়ালে আবডালে,

গল্প খানা লিখেই দিলাম ছন্দ বদ্ধ তালে..

ছন্দ ভরা গল্প শুনেবেজায় খুশি ভূত,

বলে,ভেট হিসাবে তোমায় দিলামআমার মেয়ের পুত.

যা চাইবে তাই ই পাবেবলো আর কি তুমি চাও?

তোমায় আমি দিতে পারিহীরের মুকুট টাও.

এই না বলে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো ভূত,

প্রাণ বুঝি মোর গেলো গেলো যেন স্বয়ং যমদূত.

এবারের মতো ভূত মহারাজমুক্তি আমায় দাও..

ভেট আমার লাগবে নাকোপুত কে তুমি নাও.

পত্নী যদি জানতে পারেভেট পেয়েছি পুত,

উল্টো করে ঝুলিয়ে আমায় বানাবে কিম্ভুত.

এবার যদি বেঁচে ফিরি নিতে পারি শ্বাস,

তোমার জন্য লিখে দেবোভূতের উপন্যাস.

এই না শুনে ভূতের রাজামুক্তি দিলো মোরে

এতক্ষনে প্রাণ বুঝি মোর আসলো ফিরে ধড়ে..

26/04/2021..

 

..কুঁড়ের হদ্দ..

কথায় কথায় গিন্নি বলে আমি কুঁড়ের হদ্দ,

তবু আমারই হাতে দিয়েছে দেখো মুদিখানার ফদ্দ ..

দুখের কথা বলবো কাকে ভাবছি বসে বসে,

এমন সময় বাজখাঁই স্বর আসলো কানে ভেসে ..

“আজ মুদির মাল কি আসবে ঘরে সেটাই জানতে এলাম,

নইলে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে আমি বাপের বাড়ি চললাম”

কি মুশকিল, কি মুশকিল এসব কি কর তুমি,

কুঁড়ে বলে কি মুদির মাল আনবোনা ঘরে আমি..

করেছি অর্ডার অনলাইন এ আসলো বলে মাল,

বাজলো বলে কলিং বেল আর কোরোনাকো গোলমাল..

এই না বলে যেই বসেছি সোফাখানার পরে,

অমনি শুনি কলিং বেল বাজলো সদর ঘরে..

দেখি মুদির মাল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে কুরিয়ার,

তাই বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে নেওয়ার আর নেই কোনো দরকার..

ভরসা রাখো গিন্নি আমার নিয়োনা এতো চাপ

নাহয় এবারের মতো এই কুঁড়ে কে করেই দিলে মাফ..

মুচকি হেসে গিন্নি বলে,

বাপের বাড়ি যাওয়ার নামে এতো ভয় কেন পাও তুমি !

এত সহজে রেহাই দেবো ভাবলে এমন বান্দা আমি..

আরশোলার দুঃখ কেবল আরশোলারাই জানে ,

আরশোলাদের দুঃখ, তোমরা বুঝবে কেমনে ?

প্রতি রাতের নির্জনতায় আমরা খুঁজি খাবার,

ভোরের আলো ফোটার আগে খাবার করতে যে হয় সাবাড়.

একশো দিনের শ্রমিক মোরা দিন আনি দিন খাই

আমাদের তো তোমাদের মতো, মিডডে মিল নাই,

রেশন কার্ড ও নাই.

তবু মোদের দেখতে পেলেই, স্প্রে করে করে মারো,

কখনো পায়ের তলায় পিষে মারো,

মোদের কথা তোমরা যদি, ভাবতে একটি বার ও.

উড়ু উড়ু মন যখন ডানা মেলতে চায়

ঝাঁটার আঘাতে তখন মোদের বেঘোরে প্রাণ যায়.

আমাদের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্ছাগুলো যখন মেরেফেলো,

তখন বলো মনের মাঝে লাগে কি মোদের ভালো?

তোমরা তখন খুশি হয়ে,বলো ‘আপদ বিদেয় হলো’

কিংবা ধরো তোমরা যখন, আমাদেরই মেরে ফেলো,

বাচ্ছা গুলো তখন থেকেই, অনাথ হয়ে গেলো,

তখন ওদের মুখের মাঝে, কে দেবে খাবার বলো?

এমনি ভাবেই চক্রাকারে, ঘুরতে থাকে দিন

তবু বলো কেন মোদের, আসেনা কোনো সুদিন?

কথা শেষ করার আগে, একটি কথা বলো

একটা বড় পরিবার ছাড়া হয় কি ঘর আলো?

তোমরা তো সকলে মিলে, সুখে কাটাও দিন

আমাদের মারার আগে, যদি ভাবতে কোনোদিন,

তাহলে হয়তো আমাদেরও, আসতো সুখের দিন..

সুদিন মোরাও পেতে পারি, কাটাতে পারি সুখে..

যেদিন মোদের মারতে গেলে তোমরা দাঁড়াবে রুখে..

তোমরা শুধু শপথ করো, পারবে তোমরা রুখতে,

স্বাধীন দেশে আমরাও যেন, পারি মাথা উঁচু করে বাঁচতে.

.🐝. 👀..

 

তোমরা যতই করো সন্দ, আর যতই করো দ্বন্দ্ব,

তবু লিখবোই আমি কবিতা,

তার যতই না থাক ছন্দ, আর যতই বলো মন্দ..

পাচ্ছি বটে একটা পোড়া পোড়া গন্ধ, তবে যতই হোক দম বন্ধ,

তবু লিখবোই আমি কবিতা,

তার যতই না থাক ছন্দ, আর যতই বলো মন্দ..

কারণ, এই কবিতা লিখতেই আমি অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ.

তোমাদের নাই বা হোলো পছন্দ !!

তবু লিখবোই আমি কবিতা,

তার যতই না থাক ছন্দ, আর যতই বলো মন্দ।

 

 

সেই ছোটবেলাতে, কত ধরেছি যে চোর,

চোর চোর বলে আমি মাচিয়েছি শোর..

কখনো ধরেছি আমি খড়ের গাদায়,

কখনো পেয়েছি খুঁজে গাছের ডগায়..

কত চোর অনায়াসে দিয়েছে ধরা,

কতদিন কতচোর থেকেছে অধরা

ঠাকুমার বাড়ি থেকে ধরেছি যে চোর,

কখনো ধরেছি আমি মাচার ওপর.

চল্লিশ চোর আর একটা পুলিশ,

একটা ধরতে গিয়ে আর একটা মিশ..

কখনো ধরেছি আমি খাটের তলায়,

কখনো পেয়েছি কোনো গাছের গোড়ায়..

কতদিন চোরগুলো দিয়েছে ধোঁকা,

কতবার আমিও যে পেয়েছি মওকা..

চোখে ধুলো দিয়ে কত পালিয়েছে চোর,

কতবার ধরা পড়ে চেঁচিয়েছে ঘোর..

কত চোর কতদিন দিয়েছে ‘ধাপ্পা ‘,

কতদিন রেগে আমি হয়েছি খাপ্পা..

চোরেদের যেই আমি পেয়েছি হদিস,

ধরা পড়ার ভয়ে বলেছে ‘আবপুলিশ ‘..

সেই সব বন্ধুরা আজ ও আছে মনে,

মনে পড়ে সেই স্মৃতি আজও ক্ষনে ক্ষনে..

 

 

ভূত চেপেছে মাথায় ওগো ভূত চেপেছে মাথায়,

কবিতা নাকি লিখতে হবে শ্যাওড়া গাছের পাতায়..

সেইখানেতে ভূত মহারাজআছেন টঙ্গে বসে,

ভুল লিখলেই মারবে নাকিগাঁট্টা খানা কষে..

কি বিপদে পড়েছি রে ভাই বাঁচাও ভূতনাথ,

নইলে যে গো গাঁট্টা খেয়েহবো কুপোকাত..

কবিতা লেখার জন্য কিনা শ্যাওড়া গাছের পাতা!!

সেখানে নাকি লিখতে হবেভূতের গল্প গাথা!!

দোয়াত কলম নিয়ে বসি সেই সে গাছের ডালে,

বলি গল্প লিখে দিতেই পারি যদি নাচো তালে তালে..

এই না শুনে ভূত মহারাজ নাচ করলো শুরু,

সে নাচ দেখে ভয়ে আমারপ্রাণটা দুরু দুরু..

আচমকা সে ডাল টা ভেঙে পড়লো আমার ঘাড়ে,

ভূতের গল্প রইলো মাথায় প্রভু রক্ষা করো মোরে..

26/04/2021

 

7

 

🙂 .. অসন্তোষ না করোনা-র দোষ..🙃

 

বেরোবো বলেছি ঘরের বাইরে, তাতেই নাকি দোষ,


এর জন্য আমাদের  তোরা করছিস ফোঁস ফোঁস..

এতো লোকে বাজারে যাচ্ছে তাদের বেলায় পার,


আমরা বেরোবো বললেই ভয় দেখাস “করোনা’র !!

সারাদিন ঘরে থেকে লাগছেনা ভালো আর,

চাইছি রে তাই বাড়ির বাইরে বেরোতে একটিবার.

মুখোশ পরে,গা বাঁচিয়ে বেরোবো আমরা পথে,

যেতে যদি চাস রে তোরা, চল আমাদের সাথে..

জানি আমাদের হয়েছে বয়েস হয়েছি নড়বড়ে,

যদি হাঁটতে গিয়ে যাই রে পড়ে তুলিস না হয় ধরে..

এখন এতো শুদ্ধ বাতাস, নেইকো বাস ট্রাম,

একটু খানি ঘুরলেই পাবো, অনেকখানি আরাম.

তাই, অল্প একটু ঘুরতে দেনা, নিতে দেনা শ্বাস

সব কিছুতেই বাগড়া দেওয়া, তোদের বদভ্যাস,

ওঁৎ পেতে আছে বিপদ বাইরে, বোঝার চেষ্টা করো

রেখোনা ঘরের বাইরে পা, সাবধানে থাকো আরও.

ভালো মন্দ খাও দাও, গানের চৰ্চা করো,

জানলা দিয়ে আকাশ দেখো,মন কে খুশিতে ভরো..

 

8

 

সংকট আজ সব ভূতেদের দেশ ছেয়েছে রাম এ,

সুরক্ষার তাগিদে ওরা যোগ দেবে আজ বাম এ

মধ্যরাতে শুরু হবে ভোটের আলোচনা,

আলিমুদ্দিন এর চারপাশে  তাই ভূতের আনাগোনা,

উড়ে এসে জুড়ে বসবেন স্বয়ং ভূতরাজ,

রাস্তা জুড়ে দশদিকে তাই কালো বিড়ালের সাজ.

চোখ গুলো সব জ্বলছে-আছে ডেবডেবিয়ে চেয়ে,

এদিক থেকে ওদিক হলেই ঘাড় দেবে মটকিয়ে..

ভূতে আর বামে যদিও সক্ষ্যতা তেমন নাই,

রাম রাম আটকাতে তবু বাম কেই পাশে চাই..

প্রচ্ছন্য থাকবে সাপোর্ট হাঁকেন ভূতরাজ,

সাংবাদিক এর সভায় প্রবেশ বন্ধ আছে আজ..

সভা শেষে বলে গেলেন থাকছি আমরা জোটে,

রাম কে ঠেকাতে একসাথে লড়বো এবার ভোটে..

সমস্ত বুথে আমার এজেন্ট থাকবে যেন বাম,

রাম এ ভোট দিতে গেলেই আঙুলে পড়বে টান..

সব রাম এর ভোট তখন পড়বে গিয়ে বামে,

বাম এর হবে জয় জয়কার সাইলেন্ট সংগ্রামে..

মোদের এবার থাকবেনা ভয় থাকবেনা টেনশন,

জোট সরকার দেবে এবার ভূতের প্রটেকশন..

27/04/21

 

9

 

সন্ধ্যে হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে,আসছে মশার দল,

কি করলে মশার থেকে,মুক্তি পাবো বল?

মশারা যে বড়োই চতুর,রক্ত চুষে খায়,

সুযোগ পেলেই ফোটায় রে হুল,জ্বলিয়ে দিয়ে যায়..

আলো নিভলেই কানের পাশে, করছে রে ভন ভন,

কেমন করে বলতে পারো, করবো এদের নিধন?

কেউ বলছে স্প্রে করো ভাই, ঘরের চারপাশে,

কেউ বলছে জ্বালাও মর্টিন, তোমার আসে পাশে.

কেউ বলছে শরীর খানি ঢাকো চাদরে,

কেউ বা বলছে মশার নাকে, কামান দাগো রে..

কি যে করি,ভেবে না পাই চিন্তায় ঘুম নাই,

বৃদ্ধ খুড়ো এসে বলে, উপায় আছে ভাই..

মশার নেট লাগাও বাছা সব জানলা দরজা পরে,

তখন মশারা এসে দেখবে,”হায়রে , no entry “doorএ.

বাইরেও যদি মশা থেকে মুক্তি পেতে চাও,

তবে, জমা জল আর আবর্জনা এখনই দূর হটাও .

 

বিচিত্র পর্যায়

 

সুর ধরেছে আমার মনি, সারেগামাপাধানি,
মনে হলো শুনে হচ্ছেনা ঠিক,যদিও কিছুই বুঝিনি.

কখনো শুধু তারস্বরে ডাকছে দেখি মা, মা,
বাধ্য হয়ে বলি, ওরে গলা টা একটু নামা..

কখনো দেখি গাইতে গিয়ে পিছলে যাচ্ছে পা,
কখনো দেখি গান ধরেছে, ধরেছে সা পা..

কখনো শুনি ধা তে গলা লাগছে আধা আধা,
কখনো আবার গান গুলো সব হচ্ছে সুরে সাধা,

আসতে আসতে গান গুলো শুনি পাচ্ছে গলায় ভাষা,
যে যাই বলুক আমি জানি মনির গলাটা কিন্ত খাসা..

জানি অনেকে বলে মনি গানটা তেমন গায়না,
আমি জানি মনির গানের তুলনাই হয়না..

দেখো সুর ধরেছে আমার মনি, ধরেছে দেখো তান,
জানি এই সুরেরই মূর্ছনা তে এবার ভরবে সবার প্রাণ..

 

 

এতো দরদ তোমার গলায়
কে দিলো গো ঢেলে!!
কেমনে যেন প্রাণ পাখি মোর
উড়লো ডানা মেলে..
তোমার কন্ঠ ভরা গানে বাজে
প্রাণের বীনায় সুর,
নৃত্য গীতের আল্পনাতে
পেখম মেলে ময়ূর..
বৃষ্টি শেষের আকাশ যেমন
রামধনু দেয় বিছায়ে,
বিধাতা তেমনি তোমার কণ্ঠে
মাধুরী দিয়েছে মিশায়ে,
সেই সুরেরই মূর্ছনাতে
ভেসে চলে মোর মন.
সকাল সাঁঝে কাজের মাঝে
করে তারই অন্বেষণ..

02/05/21

 

 

রবি প্রণাম

রবি ঠাকুর, প্রাণের ঠাকুর প্রণাম করি পায়,
তোমার লেখনী ছাড়া যে আমরা বড়োই অসহায়…

সবুজ ঘেরা মাঠের মাঝে বেঁধেছিলে তুমি বাসা,
বটের ছায়ায় পাঠশালাতে শিখিয়েছ,জীবন কে ভালোবাসা..

যা কিছু করি, যা কিছু দেখি, সবেতেই তুমি আছো,
তুমি না দেখালে শিক্ষাই যেন, অপূর্ণ রয়ে যেত….

তুমি যে রয়েছো কবিতা,উপন্যাসে,রয়েছো গল্পে গানে,
সবার হৃদয়ে রয়েছো তুমি, আনন্দে, অভিমানে…

আজকে দেখো সবাই মোরা, তাকিয়ে তোমার পানে,
সুশিক্ষিতের কাটছে দিন বড়োই অসম্মানে,

হাল ধরো ওগো প্রাণের ঠাকুর, দেখাও মোদের দিশা,
তুমি না দেখালে শিক্ষার হবে ঘুটঘুটে অমানিশা..

 

 

নাক কেন ডাকে 🤔


নাক কেন ডাকে !

ঘুম চটকায়,

লোকে বোঝেনাতো

মোরা কত অসহায়।

আজেবাজে  কত ক্থা

সহে যাই নীরবে ,

তবু কেউ বোঝেনা

ভাবে ডাকি স্বভাবে।।

গোরা 🤔

 

 

বোকার বুদ্ধি..


বোকা মানেই এক বজ্ঞা, বোকা মানেই গোঁয়াড়,

বোকা মানেই বিশাল “বোদ্ধা “আসলে নির্বুদ্ধির পাহাড়।

সব বোকারাই ভাবে যখন তারা অনেক বুদ্ধি ধরে,

জটিল হয় কোনো বিষয় তখন প্রতি স্তরে স্তরে।

বোকা সাজাই শ্রেয় তখন যাদের বুদ্ধি আছে ঘটে,

তবেই দেখবো এই বোকারা আসবে সঠিক পথে।

একটু সময় গেলেই জেনো আসবে সমাধান,

দেখব তখন এই বোকাদের মান হবে খান খান।

ধৈর্য ধরে থাকতে হবে সাজতে হবে বোকা,

এই বোকারা ও বুঝবে, যেদিন বুদ্ধি দেবে ধোঁকা।

 

 

সন্ধিক্ষণ


হঠাৎ জীবন যদি থমকে যায় !!!মরণ এসে দাঁড়ায় দোরগোড়ায়,

মায়ার বাঁধন ছাড়িয়ে ,নিয়ে যেতে চায় কোনো এক অজানা ঠিকানায়.

কি করবো আমি! নিশ্চিন্তে পাড়ি দেবো,সেই অজানা স্বপ্ন পুরে,

নাকি,একটু সময় দাও গো বিধাতা বলবো করজোড়ে।

মানিয়ে নেওয়ার সময় যেন পায়গো মোর ঘরে।

হয়তো বিধাতা পুরুষ বলবে আমার সময় হয়েছে শেষ,

বরাদ্দ সময়ের আর নেই কোনো অবশেষ।

তবু ও বলবো, দিলেই যখন জীবন খানি আর একটু সময় দাও,

এই জীবনের শেষ ইচ্ছাটুকু পূর্ণ করে যাও।

এবার হয়তো বলবে আমায় ওরে, সময় দেবার আমি কে রে?

জন্ম মৃত্যু চিরন্তন থাকবেনা কিছু থেমে,

সূর্য চন্দ্র ও ওঠে যেমন কালের নিয়ম মেনে।

 17/07/23

 

 

রাগ কয় কাহারে 😡🤔


মাথা তে যে এতো রাগ কোথা থেকে আসে?

দিন নেই রাত নেই প্রতি মাসে মাসে !

রাগটা কি রাখা থাকে বালিশের পাশে?

নাকি চড়া রোদে পুড়ে যাওয়া প্রতি ঘাসে ঘাসে?

রাগ বুঝি চলে আসে ট্রামে বা বাসে?

নাকি রাগ রাখা থাকে চিলি ভরা সসে !

রাগটা কি রাখা থাকে গরম বাতাসে?

নাকি রাগ থাকে লংকার প্রতি গ্রাসে গ্রাসে !!

রাগটাকে রাখো যদি কোনো ভাবে বশে,

দেখবে তখন লোকে কত ভালোবাসে..

রাগ আনে ধ্বংস যদি বুঝে ফেলে মন,

সকলেই হাসি মুখে কাটাবে জীবন।।

 

 

আধুনিকা


আধুনিকা কারে কয় ?

জিন্স টপ পরে হাঁটলেই কি আধুনিকা হওয়া যায় ?

হাতে স্মার্টফোন, কানে হেডফোন “দেখো আমি আধুনিকা ”

এক হাতে বিয়ার, এক হাতে সিগার, আসলে যে মরীচিকা !

এদিকে, মাথা জুড়ে শুধু সেকেলে ভাবনা, শরীরে ঝুলছে মাদুলি,

শুধু চলনে বলনে দেখনদারিতে আধুনিকা হয়ে গেলি !

যদি, মন ভরে থাকে স্বচ্ছ ধারণা, মাথা জুড়ে থাকে ন্যায্য ভাবনা,

যুক্তি, তর্কে ,শিক্ষায় সব ভেঙে দাও অহমিকা,

তখন সকলে বলবে তোমায় আধুনিকা..

 

 

দস্যি মন


কোথায় কোথায় ছুটে বেড়াস আমার দস্যি মন,

এ ঘর ও ঘর সকাল সাঁঝে তোরে খুঁজি সারাক্ষণ.

আমার ও তো কাজ আছে বলঅফিস,বাজার,দোকান,

কেন শুধু শুধু ছুটিয়ে মারিসএখান থেকে ওখান.

একটু খানি মন টাকে কিবসাতে পারিস না!!

আমার ও তো হচ্ছে বয়স কেন বুঝিস না?

মন বলে,ঘরে বসে বিশ্বজগৎদেখবো কেমনে?

তাই দিবা স্বপ্নে পালিয়ে বেড়াই বুঝতে পারিস নে.

 

১০

 

সেই ছেলেবেলা


ছুটি ছুটি ছুটি,চল বন্ধুরা জুটি,

ধুলো কাদা মেখে,হই লুটোপুটি..

চল এক ছুটে, আম গাছে উঠে,

কাঁচা আম পেড়ে খাবো হামানেতে বেটে.

ঘুম থেকে উঠি মাঠে ঘাটে ছুটি

মিলে মিশে সবে করি খুনসুটি.

চল ময়দানে লুকিয়ে গোপনে,

ফুটবল নিয়ে খেলবো কজনে.

ভালো ছেলে সেজে,হয়ে পরিপাটি

বৃষ্টির দিনগুলো ,করিস না মাটি..

চল খিড়কির পাড়ে,একজোট হয়ে

ঝাঁপ দিয়ে জলে আনি ঝিনুক কুড়িয়ে.

ছোট ছোট খুশি আজ গেছে হারিয়ে,

সেই দিন গুলো চল আনি ফিরিয়ে.

জানি আসবেনা ফিরে,সেই ছেলেবেলা,

শুরু টাতো করি হোক না অবেলা.

বেলা গেছে বুঝি  ব্যস্ততা অবিরাম

তবু একই যেন থাকি,ঠিক যেমন ছিলাম..

 

১১

 

স্বাস্থ্য ই সম্পদ,মনে রেখো ভাইসব

লালসায় বাড়ে মেদ,আর বাড়ে অবয়ব.

যত স্বাদ তত মেদ জানো যদি একবার,

কেনো তবে সেই পথে যাও তুমি বারবার!

বড় বড় ভুঁড়ি নিয়ে হেঁটে চলো রাস্তায়,

দিন নেই রাত নেই খাচ্ছ রেস্তোরায়.

শরীর টা ভালো থাকে প্রাকৃতিক fuel এ,

Petrol গাড়ি বলো চলবে কি ডিজেল এ?

যদি চাও সুস্থতা প্রকৃতিকে আঁকড়াও,

Simple জীবন এর সমাধান খুঁজে নাও..

13/01/22 

 

১২

 

কোনোদিন যে লেখেনি কবিতা সে কিভাবে লিখছে আজ!!

বিদ্দ্ব জনেরে অবাক করেছে, দেখি অবাক হচ্ছে সমাজ!

কোনোদিন কেউ লেখেনি ব’লে কি লিখতে পারেনা আজ!!

তবে বুদ্ধিজীবির কপালে কেন পড়ছে আজকে ভাঁজ!!

কবিতা কি শুধু লিখতে পারে বুদ্ধিজীবির দল?

যাদের মাথায় উপর নেই কোনো ছাদ, পেটেতে জোটেনা খাবার,

তারা কি স্বপ্ন দেখতে পারে না? নতুন করে বাঁচার..

এগোতে পারে তো ওরাও, ক’রে কবিতা কে সম্বল.

হোক না, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,

আশা রাখে, একদিন না একদিন ঠিক, এ’জীবন হবে কাব্যময়.

লিখবে অনেক, অনেক কবিতা..দেখবে বিশ্বময়..

 

১৩

 

ওরে মন কেন বুঝিস না?

বেশি বড় হতে আমার ভালোই লাগে না,

এই তো আছি, বেশ তো আছি কাটছে রে দিন বেশ,

শুধু শান্তিটুকু মনের থেকে না যেন হয় শেষ..

হাজার রকম চিন্তা নিয়ে সব ছুটছে প্রতিদিন,

ভাবতে থাকে মিটবে কবে ওদের বোঝা বোঝা ঋণ,

জানি বড় হলেই আমাকেও নিতেই হবে চাপ,

ঋণ এর চাপে চ্যাপ্টা হলেও তখন করবেনা কেউ মাফ..

তাই বেশি বড় হয়ে আমি করবো কি তাই বল?

শুধু চলার পথে পা যেন মোর না করে টলমল..

 

১৪

 

পথের মাঝে যেথায় সেথায় বন্ধু খুঁজে মরিস?

মনের মাঝে দেখরে খুঁজে দেখি কেমন পারিস..

বন্ধু আছে হৃদমাঝারে দেখ রে অনুভবে,

পথের মাঝে বন্ধু তখন খুঁজতে নাহি হবে..

সবাই বলে বন্ধু হব,বন্ধু কজন হয় !

বন্ধু শুধু তারাই, যারা মনের মাঝে রয়.

আসে যদি বিঘ্ন,বিপদ,পথ হয় বন্ধুর,

থাকে যদি বন্ধু পাশে, সব বাধা হয় দূর..

বন্ধু হয়ে থাকবো পাশেই,আছি যতক্ষণ,

বন্ধু,শুধু বন্ধুই হয়,বন্ধু চিরন্তন..

 

১৫

নাকটা যদি না থাকতো, মোদের নাক ডাকাও থাকতো না..

তখন, নাক ডাকা নিয়ে প্রতি রাতে এতো বিবাদ ও বাঁধতো না..

এখন দেখছি দিনে দিনে বাড়ছে ডিভোর্স কেস,

আর সব কেসেরই ফয়সালা নাকি নাকেই এসে শেষ..

এদিকে, ডিভোর্স কেস ঠুকেছে মাসি কারণ নাকি নাক,

তার হাঁকডাকেরি মাসুল নাকি চাইছে আশিলাখ..

বলি, আমরা তো আর ডাকি না ডাকে তো মোদের নাক

তাই মাসুল যদি দিতেই হয় দেবে ,যে করে হাঁকডাক..

তবে, এতো যখন কেস কাছারি তখন শোনরে ওরে নাক,

ওদের ছেড়ে কথা বলিস না তুই তাতে যা খুশি হয়ে যাক..

তাই, ডাক রে ওরে ডাক এবার নাক টা খুলে ডাক

ঐ ডাকেরই গর্জনে সবার পিলে চমকে যাক.

যারা নাক ডাকলেই কেস করে দেয়, করে অপমান,

যেন তারাও বোঝে এখন থেকে মোদের নাকের ও আছে মান..

 

১৬

 

কর্তার ইচ্ছায় কর্ম,
এই নাকি তোর ধর্ম!!

সবাই যদি স্বাধীন তবে,
কেন এমন বর্ম ?

গাধার মতো খেটে খেটে
রোজ হচ্ছিস গলদ ঘর্ম.

এতো যে তোরা খেটে মরিস
ওরা বোঝে কি তার মর্ম ?

যখন তখন কথা শোনায়
নেই তো ওদের সরমও,

তাই এমন কিছু কর
যাতে মাথায় ওঠে করমও..

আসুক সুদিন
যেদিন মিলেমিশে হবে কর্ম,

আর এটাই হবে মানব জাতির
একমাত্র ধর্ম..

 

১৭

 

রাগ কিভাবে মাথায় ওঠে বলতে কি কেউ পারো??
উঠতে উঠতে মাঝে কোথাও,দাঁড়ায় না একবারও??

রাগ যখন উঠতে থাকে পেটের ভিতর দিয়ে,
তখনই কি পেট ফুলে যায় গোঁসা দেখিয়ে??

মাথায় ওঠে রাগ নাকি, যখন ঝগড়া করে মরো !!
গলা অবধি এলেই তাকে আটকাতে কি পারো??
তাহলে এক গলা জল ঢাললেই সে ঠান্ডা হবে আরও.

রাগ যদি বাড়তে থাকে গরম বাড়ার সাথে,
তবে বরফ কুঁচি চেপে ধরো নিজের মাথাতে..
রাগ ও তখন ঠান্ডা হবে বরফ গলার সাথে.

ইচ্ছা পূরণ না হলে যদি রাগটা যায় বেড়ে,
তবে পাস বালিশে ঘুসি মারো একটু বেশি জোরে,
ঘুসির সাথে দেখবে তখন রাগ ও যাবে পড়ে..

অধিক পরিশ্রমেও কি রাগটা মাথায় ওঠে??
তাহলে অল্প শ্রমে কাজ এর উপায় ভাবতে হবে বটে..
শ্রম কমলেই দেখবে তখন রাগ ও যাবে মিটে.

যদি জেনে বুঝে থাকতে পার রাগের থেকে দূরে,
দেখবে তখন রাগটা তোমায় কখন গেছে ছেড়ে.

১৮

 

রাস্তা মাঝে বন্ধু বলে, কি রে চিনতে পারিস?

আমি চিরপ্রিয়.

বলি চিনবোনা কেন, তুই কি ভাবিস ? তুই যে আমার বহুদিনের প্রিয়.

বলে,তুই নাকি কবিতা লিখিস?

আমি বলি তুই সেকথা, কেমন করে জানিস!!

কবিতা আর আমি দুটো কি এক জিনিস..

কাব্য থেকে আমি শত যোজন দূরে, এ টুকু তো মানিস ?

কবিতা লিখতে বোধ,বুদ্ধি, দুটোই ঘটে চাই,

এ দুটোর একটাও যে, আমার কাছে নাই.

তবুও লিখছি বটে, কয়েকটা কবিতার মতো করে,

কিন্তু সেটা কবিতা কিনা, প্রমান হয়নি যে রে..

তবুও তুই জানলি কিভাবে, সেটাই আমি ভাবছি!!

আমার লেখার নাম হচ্ছে, সেটা শুনেই হাসছি!!

এ গুলোকে যদি কবিতা বলে, তাহলে কবিতা লিখছি,

তোর কথা তবে সত্য বটে, এ কথাটা মানছি.

 

১৯

 

কবি মীনাক্ষীদি র  একটি কবিতার প্রেক্ষিতে..

চিন্তা কোরো না গো দিদি, চিন্তা কোরো না,

বংশী ধারী তোমার ব্যাথা, সইতে পারে না..

সুর ধরেছে বংশীধারী, ধরেছে দেখো হাল,

যতই দুলুক নৌকাখানি, তবু হবেনা বেসামাল.

ভাঙবে নদী ভাসবে দুকূল, ভাসবে চতুর্দিক,

তার মধ্যেও তোমায় সে যে, আগলে রাখবে ঠিক..

তোমার সুখ অসুখের, বংশীধারী সমান ভাগিদার,

লাঘব হবে কষ্ট তোমার, মিলবে মুক্তি যন্ত্রনার..

গোরা ..

 

বাকিটা ব্যক্তিগত

 

…. জীবন চরিত ….

জানি থাকবো না চিরকাল, থাকবে আমার কবিতা,
তাই কবিতা দিয়েই সাজিয়ে যাবো,না বলা যত কথা.

হয়তো তা হবে ছন্দ মুক্ত, হয়তো ছন্দ বদ্ধ,
তবু লিখবো আমি সবই, যা করেছে সমৃদ্ধ..

আমার জীবনও কখনো ছন্দে ভরা,কখনো ছন্নছাড়া.
কখনো দুঃখ,ব্যথা, আবার কখনো আদরে মোড়া…

কখনো খরস্রোতা, কখনো ভাটার টান
কখনো দিশাহারা, কখনো বা ভরা প্রাণ…

কখনো সরল,কখনো জটিল,কখনো বা সাবলীল
কবিতা গুলো দেখো সবাই,আমার মতোই অনাবিল..

সব কবিতাই বড়ই আপন,ভীষণ প্ৰিয় আমার,
তাই যত্ন নিয়ে পোড়ো সবাই, রইল এইটুকু আবদার..

গোরা..

 

 

আমার দিদি – কবি


আমার দিদি প্রকৃতির কবি,
সবাই মাটির মানুষ বলে,
ছোট্ট থেকেই জীবন কেটেছে
তার একা একা পথ চলে,
সঙ্গী ছিল গাছ,পাখি,ফুল,
আকাশ,নদী,সূর্য,চন্দ্র,তারা,
তাই এসব নিয়েই লিখছে এখন
দেখে আমরা বাক্যহারা..
সেদিনের ছবি তোলা ছিল
তার মনের অ্যালবামে,
তারে বর্নমালায় সাজিয়ে তুলেছে
আজ নিজের কলমে…
চোখের সামনে ভাসতে থাকে
তার লেখা ছবিগুলো,
মনে হয় যেন বার বার বলি
আহা ,লেখাটা বড্ড ভালো..
তার লেখনীর শব্দ ছটায়
মাতিয়ে তোলে মন,
নতুন করে চিনতে শেখায়
প্রকৃতিকে প্রতিক্ষন..
এমনি ভাবেই লিখতে থাক
যেন ফুটে ওঠে এক ছবি,
সবাই একদিন বলবে দেখিস
দিদি, প্রকৃতির কবি..

 

 

মা
এতদিন পরে তুমি এলে, ভোরের স্বপ্ন হয়ে,
মাথায় ছোঁয়ালে হাত, বললে, সুপ্রভাত….
শুধালে কেমন আছিস?
এখনো আমায় ভালোবাসিস!
মনে পরে আমায়!
মা গো কিভাবে ভুলবো তোমায়?
মা, কেমন আছো তুমি?
বড় কষ্টে আছি গো আমি.

তুমি তো সবি জানো,,, তবু আসোনা কেন?
আমায় একলা ফেলে, তুমি কি করে চলে গেলে?
ওরে পাগল ছেলে,
আমি আছি তোরই কাছে, তাকিয়ে তোরই পানে,
শুধু নয়ন মেলে দেখরে চেয়ে,ওই দূর আসমানে.

মা গো আকাশ ভরা হাজার তারা, কোথায় খুঁজি তোমায়?
যে তারা টা দেখবি রে তোর, সবচেয়ে কাছে আছে,
তার ই মাঝে লুকিয়ে আছি, তোরই চোখের কাছে.
সজ্ঞে যাওয়ার সুযোগ পেলে, কে আর ছাড়ে বল…
তোর বাবা ও তো আমায় ছেড়ে ,কত কষ্টে ছিলো বল,
কোনোদিন তো চাইনি কিছু, হাতপেতে তোর কাছে,
এইটুকু তুই দিলি নাহয়, এছাড়া চাওয়ার কি আর আছে!!!
যাতে বাকি সময় কাটাতে পারি, তোর বাবার-ই কাছে.

গোরা ..

 

 

আমি সাধারণ কবি,
যা কিছু দেখি,যা কিছু ভাবি,
তাই দিয়ে আঁকি ছবি.

সেই ছবি গুলো স্মৃতি পটে নিয়ে
রেখে দিই আমি তা,
সেখান থেকেই লেখা হয়ে যায়
আমার সাধের কবিতা.

আমার দিদি প্রকৃতির কবি,
সবাই মাটির মানুষ বলে,
ছোট্ট থেকেই জীবন কেটেছে
তার একা একা পথ চলে.

সঙ্গী ছিল গাছ,পাখি ফুল,
আকাশ,নদী,সূর্য,চন্দ্র,তারা,
তাই এসব নিয়েই লিখছে এখন
পড়ে আমরা বাক্যহারা.

সেদিনের ছবি তোলা ছিল সব
তার মনের অ্যালবামে,
তারে বর্নমালায় সাজিয়ে তুলেছে
আজ নিজের কলমে.

চোখের সামনে ভাসতে থাকে
তার লেখা ছবিগুলো,
মনে হয় যেন বার বার বলি
আহা,লেখাটা বড্ড ভালো.

তার লেখনীর শব্দ ছটায়
মাতিয়ে তোলে মন,
নতুন করে চিনতে শেখায়
প্রকৃতিকে প্রতিক্ষন.

দাদা আমার ভালোই লেখে
গানের হাত ও ভালো,
আধুনিকতার ছোঁয়ার সাথে
জাগায় আধাত্যিকতার আলো.

শব্দ চয়ন বড়ই ভালো
যেন পরানো আছে বর্ম,
বোধগম্য করতে গিয়ে
তাই হয় যে গলদ ঘর্ম.

মেজদা আমার সহজ সরল
বড্ড সিদে সাধা,
গান শুনে তার প্রাণটা জুড়ায়
যেন সপ্ত সুরে বাঁধা..

 

 

…আমার গ্রাম…

পাতুল আমার গ্রাম, গৌর আমার নাম,
এক-হাঁটু কাদা পেরিয়েও সেথা,ছিল যে প্রাণের আরাম

এবেলা,ওবেলা খুদ-মুড়ি খেয়ে কেটেছে মোদের দিন,
তবু মনের খুশিতে মানিয়ে নিয়েছি,রাখিনি কারোর ঋণ..
.
বন্যার দিনে নৌকোতে 🚣চড়ে ঘুরেছি মোদের গ্রাম,
দুপুরবেলাতে আম গাছে উঠে, লুকিয়ে পেড়েছি আম.🍋

পাড়ার দাদার ধান কেটে দিয়ে, কিনেছি ক্রিকেট ব্যাট,
বন্ধুরা মিলে জমিয়ে খেলেছি, হেঁকেছি হাউজ দ্যাট…

খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ারে খেলেছি যে লুকোচুরি,
বন্ধুরা সব জমিয়ে খেয়েছি আমতেল মাখা মুড়ি..

ঘেঁটুর মেলায় যাত্রা দেখেছি, জিলিপি খেয়েছি কত,
আজও মনে পড়ে যাত্রার সেই সংলাপ অবিরত…

পুকুর সাঁতরে এপার ওপার হয়েছি যে কতবার, 🏊
ডুব সাঁতারে ঝিনুক তুলেছি, খেয়েছি যে কত মার..

না ছিল টিভি, না ছিল ফোন, তবু ছিল যে অনেক কিছু,
টুকরো টুকরো স্মৃতিরা তাই,ঘোরে আজও পিছুপিছু..

 

 

প্রার্থনা

ঠাকুর,আজ আমার জন্মদিন,

দেখো,তোমার জন্য এনেছি কত ফুল,

সাজিয়ে দিয়েছি তোমার আসন বসন,

দিও শুধু তোমার চরন ধুল।

জানি তোমারই জন্য এতখানি পথ

পেরিয়ে এসেছি আমি,

কাটিয়ে উঠেছি সকল সংকট

মৃত্যুর হাতছানি।

পাশে আছে কত বন্ধু স্বজন

আর আছে পরিজন,

বাঁচিয়ে রেখেছি মনুষত্ব

আগলে রেখেছি মন।

তোমারই চরণস্পর্শে

আমার জীবন প্রবাহমান,

নতুন কিছু করার তাগিদ

আজও বর্তমান।

ভালো থেকো, ভালো রেখো

দিও চরণতলে ঠাঁই

জন্মদিনে এইটুকু শুধু

প্রার্থনা করে যাই।

গোরা – 19/12/23

 

চিঠি


তোমায় চিঠি লিখবো বলে ভাবছি বসে বসে,

যে কথা গুলো হয়নি বলা সময়ের অবকাশে।

না বলা কথায় কত আছে প্রেম,বলে যায় কত কথা,

মুখের বাক্য শুনেছ শুধুই ! বোঝোনি হৃদয়ের নীরবতা!

সব বলে যাবো তবেই বুঝবে এই কি আমার তুমি!

তবে কেন বলো আমার আমি কে রন্ধ্রে রন্ধ্রে চিনি!

তুমি না থাকলে আমার আকাশে আঁধারের ঘনঘটা,

তুমি হেসে দিলে পূর্ণিমা হয়ে ছড়াই আলোর ছটা।

তুমি আছ তাই নীলিমায় নীল, বাতাসে দখিনা হাওয়া,

মনের গহনে আজও চলে তাই, দুজনার আসা যাওয়া।

তুমি আছো বলে আজও বয়ে চলি,আমার জীবন তরণী,

হাসি মুখে থাকি শত দুঃখেও,প্রতিটি দিবস রজনী।

তুমি আছো বলে ভরে আছে প্রেম, সুরভিত অন্তর,

বিরাজী’বে তুমি আমার হৃদয়ে জন্ম জন্মান্তর।

কতদিন দেখা হয়নি জানি ,বাঁধিনিকো প্রেমডোরে,

হয়নি ভোরের আকাশ দেখা, মিষ্টি রোদ্দুরে।

হাঁটিনি কতদিন একসাথে মোরা,হয়নি বেড়াতে যাওয়া,

কতদিন হলো নৌকো চড়িনি,পালেতে লাগেনি হাওয়া ,

তবু রবে চিরদিন তুমি,আমার হৃদয় মাঝে,

তোমার হৃদয় স্পন্দন জেনো,মোর অন্তরে বাজে।

যদি করে থাকি ভুল,সব ভুলে গিয়ে করে দিও তুমি ক্ষমা,

চিঠিটা পড়লে বুঝবে আমারও কত ব্যথা ছিল জমা।

এতদিন তুমি হাজার বলেও লেখাতে পারোনি চিঠি,

সেই আমি আজ লিখেছি তোমাকে হৃদয়ের অনুভূতি।

পড়ে নিও তুমি দিবস পোহালে ,সকল কাজের শেষে,

রেখে দিও মোরে আপন হৃদয়ে অফুরান ভালোবেসে।

ইতি  – গোরা 

 

জয়ী

তোমাদের শোনাবো এক লড়াই এর কাহিনী,

যে কথা কখনো আমি, কাউকে বলিনি..

এক যে ছিল কন্যে , নাম ছিল তার জয়ী,

ছোট্ট থেকেই জীবন যুদ্ধে,, সে হয়েছে বিজয়ীl

লড়াইটা তার রক্তে ছিল, শক্তি ছিল মনে,

তার নামেতেই লুকিয়ে ছিল, সফলতা ‘র মানে !

মারণ রোগের শিকার ছিল, তখন ক্লাস সিক্স,

বাবাই তাকে শিখিয়ে ছিলো,যুদ্ধ জয়ের ট্রিক্স

কি নিদারুন যন্ত্রণায় কেটেছে প্রতিটা মাস,

সে কথা যদি বলতে হয়, হয়ে যাবে ইতিহাস।

রেডিওথেরাপি, কেমো’র যন্ত্রণা , দমাতে পারেনি তাকে,

মনের জোরের শক্তি কতটা, সে দেখিয়েছে বিশ্বকে !

তাই, হাল ছেড়োনা বন্ধু, শুধু কণ্ঠ ছাড়ো জোরে,

সব জয়ী-রাই হোক বিজয়ী, জীবন-যুদ্ধের প্রান্তরে..

 

সুয্যি মামা 🌞


ঘুমের ঘোরে হঠাৎ দেখি, চোখের ওপর আলো,

সত্যি করে বলবো কি ভাই মাথাটা হেব্বি গরম হোলো,

দেখ তো ওরে কে আছিস, কে ফেলে চোখে আলো,

আমার ঘুমে বেঘাত ঘটায়, কার এ সাহস হোলো ?

ওমা,দেখি সূয্যি মামা বলছে আমায় ডেকে

“একবার নয়ন মেলে দেখরে গোরা, প্রভাত উঁকি দিলো.

বিছানা ছেড়ে ওঠ রে এবার বেলা যে বয়ে গেলো।

বলি ওগো সূয্যি মামা

আমার সাথে তুমি ও নাহয় আর একটু ঘুম দাও

রোজ রোজ প্রভাত বেলায় উঠতে কেন চাও!!

সূয্যি মামা হেসে বলে পাগল ছেলে ওরে

রোজ প্রভাতে উঠতে কি আর আমারও ইচ্ছা করে।

বিশ্বজগত আমার আলোর প্রতীক্ষাতে রয়

তাই এই টুকু ত্যাগ তাদের জন্য আমায় করতে হয়.

আশীর্বাদ করো গো মামা আমিও যেন পারি

ত্যাগ এর আলোয় নিজেকে যেন বিশ্বে মেলে ধরি.

.গোরা .

 

১০

 

মনি কে!


Caring nature এ তে মাদার এর বোন,

শিল্প সৃষ্টিতে আছে সদা মন..

চিন্তা ও মননে আছে স্বচ্ছতা অবিরত,

মনের জোরে ক্যান্সার ও করেছে প্রতিহত..

সাধারণ ভাবে সে যে স্বভাবেতে শান্ত

শুধু ভাগ্নে কে কাছে পেলে উদ্দাম, দুরন্ত..

প্রয়োজনে ছুটে যেতে, দেখেনা ফিরে,

সবকিছু বুঝে নেয় ঐটুকু শিরে..

ধর্ম অধৰ্ম বোঝে না সে কিছু,

ওপাড়ার কমলাও তার পিছু পিছু.

চাহিদা যেটুকু আছে সে বড় নগণ্য,

ছোট বড় যেই শোনে বলে তুমি ধন্য..

বড় ভালো মেয়ে সে তো সকলেই জানি,

তার কাছে যে গো আমি আজীবন ঋণী..

ভাবছোতো সে কে হবে? কে এতো গুণী!!

সে তো আর কেউ নয়,মোর নয়নের মনি.

.14/01/22

১১

 

ভাল লাগে না..

 

কথায় কথায় গোরা বলে

লেখনা কিছু, লেখনা কিছুভাল লাগে না,

লেখার মতো ধৈর্য আমার

নেই তো এখন, বোঝাই কাকে??ভাল লাগে না..

যখন তখন লিখতে আমার

ভাল লাগে না, ভাল লাগে না…

খাতা পেনসিল এগিয়ে দিয়ে

বলে আঁকতো দেখি কেমন পারিস,ভাল লাগে না,

এসব নিয়ে বসতে এখন ভাল লাগে না..

ইচ্ছে হলেও লিখতে গেলে পাইনা ভাষা,

বোঝাই কাকে?? ভাল লাগে না..

মাথার দিন রাত্রি নিয়েছে কেড়ে

কর্পোরেট এর কাজের বোঝা,সবই তো জানিস ?? ভাল লাগে না..

নতুন করে এখনো এসব বলতে হবে??ভাল লাগে না.

বলে, কত কি তো লিখতিস তুই

কুড়িয়ে পাওয়া ছেঁড়া পাতায়!!লেখনা এখন..

সেই মন টাকে তুই খুঁজে নিয়ে লেখনা এখন..

দেখবি তখন সবকিছু তোর লাগবে ভালো, লাগবে ভালো..

নতুন নতুন লেখা যখন

বেরোবে রে তোর মগজ থেকে,লাগবে ভালো..

ভাববি, মগজটা তোর এখনো আছে

যেমন ছিল আগের দিনে.লাগবে ভালো..

কর্পোরেট এ নেয়নি কিছুই,

নিয়েছে শুধু সময় টুকুই,লাগবে ভালো..

হাসির রেখা ফুটবে তখন চোখের কোণে

দেখবি তখন সবকিছু তোর লাগবে ভালো, লাগবে ভালো..

নতুন নতুন কথামালা ঝরবে যখন

কলম থেকে মুক্ত হয়ে,

লাগবে ভালো , লাগবে ভালো, লাগবে ভালো..

 

 

১২

 

আমার দেখা দুই চরিত্র সজল, সৌমিত্র

কারণে বা অকারণে ওরা পরস্পরের মিত্র..

কাজের সূত্রে আলাপ ওদের এখন ওরা বন্ধু,

মনের জোরে একসাথে পার করে যায় সিন্ধু..

এসেছে অনেক বিঘ্ন বিপদ, তৈরী হয়েছে শঙ্কা,

সব কিছু পার করে ওরা,বাজিয়েছে জয়ডঙ্কা.

যখনই দেখি দুজনে আসে একসাথে বেচে মাল,

কাজের শেষে সৌমিত্রদা গানেও করে কামাল..

সজল তো সদা হাস্যময় থাকে খুশি খুশি,

শুধু বেচার জন্য মাথা খারাপ করে একটু বেশি..

কাজের শেষে আড্ডা চলে, সঙ্গে মুড়ি চা,

আর আমার লেখা আবোল তাবোল কবিতার চর্চা..

দুজনেই বড় আপন আমার কাছের মানুষ তারা,

দোকানে এলেই গল্পে,আড্ডায় থাকি মাতোয়ারা..

যেন এমনি ভাবেই বন্ধু হয়ে থাকি সারাজীবন,

কারণ বন্ধু,শুধু বন্ধুই হয়,বন্ধু চিরন্তন..

 

১৩

 

কতদিন পরে তুমি এলে,ভোরের স্বপ্ন হয়ে,

মাথায় ছোঁয়ালে হাত, বললে, সুপ্রভাত..

শুধালে কেমন আছিস?এখনো আমায় ভালোবাসিস?

মনে পড়ে আমায়? মা গো, কিভাবে ভুলবো তোমায়!

মা, কেমন আছো তুমি? বড় কষ্টে আছি  আমি..

তুমি তো সব জানো  তবু আসোনা কেন?

আমায় একলা ফেলে, তুমি কি করে চলে গেলে!

প্রতি রাতে বুকটা আমার, ডুকরে কেঁদে ওঠে,

মাথার পাশে বসে যদি,বুকে হাতটা বুলিয়ে দিতে ..

ঘুমের মধ্যে হাত দুটো আজ  খুঁজছে আমার মাকে

মিস করছি বড্ড মাগো, তোমার আদরটাকে.

কোথায় আছো তুমি মাগো, একটু দেখা দাও,

আমার কথা না ভেবে, তুমি কিভাবে চলে যাও?

ওরে পাগল ছেলে,

আমি আছি তোরই কাছে, তোর’ই চোখের তারায়,

যখনই তুই চাইবি ওরে, দেখতে পাবি আমায়..

হঠাৎই মনে হলো,

কেউ বুঝি আজ, আমার, ঘুম ভাঙাতে চাইছে,

তাই বুঝি কপালে কেউ, ফোঁটা ফোঁটা জল ঢালছে..

তাহলে কি সত্যি মাগো, তুমি এসেছো আমার কাছে!

এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে,আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেছে..

ঘুম থেকে উঠে, হাতটা যখন দিয়েছি কপালে,

দেখি সত্যি সত্যি কপাল আমার,ভিজে আছে আজ জলে !

তবে কি কপালে আমার, মায়ের চোখের জল !

তখন সুধাই চোখের জলে,

তবে কি মাগো, তুমি সত্যি এসেছিলে!!

আমায় দেখা টুকু না দিয়ে, তুমি কোথায় চলে গেলে,

মাগো, কোথায় চলে গেলে!!

গোরা ..29/07/2019

 

১৪

 

.. অনীশ-চিত্রকর-ব্যানার্জী..

হে চিত্রকর,আঁকো দেখি ভালোকরে কয়খান চিত্র,

প্রকৃতির যত কিছু আছে বৈচিত্র্য..

গাছ আঁকো 🌳পাখি আঁকো 🦜আঁকো দেখি ফুল

🥀 আঁকো দেখি ঘরবাড়ি,🏠রাস্তা ও স্কুল..

বাস আঁকো, লরি আঁকো 🚒, আঁকো দেখি ট্রাম,

আর আঁকো তবলা, হারমোনিয়াম, 🎹

জামা আঁকো, জুতো আঁকো,আঁকো তুমি সব-ই,

যেন দেখে বোঝা যায়, এঁকেছে তো বাবি..

চেয়ার আঁকো,টেবিল আঁকো, আঁকো দেখি খাট,

আর আঁকো কলেজের ফুটবল মাঠ..

ঝর্ণার জল আঁকো, আঁকো তুমি বন,

আর মন জুড়ে আছে যত অবুজ স্বপন..

ঘর জুড়ে ছবি আঁকো মন চায় যেটা,

তবেই তো বুঝবো তুমি অরুনেরই বেটা..

পাহাড় আঁকো,⛰ নদী আঁকো,আঁকো তুমি সব-ই,

টুপ্ করে উঠে পড়া প্রভাতের রবি.. 🌝

খাতা আঁকো,বই আঁকো, আঁকো তোমার মর্জি,

পারলেই বুঝবো তুমি অনীশ ব্যানার্জী..

 

১৫

 

কন্যা ..

সেদিনের সেই কন্যা তুই তো আর নেই ..

কোথায় যেন হারিয়ে গেছিস নিজের অজান্তেই .

যতদিন তুই কন্যা ছিলি সেটাই ছিল ভালো

বড় হাওয়ার বাসনাতে হারালি স্বপ্নগুলো .

তোকে নিয়ে অনেক আশা জমিয়েছিলাম মনে

সব আসার এ জলাঞ্জালি, তোর বড় হওয়ার ক্ষনে.

সেদিনের সেই কন্যা , তুই তো আর নেই ..

কোথায় যেন হারিয়ে গেছিস নিজের অজান্তেই..

হয়তো আমার ভাবনাতেই ছিল মস্ত ভুল ,

স্বপ্ন কিছু ছিলই না তোর , শুধুই ছিলো ভুল .

লোকে বলে মেয়েরা সুযোগ যদি পেত

বড় হয়ে তারাও নাকি মস্ত মানুষ হত .

তাই -ত আমি চেয়েছিলাম একটু সুযোগ দিতে .

জাতে তুই ও বড় হয়ে পারিস মানুষ হতে

মানুষের মত মানুষ হ এই টুকু তো চাই

যাতে আমারও হ্রদয়খানি খুশি তে ভরে যায়।

 

১৬

 

🧚… কৌশানি -চিত্রকর -সেন…

🧚‍♀হে চিত্রকর,আঁকো দেখি ভালোকরে কয়খান চিত্র,

প্রকৃতির যত কিছু আছে বৈচিত্র্য…

গাছ আঁকো 🌳পাখি আঁকো 🦜আঁকো দেখি ফুল

🥀 আর আঁকো ঘরবাড়ি,🏠রাস্তা ও স্কুল..

বাস আঁকো, লরি আঁকো 🚒, আঁকো দেখি ট্রাম,

আর আঁকো তবলা, হারমোনিয়াম,

🎹জামা আঁকো 👚প্যান্ট আঁকো,আঁকো চুড়িদার 👗

আর মা’র কাছে খেতে চাওয়া যত আবদার..

চেয়ার আঁকো,টেবিল আঁকো, আঁকো দেখি খাট,

আর আঁকো তোমাদের ফুটবল মাঠ.. ⛹‍♀

পাহাড় আঁকো,⛰ নদী আঁকো,আঁকো তুমি সব-ই,

আঁকো দেখি সাগরেতে মিশে যাওয়া রবি.. 🌝

খাতা আঁকো,📒 বই আঁকো, আঁকো দেখি পেন,

✒ পারলেই বুঝবো তুমি কৌশানি সেন.. 👧

 

১৭

 

……… বিবাহ বন্ধনে …….

দেখতে দেখতে 11 বছর, পেরিয়ে এলাম মোরা,

ছাদনাতলার, সাতপাকের কোনো বাঁধন ছাড়া,

মনের গোপনে কঠিন বাঁধনে বেঁধেছি দুজন দুজনে,

নাইবা বাঁধা পড়লাম মোরা, সাতপাকের বাঁধনে..

সাক্ষী ছিল বন্ধুরা সব, সাক্ষী বড়রা,

সাক্ষী ছিল দোয়াত কলম, সাক্ষী ছিলাম মোরা..

সাক্ষী স্বয়ং সাধু বাবা, সাক্ষী নারায়ণ,

সাক্ষী ছিল আমন্ত্রিত প্রিয় মানুষজন..

দেখতে দেখতে 11বছর কেটেছে মোদের বেশ,

তবু সেদিনের সেই ক্ষণটার এখনো রয়েছে রেশ..

এসেছে অনেক বিঘ্ন বিপদ, এসেছে দুঃখ কষ্ট,

করেছি লড়েছি একসাথে, কখনো হইনিকো পথ ভ্রস্ট.

যেন এমনি ভাবেই কাটেগো দিন, কাটে বছর মাস,

যতক্ষণ না সাথে থাকার, মিটবে মোদের আশ..

 

১৮

 

আকাশে আজ রঙের খেলা বাতাসে বাজছে বীন

আজ যে মোদের আকাশের শুভ জন্মদিন..

ভালোবাসায়, শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলাম তোরে

সকল বিপদ হতে যেন থাকতে পারিস দূরে.

সুরভি তোর ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীর কোণে কোণে

যেন একডাকে তোকে চিনতে পারে বিশ্বে জনে জনে..

ঈশ্বর সদা মঙ্গলময় তাই আবদার করি তাঁরে

যেন মানুষের মতো মানুষ হোস আর কিছু চাইনারে.. 

 

১৯

 

……শুভ জন্মদিন ওম …….

আজ বড়ই খুশির দিন, আজ ওম এর জন্মদিন,

আশীর্বাদে উঠুক ভোরে, দিনগুলো হোক রঙিন…

সুশিক্ষাতে পূর্ণ হোক, তোর আগামী দিনগুলো,

বিকশিত হোক নিজস্বতার, ফুটুক পাপড়িগুলো…

সুর সাধনায় মগ্ন থাকিস মনেতে রাখিস খুশি,

ওম, সত্যি বলবো কি তোকে বড্ড ভালোবাসি..

ঈশ্বর সদা মঙ্গল ময়, তাই আবদার করি তাঁরে,

যেন, তোর জ্ঞান -এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে..

 16/11/2019

২০

 

…….আমার গানের দিদি…..

দিদি তোমার জন্মবারে

সকলে মিলে একজোট হয়ে প্রার্থনা করি ঈশ্বর এ

তোমার জ্ঞানের ব্যাপ্তি যেন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে .

যেমন করে সূর্য চন্দ্র ছড়ায় এতো আলো ,

তেমন ভাবেই সৃষ্টি সুখে জ্বালাও জ্ঞানের আলো.

তুমি জ্বালাও জ্ঞানের আলো.

তোমার আলোয় আলোকিত হোক কচি কাঁচাদের দল ,

রা সঠিক দিশায় এগিয়ে চলুক এই হোক সম্বল.

ঈশ্বর সদা মঙ্গল ময় তাই আবদার করি তাঁরে

এই দিন টাই ফিরে আসে যেন প্রতি বছরে বছরে..

 

২১

 

…….প্রিয় মীনাক্ষী দি……

দিদি তোমার জন্মবারে

কবিতা প্রেমীরা একজোট হয়ে প্রার্থনা করি ঈশ্বর এ ,

যেন তোমার ‘স্রষ্টা-তুমি’ র ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে .

যেমন করে সূর্য চন্দ্র ছড়ায় এতো আলো ,

তেমনি ভাবেই সৃষ্টি সুখে ঘোচাও মলিনতার কালো..

তোমার আলোয় আলোকিত হোক কাব্যপ্রেমীর দল,

সুরভী তোমার লেখনীর হোক ওদের জীবনভোরের সম্বল..

মন ছুঁয়ে যাক তোমার লেখনী প্রাণে ভোরে দিক খুশি,

দিদি সত্যি বলতে কি, তোমার সৃষ্টি বড্ড ভালোবাসি.

ঈশ্বর সদা মঙ্গল ময় তাই আবদার করি তাঁরে,

তোমার লেখনী যেন বিরাজ করে সকলের ঘরে ঘরে..

গোরা..

 

 

আমার খানাকুল..

মাঠের পাশে বাবু-দের ছিল মাটির দোতালা বাড়ি,
ভালোবেসে দোতলার ঘর ওরা দিছিলো মোদের ছাড়ি.
তার একটাই ঘর, একটু দালান, নেইকো রান্নাঘর,
সেই ঘরেতেই ছিল দিদির আমার সংসার..

সেই প্রথম গ্রাম থেকে উঠে খানাকুলে চলে আসা,
অভাবের মাঝে সেই আমাদের ছোট্ট সুখের বাসা…

মাস্টার্স করে, বিয়েড করে বাড়িতেই ছিল বসা,
সমীর স্যার-ই দিদির মনে জুগিয়ে দিলো আশা…

স্যার এর ছাত্র নিয়েই দিদির টিউশনে হাতে খড়ি
1টা ব্যাচ পড়িয়ে সেখানে পেতো মাত্র দুশোকুড়ি..

তবু ওটাই ছিল অনেকখানি, ওটাই অক্সিজেন,
যেন কাঠফাটা রোদে তৃপ্তি আনা এক পশলা rain…
রাতের বেলা
আদা কুঁচি দিয়ে বাঁধাকপি করে খেয়েছি যে কত মুড়ি,
মনের খুশিতে দুইজনে বসে,দিয়েছি স্বপ্নে পাড়ি..

সময়ের সাথে সাথে দিদির টিউশনও গেল বেড়ে,
ভাড়া নিয়ে হাজির হলাম বাবা ঘন্টেশ্বরের মোড়ে…

মা এলো, মেজদা এলো, ওখানে দাদার ও হলো বিয়ে,
বাবু আমাদের লায়েক হলো কলকাতায় গিয়ে..

দিদিও তখন চাকরি পেলো ধনিয়াখালি স্কুলে,
আসতে আসতে স্বপ্ন গুলো উড়লো ডানা মেলে…

দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি তখন,ভাসছি প্রেমের বন্যায়,
হারিয়ে গেল সেই ভালোবাসাও নানান জটিলতায়…

আসতে,আসতে সময় গেল, দিদিও চাকরি পেলো,
কলেজের পাঠ ফুরোলো আমার, দিদির ও বিয়ে হলো.

অরু আমার জামাইবাবু আসলে বড় দাদা,
সে যে মোর বড়ই আপন, যেন জন্ম সূত্রে বাঁধা..

দিদির বাড়ি ও এখন থেকে আমারি এক বাড়ি,
সেখানেই ঠাঁই নিলাম আমি ,নিজের বাড়ি ছাড়ি..

বহু সুখ স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই খানাকুল জুড়ে,
রেখেছি তাদের সিন্দুকে ভরে মনের গভীরে….

 

 

কোথায় যাদবপুর আর কোথায় মণিপুর
ক্লান্ত হয়ে বসবে যখন, ভাববে ভরদুপুর!!
ইচ্ছে হলেও পাবেনা দেখা, হায় সে কতদূর ,
মন বীণায় বাজবে জানি মনখারাপের সুর।
ব্যাস্ততায় কাটবে সময়,থাকবো নানান কাজে,
তবু জেনো থাকবে তুমি আমার হৃদয় মাঝে।
ফিরলে জেনো তোমার সাথেই করবো খুনসুটি,
জমানো কথার ফুলফুটিও, করবোনা দিন মাটি।।

 

Comments are closed.

Scroll to Top